Saturday, August 22, 2020

<"""""""""স্বপ্ন""""""""">

কত যে স্বপছিল তোকে ঘিরে , 
কত রাত জেগে চেয়ে থেকেছি -
তোর অপলক হাসিটির দিকে ।
 কত স্বপ্ন ছিল ,তোকে ঘিরে 
মাছ রাঙা যেমন ছোঁ মেরে মাছ চুরি করে ! 
আমিও  চুরি করে আনবো  তোকে, তেমন করে । 
পানকৌড়ি যেমন ,ডুব সাঁতারে অষ্টপ্রহর ছুটে জলে ।
 আমি খেলবো তেমন , তোর মনের নদীতে । 
ভীষণ খরায় আমি কালো মেঘ হবো ,  
তোর পিপাসিত কায়ায় ,এক আকাশ জল হবো । 
তাল পাতার ছাউনিতে, টুপুর টুপুর বৃষ্টির ছন্দ হবো । 
ঝিনুক হয়ে বুকের মাঝে তোকে আগলে রাখবো । 
অক্ট্রোপাসের মত আষ্টেপিষ্টে হৃদয়ের গহীনে বাঁধবো । 
তোর অলস দেহের ক্লান্তি মুছে ,
দুপুরের স্লানে আমি দীঘির জল হবো ।
 পরশ মাখা বিকালে ,আমি তোর কফির মগ হবো । 
ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়াতে আমি শিহরিত হবো । 
সাঝের বেলাতে ,আমি তোর খোঁপায় ঘোমটা হবো ।
 রাতের গহীনে আমি তোর স্বপ্ন হবো । 
কত স্বপ্ন ছিলো তোকে ঘিরে , 
আজ স্বপ্নরা সব কোন সে দূরে -
 শূন্য করে কোথায় হারালে ?
<""""শরত্‍,তুমি আর কবি"""">


তুমি শরৎ এর মত স্নীগ্ধ , শিউলি ফোঁটা সন্ধ্যা ।
তুমি শরৎ এর মত পবিত্র , কাশ ফুলের স্পর্শ ।
যখন শিশিরের শব্দের মত টুপটাপ শিউলি ঝড়বে ,
মনের ডায়েরীতে লিখে রেখো,  শরৎ এর কথা ।
আকাশে সাদা মেঘের উড়োউড়ি ,
মৃদু হাওয়ায়  কাশ বনে লাগে ঢেউ ।
আমি তখন তোমার  হৃদয় সাগরে , 
পাল তুলে হারিয়ে যেতে চাই ।
শরত্‍ আসে শুভ্রতার প্রতীক হয়ে ,
তেমন তুমিও কবি জীবণে ।
নীল আকাশে  সাদা মেঘের ছুটোছুটি ,
ঐ আকাশের কোন এক  নক্ষত্র কন্যা তুমি !
উড়ে উড়ে যেতে চাও ,
দূরগামী পেঁজা তুলোর মেঘের ভেলাতে !
কোন এক শরতে ,নদীর জলে কাশ ফুলের মেলাতে। 
মেঘ রথে চড়ে ,এসেছিলে বেড়াতে ।
আর ফিরে যাওয়া হয়নি !
নির্জন মাঠে ,
নিঃশব্দে বেড়ে ওঠে নিকট ভবিষ্যৎ  
তুমি তেমন এই কোলাহোলে উঠেছো বেড়ে ।
শাপলা -শালুক -শিউলি ফোঁটাতে ,
 শরত্‍ এসেছে বড় মায়াতে ।
কোন এক শরতের নিশুতি রাতে কবির চোখে। 
তুমি রূপের ঝলক এঁকেছিলে , প্রশান্তির  ছায়াতে ।
বর্ষার উত্তাল জোয়ারে, 
যে নদী ছুটে অবিরাম অক্লান্তে ।
যে বৃক্ষ রৌদের উপ্তাপে ,জ্বলে  চৈত্রের খরাতে ।
সেই বৃক্ষ আবার ভেজে বর্ষার জলেতে ।
স্নিগ্ধ হয়েছে আজ , চারিদিক নিস্তব্ধতা ,শরত্‍ এর আগমনে ।
কবির অশান্ত হৃদয়ে , শরতের দূত হয়ে -
কবি নয়নে তুমি হলে গো - শরতের ভরা পূর্ণিমা ,
জম্ম-জম্মান্তরের শিউলি ফোঁটা সন্ধ্যা ।
তুমি শরতের মত শান্ত মায়াময় ।

Saturday, August 8, 2020

<"""""কেমন আছো""""">

আবার এই শহরে , আমার অবৈধ্য পদচরণ ।
এই শহরের দেওয়ালে ,দেওয়ালে -
পোষ্টার ছাপা হয়েছে ,রঙিন কালিতে  ।
দ্বারে দ্বারে প্রহরী আছে নিরপত্তায় ।
এই শহরে আমার প্রবেশ অধিকারে নিষেধাজ্ঞা ।
অনেক পথ ঘুরে , শত শত জোড়া চোখ দিয়ে ফাঁকি -
আমি ফিরে এসেছি ।
শুধুই তোমাকে , দেখবো বলে ।
কেমন আছো তুমি ?
কত কাল দেখি নাই ও দু-নয়ন ।
কত কাল একই ছন্দে ,হয়নি দেওয়া পথ পারি ।
কত কাল ও নয়নের জল , ছুয়ে দেয়নি-
এ দুই হাত !
কত কাল দেখি না তোমায় ।
আমি বেদনা - বিরহে নিজেকে করেছি অঙ্গার ।
আমি কাটা ভরা পথ হেটেছি ভর -দুপুর ।
তুমি সুখে থাকবে বলে ,ছেরেছিলাম এই শহর ।
কত কাল চেয়ে দেখিনা , যৌবণ পূর্ন চাঁদ ।
তাঁরা গুনে গুনে এখন হেঁসে হইনা লুটোপুটি ।
 হয় না লেখা কোন চিঠি , এখন আর সন্ধ্যা তাঁরার কাছে !
সুখ তাঁরাটাও কাঁদে , গোপনে গোপনে ।
বহু পথ ঘুরে , শত শত জোড়া চোখ ফাঁকি দিয়ে -
আবার এসেছি এই শহরে ,
বাতাসে -বাতাসে তোমার চুলের ঘ্রাণ ।
কাননে ফোঁটা , গোলাপে মিশে আছে 
তোমার ওষ্ঠের আহ্ববান ।
রক্ত জবা ,সে যেন ফুল নই !
ও যেন তোমার পায়ের শোভা ।
দিঘীর জলে ছলাত্‍ ছলাত্‍ শব্দ-
সে যেন তোমার পদচলনের ছন্দ ।
ঔষ্ত বৃক্ষের রিনিঝিনি রিনিঝিনি পাতার নৃত্য
সে যেন তোমার নূপুরের ছন্দে মত্ত ।
তবুও কি যেন নেই , আহাকার বুক জুড়ে-
তুমি কেমন আছো ,কোথায় আছো ?
আজ এই পবিত্র স্নীগ্ধ রাত্রীর -
শেষ প্রহর কে স্বাক্ষী রেখে ,
বড্ড জানতে ইচ্ছা হয় !
তুমি ভালো আছো তো ?

Wednesday, August 5, 2020

<"""""ফিরে আসবো""""">

আমি এই শহরের বুকে ,
নিষিদ্ধ চাঁদের জ্যোত্‍স্নাকে চিবিয়ে খাবো ।
অহংকারে মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকা    
                                          অট্টলিকাতে। 
 আমি একশো একটা চাঁদের নগ্ন নৃত্য দেখবো । 
আমি তোমাকে ভয় করিনা , 
কিংবা তোমাদের কাউকে  ।
আমার শরীরে প্রবাহমান প্রতি ফোটা রক্ত যেন   
                               বিদ্রোহের বিষাদ গঢ়েছে । এইতো, এখনি -ইচ্ছা হলে ,
আমি  হতে পারি সাইক্লোন কিংবা ধ্বংস। 
ইচ্ছা যদি হয়, 
সূর্যটা'কে পকেটে রেখেই, হাটতে পারি ।
আমি একশো একটা চাঁদের নগ্ন নৃত্য দেখবো !
অতপর ফিরে যাবো আপন ঠিকানায় ।
মৃত্যুর পরে - 
বার বার ফিরে আসবো , এই শহরে !
যেখানে মানুষকে পন্য করে ,
মানবতার বুকে পা রেখে । 
যেখানে -
কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে, আকাশ ছুয়ে দিবে । 
আমি ঐ মানুষের জন্য আবার ফিরে আসবো। 
যারা ফুটপথে মানবতার গান করে । 
ওদের দলে মিশে যাবো , 
তুমিও আমাকে চিনতে পারবে না । 
অথচ , 
কত রাত আমাদের দুটি নগ্ন দেহ, একাকার 
                               হয়েছিল মিলেমিশে । 
তখন তুমি আমার, আর আমি তোমার
উষ্ণ নিঃশ্বাসে কত সহজে চিনে নিতাম ।
ঐদিন, রক্তের মিছিলে আমি ফিরে আসবো -
অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ।
 বারবার ফিরে আসবো , 
প্রতিবার রক্তে ভেজা শরীর, 
হয়তো,
আমার লাশ গুম হয়ে যাবে । 
হয়তো নদীর জলে , কিংবা বনে-
কুকুর শেয়ালে ছিরে খাবে  ।
ব্যাথা ভরা শরীরে আবার ফিরে আসবো ,
অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ।
মিশে যাবো পথশিশু, কিংবা বস্তির ভাঙা ঘরে ! 
মিশে যাবো পঙ্গু অসহায় , 
ফুট পথে বসে থাকা ভিক্ষারীর মাঝে ।
ফিরে আসবো , 
অসহায় দরিদ্রের বুক ফাঁটা হাহাকার, হয়ে । 
এই শহরের ফিরে আসবো -
একশো একটা চাঁদের নগ্ন নৃত্য দেখবো বলে । 
সেই দিন মানবতা হাসবে ,
        হা-হা-হা উচ্চস্বরে । 
আর, অহংকারে গঢ়া তোমাদের অট্টলিকা 
কম্পিত হবে -
ব্লুডোজারের আঘাতে ।
সেই দিন, তোমাদের মুক্তি দেবো ,
নতুন করে বাঁচতে। 
এই শহর ভেঙে চূড়ে ,
নতুন করে গাইবে সাম্যের গান ।
সেই দিন পকেট থেকে 
সূর্য টা বাহির করে বলবো 
এবার তুই মুক্ত ।
যে বাতাসে তুমি মৃদু হাসির নিঃশ্বাস ত্যাগ করো,
কান পেতে শুনো, সে বাতাসে আমার দীর্ঘ নিঃশ্বাস। 
সে আকাশে তুমি মুক্ত ডানা মেলেছো - 
চেয়ে দেখো রক্তাত্ব আমার ডানা, শিকলে বাঁধা।
কালো মেঘের যে জলে ভিজে যাও তুমি,
সে জলের স্বাদ গ্রহণ করেছো কি কখনও?
কতটা বেদনার জল মিশে লবণাক্ত হয়েছে? 
যে চাঁদের জ্যোৎস্নাতে, তুমি জ্যোৎস্না বিলাশ করো,
কখনো কি দেখেছো ভেবে,  সে জ্যোৎস্নাময় রাত্রিতে
উম্মাদ হয়ে যায় কেউ।
বকুলের মত ফুঁটে উঠতে চাই মন, খুব ভোরে ঝড়ে যেতে হয়।
তুমি তো বিলে ফোটা পদ্ম, সুযোগে ফুটে উঠো আহ্লাদী হয়ে।
আমিতো শিশির ভেজা শিউলি ফুল -
সূর্যের সাথে হয় না মিতালী।
তুমি যখন খলখলিয়ে হাসো,  আমার হিংসা হয় ভীষণ।
ইচ্ছে হয় বিদ্রোহ করি,  জগৎ ময় উচ্চ হাসি বন্ধের দাবিতে।
এমন বিশ্রী হাসি মানুষের মৃত্যুর কারন হতে পারে,
দাবী পেশ করি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে।
তুমি মুক্তির শ্লোগান করো,  তুমি বিশ্বাসের শ্লোগান কর।
আমি বন্দী দাসত্বের বেড়িতে, তুমিই তো ভেঙেছো বিশ্বের সকল বিশ্বাস।
তুমি অমরত্বের গান করো,  আর আমি মৃত্যুর দোয়ারে কড়া নেড়ে চলি।
আমার ভীষণ মরতে ইচ্ছে হয়,  মৃত্যুর ক্ষুধা আমার।
মৃত্যুর পর কি আর ও জীবন আছে?
সে জীবনে কি তুমি শকুন হয়ে জম্ম নিবে।