Thursday, June 16, 2022

জলে ভিজে যাও, 
রৌদে পুড়ে যাও 
           
              কান্না পেলে;কান্না করো। 
                 সামান্য সুখে অট্টহাসি। 
              প্রেম আসবে, প্রেম যাবে।
            নিজেকে যতন করে রাখো। 
                 বিরহ কিংবা বেদনাতে।
                     ক্ষয়ে যেতে দিও না। 
                          মিথ্যা কামনাতে। 
ঈশ্বর তোমাকে উজাড় করে দিবেন
                                 তার আছে;
                                        অসীম। 
ঈশ্বরের সাথে, লেনাদেনা করো না। 
                            তুমি হেরে যাবে। 
             দুই হাত পেতে ভিক্ষা চাও ;
                          তুমি শুধুই  পাবে। 

শুদ্ধ চিত্তে 
করুন কন্ঠে
আঁখি জলে 
চাও, আর চেয়ে যাও। 

তুমি পাবে, পবিত্র দেহ ও মনে 
          যদি তুমি চায়তে জানো। 
তবেই তুমি মানুষ বলে গণ্য হবে। 

 ( মানুষ )
১৬/০৬/২০

Tuesday, February 15, 2022

মেঘনা পাড়ের কন্যা

মেঘনা পাড়ে দেখেছিলাম কন্যা তোমায় , ভরা চাঁদের মাঘী পূর্নিমার প্রথম সে প্রহরে ।
যেখানে এসে "হাড়িদোয়া" শাখা পরম ভালোবাসায় জড়িয়েছে মেঘনাকে ।
আমি চেয়ে দেখছিলাম তোমার সরু কায়া । 
যেন মেঘনার ঢেউ কূলে  আছড়ে পড়ে ।
মন হনন করা চলন তোমার,
"হাড়িদোয়া" এর ন্যায় বেঁকে চলে কোমড় তোমার ।
বড় শখ জেগেছিল মেঘনার পাগল বায়ু হয়ে ছুয়ে দিতে ।
রেশমী চুলে এলোমেলো খেলা করতে ।
নদীর জলে পরা চাঁদের প্রতিবিম্ব কে বড় ই বেরসিক মনে হয়েছিল ।

সে যে র্নিলজ্জ এর ন্যায় তোমার চলার পথে আমার চেয়ে থাকা লোভনীয় দৃষ্টি ,জনসম্মূখে আবরনহীণ করে দিতে অতি ব্যাস্ত ছিল ।
কত সময় ঐ পথ চেয়েছিলাম মনে নাই, হঠাত্‍ এক কম্পিত ঠান্ডা বায়ু আমার অস্তিত্ব জানান দিয়ে গেলো ।

দৃষ্টির অগোচড়ে তুমি তখন মনের মাঝে স্বপ্ন আঁকা অচেনা নারী ।

Sunday, February 13, 2022

কৃষ্ণ পক্ষ  বিলাস 
            ( ১৩/২/২০২০ ) 

        কেউ জ্যোৎস্না বিলাসে মুগ্ধ,
         কেউ বৃষ্টি বিলাসে আপ্লুত, 
         কেউ কেউ তো সুখের তরী
   ভাসিয়ে দিয়েছে অসীম সাগরের বুকে৷ 
    আমাকে
          বরং একটা অমাবস্যা দাও, আর
                কিছু দুঃখ কুড়িয়ে দাও
               এক পাহাড় কষ্টের সাথে 
                   প্রিয় হারা বেদনা'র
                   স্মৃতি এনে দাও। 
   
  আমি নিশ্চয় 
        আর একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছুয়ে দেখতে 
                        চাই'বো না। 
         আর কোন চুলের গন্ধ ব্যাকুল হৃদয়ে 
         আবেগের স্রোত অন্য সাগরে প্রবাহিত 
                   হতে,  চাই'বে না। 
          শ্রবণ ইন্দ্রিয়, সে আবেগ সে শব্দ 
          দ্বিতীয়ত আর কোন আবেগময় 
          গল্প শুনতে বড়'ই বেশি আপত্তি 
                       জানিয়েছে।  
    
           জ্যোৎস্না বিলাস, বৃষ্টি বিলাস
            সমুদ্র বিলাস করো, সুখের নদীতে 
                      ডুব দাও, যত খুশি। 
    
           এক পৃথিবী সম দুঃখ এনে দাও
           বিরহ - বেদনা, কষ্ট ও কান্না 
           সমগ্র প্রেমিকের দ্বীর্ঘ নিঃশ্বাস 
            মিলিয়ে দাও, এক কৃষ্ণ পক্ষ। 

       আমি একটি জনমের বাকিটা  প্রহর 
       কৃষ্ণ পক্ষ বিলাসে'ই কাটিয়ে দিবো৷

Wednesday, February 9, 2022

আর এক স্বাধীনতা

আমার হাতে হাতকড়া পরিয়ে দে,
পায়ে বেঁধে দে বেড়ি - মুখে ঠুসি বেঁধে
আঁখি বেধে দে কালো কাপড়ে ।
আর কত পোড়া লাশের ঘ্রান নিবো-
কুকুরের মত ।
ক্রসফায়ার কিংবা পেট্রোল বোমার আঘাতে ,দগ্ধ মানবতা কে -
 আর কত আহাকার করতে দেখবো ।
ফাঁসির কাষ্টে আমাকে ঝুলিয়ে দে !
আর কোন আহত মানবের কন্দন
আমি সহতে পারি না ।
পত্রিকার পাতাতে রর্ক্তাত লাশ এখন
বড় সাভ্বাবিক হয়ে গেছে ,
লাশ হীন পত্রিকার খবর বড় অসাভ্বাবিক লাগে ।
সদ্য ভূমিষ্ট শিশুটি , চিত্‍কার করে কাঁদতে যেয়ে থমকে যায় ।
না জানি কোন গুপ্তচর ওত পেতে বসে আছে -
যদি ওর কান্নার আওয়াজ তার কাছে বেসুরে হয় ,
হয়তো ক্রসফায়ার কিংবা বোমার আঘাতে শুরুতেই শেষ হতে হয় ।
এই ধ্বংস খেলা আমার যে আর সহে না ,
জরুরী আইনে 144 ধারা জারি করে
আমাকে ক্রসফায়ারে দে ।
অথবা 302 ধারা জারি করে , নৈরাজ্য অবমাননার কারনে আমাকে
আমৃত্যু ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে দে ।
তা না হলে , বুকে গ্রেনেড বেঁধে 
আমিই ঝাপিয়ে পরবো কোন এক -অপ্রস্তূত সভা কিংবা মিটিং ।
 অতপর আমার রক্তে লিখে দিয়ে যাবো ,
আর এক স্বাধীনতা ।

Monday, February 7, 2022

তবুও ভালোবাসি

যে দিন তোমার উজ্জল চামড়া ,
কুচকে যাবে , ভাজ পরে যাবে কপালে
সেই দিন , স্বপ্ন হারা এক দুঃখ বিলাসীর কথা মনে হবে তোমার ।
মনের অজান্তে কেঁদে উঠবে তুমি-
ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু বির্সজন দিবে তোমার নয়ন ।
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে হয়তো সেইদিন
বলবে তুমি "সত্যিই আমি ভুল করেছি"
সেইদিনের সেই র্দূসময় কেও তোমার পাশে থাকবে না ।
হাত ধরে বলবে না "এই চলো হারিয়ে যায়"
তবুও তুমি হাত বাড়িয়ে দিবে ।
ছানি পরা দু-চোখে ঝাপসা আলোতে
এই আমাকে খুজবে । হয়তো-
সেই দিন এই আমি বিকালের নুয়ে
পরা সূর্যের ন্যায় হেলে যাবো ।
তবুও তোমার ঐ হাত দুটি ধরে-
বলবো সে সময় ভালোবাসি ভালোবাসি ।
উম্মাদ

আমিও গঢ়তে জানি , ভাঙতে জানি।
দাঁত দিয়ে কেটে শিকল, আমি ও মারতে জানি ।
যে দিন আমি উম্মাদ হয়ে যাবো -
 মনে রেখো , সেই দিন তোমার রাজতন্ত্র থরথরিয়ে কাঁপতে থাকবে।
প্রকট শীতে শত বছরের বুড়ী , যেমন থরথরিয়ে কাঁপে ।
প্রচন্ড ভূমিকম্পে যেমন করে-
অট্টলিকা ধসে পরে , তেমন করে তুমিও ।
আর কত ? এইভাবে আঘাত করবে মোরে ।
আমিও তো রক্তে মাংসে গঢ়া মানুষ।
আমার ও ভিতরে রাগ আছে , আছে অভিমান ।
আমি সাধারন , অতি সাধারন ।
তাই বলে কী ? আমার বাহু বল নেই ভাবছো ।
আমি ও জ্বলতে জানি , হিংস্রার অনলে জ্বালাতে জানি ।
যে খেলা আজ তোমরা সূচনা করেছো
আমি তার ইতি টানবোই।
আমি জনগন ,  সাধারন জনগণ
যে দিন আমি ও আমরা উম্মাদ হয়ে যাবো ।
মনে রেখো  জীবিত তোমায় , জলন্ত চিতায় দহন করবো ।
এখন ও সময় আছে , আমার গনতন্ত্র আমাকে ফিরিয়ে দাও ।
বন্ধ করো তোমাদের এই পারিবারিক নৈরাজ্য -
তা না হলে , সত্যিই আমি উম্মাদ হয়ে যাবো ।

Friday, December 31, 2021

অস্পর্শীত ব্যথ্যা

থেকে থেকে বুকের বাম দিকটাতে টনটন করে ওঠে ।
কষ্টের কীট কুরেকুরে খাই ক্ষতবিক্ষত কলিজাকে-
আমার হৃৎপিন্ড থেমে যেতে চাই ক্ষনেক্ষনে ।
বুকের ঠিক বাম দিকটাতে , হাত ঢুকিয়ে খুজতে থাকি ,
                     কিন্তু কি খুজে চলি ?
আমার হাত যেয়ে মুঠো দিয়ে ছিড়ে আনে কলিজা!
না এখানে নেই ! আমার কিডনি , আমার হৃৎপিন্ড
         নিকোটিন ভর্তি আমার ফুসফুসে !
কোথাও কিছু নেই ! তবে এত ব্যথ্যা কিসের ?
ক্ষনে ক্ষনে চাওয়া পাওয়ার হিসাব কষে কে ?
কে চিৎকার করে কেঁদে উঠে ? কে সে ? না পাওয়ার 
ব্যথ্যায় ব্যাথ্যীত হয়ে , বলে ওঠে আমি তো কিছুই পেলাম না।
আমার শরীরের রক্তে আমি প্রভাত স্লান কর-
জিজ্ঞাসু নয়ন চেয়ে থাকি , কোথায় ব্যথ্যা ?
 ঠিক কোন দিকটাতে এত যন্ত্রনা !
মাঝে মাঝে চিৎকার দিতে মনে চাই , মনে চাই
 ধ্বংসের লীলায় মাততে ! আমি তো ধ্বংস করতে পারি না -
না পারি সৃষ্টির উল্লাসে প্রলয় নৃত্য করতে !
উহ কি ভীষম যন্ত্রনা বুকে  , মানুষের এই শহরে
আমি একটি মানুষ খুজে চলি ! নেই কোথাও নেই
একটা মানুষ, মানুষের বড় অভাব এই ভবের শহরে।
আমি একটু ছায়া চাই , একটু আশ্রয় !
আমি আমার ব্যথ্যাকে স্পর্শ করতে চাই , 
দুই হাতে আদর করে , আশির্বাদ করতে চাই 
হে মোর অপ্রপ্তীর জমাট বাধা ব্যথ্যা তুমি দীর্ঘজীবি হও !
মানুষের এই শহর একটু একটু করে অনেক বড় হও।