Friday, October 15, 2021

লিখবো না ভেবেই লিখেছি

শরৎ এর আকাশের নীলাভ রূপ দেখে আর লিখবো না কবিতা,
কোকিল তুমি সুরে সুরে যত ইচ্ছে আমাকে মুগ্ধ করো না কেনো ?
              আমি লিখবো আর কোন কবিতা ।
শীতে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাক , আমার সকাল দুপুর রাত
সত্যি বলছি কবিতা ভাববো না তোমাকে আর ,লিখবো না তোমাকে।
ক্লান্ত শরীরে বিছানাতে তন্দ্রার ঘোরে ডাকবো না আর তোমাকে ।
চাঁদের মায়া বিছিয়ে দিলে , দুই চোখ বন্ধ করে নিবো 
ভুলে যাবো নিজের আপন সত্ত্বা কে , দেখবো না আর তোমাকে ।
বর্ষার বারি যখন ছুঁয়ে যাবে আমাকে , নিজেকে শুষে নিবো প্রেম অনলে।
গ্রীষ্মের কাঠফাটা রৌদ্দুরে জ্বালিয়ে নিবো নিজেকে ,
আমাকে জ্বালাবে , তুমি ! কোন অনলে ?
যে নিজের মাঝে লালন করে সপ্ত নরক কে ।
আমি লিখবো না ভেবেই লিখছি তবুও কেনো জানি তোমাকে ,
ঘৃণা করবো জেনেই , ভালোবেসে ফেলি গভীর ভাবে ।
তবুও লিখবো না , লিখবো না আর লিখবো না কবিতা তোমাকে ।
তবুও লিখেই চলেছি অনায়াসে ।

Tuesday, October 12, 2021

কাঁদবি কতো?  কাঁদ হে রাষ্ট্র। 
ছি রাষ্ট্র ছি! কিসের এতো মায়া কান্না? 
ছি রাষ্ট্র ছি!  দুধ কলা দিয়ে 
পুষতেছিস সর্প বড় যত্ন করে। 
ছি রাষ্ট্র ছি!  জবাব দিবি তুই কী? 

পিতা তার গেছে বাহিরে, 
প্রতিক্ষায় আছে, অবুঝ শিশু 
বাড়ি ফিরে বুকে টেনে নিবে পিতা। 
প্রতিক্ষায় আছে বধূ 
প্রতিক্ষায় আছে বাবা মা। 
সন্তান যে গেছে,  কেন ঘরে ফিরে আসে না। 

ছি রাষ্ট্র ছি! পুলিশ পুষে, বেতন দিতে পারিস না
চেয়ে দেখ হে রাষ্ট্র 
এক শিশুর পিতাহারা কান্না। 
চেয়ে দেখ রাষ্ট্র, দুধ কলা দিয়ে পুষেছিলি যারে 
সে মানুষ রূপে, শয়তান ছাড়া আর কেউ না। 
অবৈধ্য টাকা ছাড়া, তাদের পেট ভরে না। 

অথচ, 
এই তোর শিক্ষিত আর্দশ সন্তান 
গর্বে নাকি তোর জীবন বাঁচে না। 
ছি রাষ্ট্র ছি, ছি রাষ্ট্র ছি 
ধিক্কার তোমায় হে রাষ্ট্র। 
তোমার কোল আজ প্রদীপ, আকবরের ;
ন্যায় জারজে ভরা।

Friday, October 8, 2021

ক্রোধ 
০৮/১০/২০

হে প্রিয় রাষ্ট্র, অজস্র সেচ্ছাদাসী আছে।  
যে বা যাহারা ক্ষমতার লোভে, 
দেহ ত্যাগে আনন্দ উপভোগ করে।  
সেসব রক্ষিতা থাকতে, কেন? 
অসহায় নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পরচ্ছে।  
তোমার দাঁতাল শুয়োর গুলো।  

কেনো বস্ত্রহীন করছে মা বোন কে? 

হে রাষ্ট্র, তুমি শুয়োর পালন করো।  
অথচ কচু খেত রাখো না? 
 আমি বিশ্বাস করি না।  
আমি দল জানি না, জাতি জানি না 
আমি জানি ধর্ষক এক কলঙ্কের নাম। 
আমি জানি, ধর্ষকের আশ্রয় দাতারা 
এক অভিশাপের নাম। 

প্রিয় রাষ্ট্র, আমি ফেলিনিকে ভুলেছি 
তিস্তার জল পাবো পাবো করেও হারিয়েছি। 
তবুও নিশ্চুপ ছিলাম, শত্রুর দোসর 
মাথার ওপর বসে আছে জানি। 

প্রিয় রাষ্ট্র,  তুমি তনু কে দেখেছিলে? 
আ'হা বীভৎস সে লাশ। 
আমি তো তোমার পতাকায় দেখি ধর্ষিতার রক্ত। 
প্রিয় রাষ্ট্র, আমরা বিশ্ব্জিৎ কে ভুলে গেছি। 
আবরার কে ভুলে গেছি। 

           কোন, আবরার যেনো? 
ওই যে?  ভারতের গোলামীর বিরুদ্ধে 
নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার লড়াইয়ে 
                                    প্রথম শহীদ। 
পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো! 

যারা হত্যা করেছিলো,
 তারা আর কেউ না 
এই দেশের বুকে বেড়ে ওঠা
ভারতের জারজ সন্তান। 

প্রিয় রাষ্ট্র সম্রাট কে ভুলে গেছি আমরা, 
পাপিয়া ও শাহেদ, সাবরিনা কেউ। 
যারা তোমাকে ধর্ষণ করেছে, বিশ্বের কাছে। 

ভুলে গেছি, পিল খানা। 
ভুলে গেছি আমি মেজর সিনহা। 
আর কতো?  ভুলে যাবো বলো 
তোমার লেলিয়ে দেওয়া
দাঁতাল শুয়োর দেখো -
কেমন ছুটছে অসভ্য হয়ে।  

আমার একটা সংসার আছে 
আমাদের একটা সংসার আছে 
সে সংসারে, মা, বোন, বউ, মেয়ে আছে। 

প্রিয় রাষ্ট্র, সময় গড়িয়ে যায়। 
তোমার দাঁতাল শুয়োর কে ঘর চিনাও, 
প্রয়োজনে নিজের খেতের কচু খাওয়াও 
মনে রেখ, আমি শুধু আমি নয় 
আমরা শুধু আমরা নয় 
আমি ও আমরা তে মিশে আছে 
দশ কিংবা বার কোটি মানুষ,
আর, বাকী'টা 
তোমার লেলিয়ে দেওয়া, 
 দাঁতাল শুয়োরের দল।