Wednesday, July 22, 2020

অভিমান ও অভিযোগ 
ভালোবাসা ও ছলনা
আমার দুই চোখ,
দেখে ভিন্ন ভিন্ন।
আমার দুই হাত
এক হাতে স্বর্গ অন্য হাতে নরক।
কখনো ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়
কখনো দূরে হারিয়ে যেতে।
কখনো তোমাকে দেখি -
কখনো তোমার ছলনাকে।
কখনো ক্ষোভে অভিমানে হই হিংস্র
কখনো তোমার আঁচলে মুখ লুকিয়ে ছোট্ট শিশু।
কখনো কখনো ইশ্বর মনে হয় নিজেকে-
সকল বাধাকে উপেক্ষা করে, সব নিয়ম কানুন
পদতলে রেখে হাসতে ইচ্ছে হয় বিজয়ের হাসি।
কখনো কখনো নিজেকে বড় অপরাধী ভাবতে ইচ্ছে হয়,
মনে হয় জগৎ জুড়ে যতো পাপ সব কারনে মিশে আছি আমি!
আমি যেন অলিখিত ইবলিশ শয়তান।
নিজেকে নিয়ে ভাবতে বড্ড ভালো লাগে এখন -
নিজেকে অবতার ভেবে, জনসস্মুখে মুচকি হেসে আসি ইচ্ছে হলে।
দিন ও রাত
সকাল ও সন্ধ্যা
পৃথিবীর কক্ষ পথে পা রেখেছি
আমার মস্তিক জুড়ে এলোমেলো চিন্তাধারা
আমি বোধ করি পাগল হয়ে যাচ্ছি।
কবির অভিমান

আকাশের বুক ফেরে বৃষ্টি ঝড়ে , পাহাড়ের বুক হতে ঝর্ণা ।
বেদনায় আহত মানুষ গুলো ক্ষতবিক্ষত , কেউ তার খবর রাখে না ।
কলমের কালিতে, ডায়েরীর পাতাতে আহত কবির কান্না কেউ শুনে না ।
কবি ও কবিতা মিলে মিশে একাকার ,তবুও কেন ক্ষত স্মৃতির ছিড়া পাতা ।
তুমি কাঁদো , সে কাঁদে , আমি ওকাঁদি ! যেনো কান্নার মেলা ।
কত শত প্রজাপতি পাখা মেলে , কত প্রজাপতি রঙ ছড়াই ।
এতো হাসি -এতো হাসি ,তবুও কান্নার তীব্র চিৎকার
আহত কবি, নিকোটিনের সাদা ধোঁয়া ছেড়ে বলে-
কবিতা আর লিখবো না !
কবি অভিমান করে বলে , কবি সত্যি করে বলে , কবি বিরহের সাথে বলে -
লিখবো না আর কোন কবিতা , কবি চিৎকার করে বলে "কবিতা তোমায় বিদায়" ।
রাতের আধারে কবি অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে কাঁদে ,কবিতা বিহনে ।
বৃষ্টির জলে কবি অশ্রু ঝড়ায় অতি গোপনে , কবিতা বিহনে ।
ব্যস্ত শহরে কোটি মানুষের ভিড়ে কবি হাতড়ে ফিরে ।
নির্লজ্জ , বেহায়া কবি শুধু বিরহ স্মৃতির গান গেয়ে চলে ।
তবুও পদ পৃষ্ঠ হওয়া আহত বকুলের ভাঙা পাপড়ী বুকে টেনে -
কবি যখন মালা গাথতে বসে , কি এক কমল শিশু সুলভ দৃষ্টিতে ভরে ওঠে কবির মন ।
যেন সদ্যভূমিষ্ঠ কোন এক শিশু !
তবু ও কবি মাঝে মাঝে চিৎকার করে ওঠে -
"কবিতা তোমায় বিদায় "
নিকোটিনের ধোঁয়ায় জ্বেলে নিজেকে , কবি করে অভিমান ।

Thursday, July 2, 2020

"জীবিত ছিলাম না আমি"

আমাকে একটি কবিতা লেখার অনুমতি দেওয়া হোক ।
আমাকে আমার মত করে জ্বলতে দেওয়া হোক ।
প্রেয়সীর গোলাপ পাপড়ী অধরে চুম্বন করে এসেছি , 
মায়ের আঁচলে সময় পেলে ,এখন ও মাথা রাখি ।
সময়ের মুখে লাথি মেরে ,বাবার কাঁধে মাথা রাখি ।
ভাইয়ের শাসন , বোনের আদরের রতন -
তবুও আমি জ্বলতে জানি ।
আমার ভিতরে আর এক আমি ,
দিবা -নিশি কেঁদে ফিরে ।
মুক্তি চাই মুক্তি ! স্বাধীনতা দেখতে চাই ।
বিবেকের শরীরে পড়িয়ে দেওয়া বোরকা ছিরতে চাই আমি ।
বিবেকের শরীরে হাতরে হাতরে -
তাকে যন্ত্রনা দিতে চাই ।
আমার শারীরিক ক্ষুধা আছে ,
আমার মানষিক ক্ষুধা আছে ।
সব ক্ষুধাকে জীবিত কবর দিয়ে এসেছি -
তোমাদের এই তল্লাটে ।
আর কত লাশ , আর কত মায়ের বুক খালি হলে -
তোমরা অপরাধ স্বীকার করবে ?
কত বোনের নগ্ন শরীরে , তোমরা স্বীকার করবে -
লম্পটের জম্মদাত্রী তোমরাই ?
আকাশে শকুনের চিত্‍কার -
এই বাংলার বুকে হিংস্র শুয়োরের তান্ডব । 
আমাকে লিখতে দাও , আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই !
আমি মরণকে খুজে ফিরি জম্ম জম্মান্তর ।
যেখানে স্বাধীনতা নেই , যেখানে বাক শক্তি কেড়ে নেওয়া হয়-
যেখানে সাংবাদিকের কলম উল্টা চলে ।
যেখানে প্রতিবাদী কবি কে , দেশদ্রোহী বলে ফাঁসি দেওয়া হয় ।
সেখানে আমি জীবিত কখন ও ছিলাম কী ?
আমার চোখের সম্মূখে , কচি প্রাণ ঝরতে দেখেছি ।
সদ্য বিবাহীত বোনটিকে সাদা শাড়ীতে বিধবা বেশ দেখেছি ।
মায়ের সম্মূখে মেয়ের বিধবা সাঝ -
ওহ কী যন্ত্রনাময় , হৃদয় বিদারক সে দৃশ্য ।
বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ -
ফিনকী দিয়ে রক্ত ঝড়তে দেখেছি ।
তাঁরকাটার ওপার যে জোয়ান 
হয়ে নগ্ন , সে একা নগ্ন না !
সমগ্র বাংলা হয় নগ্ন ।
তাঁরকাটার এপার সে জোয়ান 
   হয় বীর  !
বড় আজব তোমাদের এই খেলা ,
ভাইয়ের হাতে দিয়ে অস্ত্র -
ভাইকে করো খুন ।
আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই ।
আমি এখানে কবেই বা জীবিত ছিলাম !
আমাকে লিখতেই হবে - ভিতরে জ্বলে যায় , হিয়া কেঁদে ওঠে ।
যন্ত্রনায় কাতর আমি , মানি না এই দূর্শাসন ।
সৈরাচারী নিপাত যাক , গণতন্ত্রের গলে যে বা যারা ,
দিয়েছে ফাঁসির রশি , আমি হাসতে হাসতে তাহার মুখে মূত্র বির্সজন করি ।
মানুষ হতে বলবো না তোদের ,
ওরে ও অমানুষের বাচ্চা ।
শুধু ইতিহাস লিখে যাবো -
আমি জীবিত ছিলাম না কখন ও !