Tuesday, June 30, 2020

এসো নীরবে,  চুপি চুপি নিবৃত্তে ।  
চলো হারায় এই সুখের পথে।
এখানে মুঠো মুঠো সুখ বিকায় দক্ষিণা বায়ু।
স্রোতের ধারা বয়ে লয়ে যায় অনাবিল আনন্দ।
চোখের লোনা জল মুছে ফেলেছি, 
নদীর জলে ফোটা ফোটা অশ্রু মিশে যায় । 
কেউ কখনো জানতে ও পারবে না, 
তুমি এসেছিলে গৌধুলী লগ্নে 
কিংবা প্রভাতে;
প্রবাহিত এই নদীর ধারায়। 
ভেজা পা নিয়ে ফিরে যেও সুখের স্বর্গে।
আমি ধূলি কণার মাঝে মিশে যাবো, 
মৃত্তিকার গভীরে।

( আহত স্মৃতি )
চিঠির জন্য প্রতীক্ষা 
২৯/০৭/২০

হঠাৎ অবেলায় পড়লে মনে, 
লিখো ; চিঠি, সংগোপনে। 
না হয়, সে চিঠি, থাকলো পড়ে! 
অভিযোগ, অভিমান, আর
পুরাতন কিছু স্মৃতি বুকে জড়িয়ে। 

আ'হা ; আমি জানি 
এই প্রযুক্তির যুগে 
চিঠি চাওয়াটা বড় পাগলামী। 

তবুও, 
আমার যত খুনসুটি 
সেই তো ;
সে'ই তোকে ঘিরে'ই। 
তুই হীনা যেন শূন্য 
আকাশের ন্যায় সীমাহীন 
এক,শুষ্ক শূন্যতা। 

বেঁচে আছি 
অবুঝ কিছু চাওয়ার ভিত্তিতে 
বেঁচে আছি 
পাবো না, জেনেও ;পাবার আশাতে। 
এ যেন 
আরও কিছু দিন 
বেঁচে থাকতে চাই , তার মিথ্যা অজুহাত। 

তবুও মাঝে মাঝে 
তীব্র ইচ্ছে, কৃষ্ণগহব্বরের ন্যায় 
রূপ ধারণ করে। 

একটি চিঠির প্রতিক্ষায় 
কেটে যায়, আমার রাত -দিন
সপ্তাহ থেকে মাস। 
মাস থেকে বছর 
বছর থেকে যুগ 
যুগ থেকে শতাব্দী। 

এই'তো সহস্র বছর 
ছুঁই ছুঁই 

আর মাত্র কয়য়েক দিন 
কিংবা মাস, কিংবা বছর 

তোর অলিখিত চিঠির প্রতিক্ষায় 
শেষ নিঃশ্বাস ছেড়ে দিয়ে। 
জীবন কে বলে দেবো 
এই বার' জীবন তোমায় 
দিলাম ছুটি ।

ছবি ; গুগল

Sunday, June 21, 2020

আত্মহুতি

ধর্ষিতার করুন চিত্‍কার,পতিতার শীত্‍কার
মিলে মিশে একাকার ।
রাতের আধারে কিংবা দিনের আলোতে 
সব আজ পরিষ্কার ।
আজ এই শহরে কার্ফূ জারি হয়েছে !
হয়েছে একশো চুয়াল্লিশ ধারা ।
বৃষ্টিরধারা হয়ে ঝড়ছে শিসা ।

কালো কাঁচে ঢাকা গাড়িতে চলছে, 
যতসব দুপায়ে শুয়োরের বাচ্চা ।
মানব রূপে দানব সব ,
মানুষের রক্তে লিখতে চাই মানবতা ।
ঐ তো আসছে ভূমি দস্যূ ,
ছুটছে বলে স্বাধীনতা স্বাধীনতা !

ক্ষুধার্ত শিশু কাঁদছে , ভীষণ ক্ষুধায়।
 জম্ম-জম্মান্তের ক্ষুধা তার, শিকলে বাঁধা। 
ঘৃণা আর প্রতিহিংসা, চিৎকার করে বলে, 
শিকল খুলে দে হারামজাদা , বাধন খুলে দে -
আমার পায়ে আটকানো বেড়ি খুলে দে,
ওরেও নিষিদ্ধ পল্লীতে জম্মানো অমানুষের বাচ্চা ।

হিংস্র শুয়োর দু-পায়ে দাড়িয়ে আজ ,
মানুষের রক্তে মানবতার ইতিহাস লিখতে চাই !
হে মোর জম্মভূমি ,এসো পদচুম্বন করো মোর !

 অবাক চেয়ে , কি দেখো ?
এ কেমন সন্তান ;জননীরে বলে পদচুম্বন করতে ! অবাক হবার কি আছে ?

যে মাতা সন্তানের লালসায় দগ্ধ হয় অনারবত ,
চেতনায় উত্তজীব্বিত সন্তানের হাতে হয় ধর্ষিত।
আমিতো চেতনার ক্ষুধা নিবারণ করতে চাই'না ।
ধর্ষণ হবার চেয়ে, পদচুম্বন  শ্রেয় না? 

   এ কী এ কী? 
    সত্যি সত্যিই !
   এ তুই কি করিস? মাতা জম্মভূমি। 
    আমি তো অকৃজ্ঞ না ; দুশ্চরিত্র না। 

রাগে অভিমানে দু-কথা না হয় বলেছি ।
তাই বলে !
জানিস মা - মাঝে মাঝে কী মনে চাই ? 
এই বুকে গ্রেনেড বেধে আত্মহুতি দেয়-
বঙ্গভবনে কিংবা সংসদে ।
যত সব শুয়োর বসত করে ঐ নরকে ।
মায়ের ইজ্জত, মায়ের সম্মান রক্ষার্থে 
যায় না-হয় যাক, এই অধমের মূল্য হীন জীবণ ।

আয় মা আয় 
তোর পদযুগল এগিয়ে দে ।
আমি চুম্বন করি ।

Saturday, June 20, 2020

প্রেমিকার বিক্রয় হওয়া হৃদয় ছুয়ে দেখেছি, 
কী ভীষণ  নির্মম আর গাঢ় কালো।  
পাপ আর পাপ,
আমি নরকে বসত করে,
স্বর্গের স্নিগ্ধ বাতাস খুজে চলেছি। 

ঈশ্বর। 
প্রেম কি শুধু বিনিময়ের মাধ্যম? 
হৃদয়ের সাথে হৃদয় 
কায়াতে মিলে কায়া ;
প্রেম কি সৃষ্টির মাধ্যম? 
প্রেম কি পুণ্যতা? 

আমি তো দেখেছি ;
প্রেমিকার প্রেম -
বিক্রি হয় 
রাত ও দিনের মধ্যভাগে। 
শহরের খোলা মাঠে 
মাদকের অন্ধকারে 
তারা উঠে যায় 
এক নরকে। 
সে ফিরে আসে, 
সে ফিরে ফিরে আসে। 
হারিয়ে না, বিক্রি করে আসে নিজেকে। 

আমি ছুঁয়ে দেখেছি 
সে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ;
শুধু কামনা আর পাপ জমে আছে। 

অথচ 
ওরা বলে প্রেম নাকি 
ঈশ্বর প্রদত্ত! 

ঈশ্বর, 
একথা শুনে 
তুমি ও কি মুখ লুকাও? 

( প্রেম )

Tuesday, June 16, 2020

কাঁদতে বারন আছে

আমিও এই সমাজের,রক্তে মাংসে গঢ়া জীব ।
ভুল করেও আমাকে মানুষ ভেবো না !
আমি মানবিয় গুনাবলির , ছিটেফোঁটা ও ধারন করি নাই ।
আমার ভিতরে বড় বড় নখ দন্তের ,
কল্প কথার দেও দৈত্যের বসবাস ।
আমি মানব সভ্যতার কোন শিক্ষা পাই নাই -
এই সভ্য সমাজ থেকে ।
মনে পরে কী ? সেই দিনের সেই কথা !
যে দিন গৌধূলি লগ্নে এক শিশু কেঁদে উঠেছিল,
জম্মের আনন্দে ।
আর তোমাদের নৈরাজ্যের রাজনীতি,
চারিদিকে বুলেট কামানের চিত্‍কার।
সেই ভয়ে ভীতু , সেই আমি চুপচাপ।
আমার ভিতর একটি ভয়ের জম্ম হয়েছিল সেই দিন ।
হয়তো এমন কোন রাষ্ট্রে জম্ম নিয়েছি আমি ?
যেখানে জম্মের পূর্বে , খাজনা দিতে হয় ।
তা যদি দিতে না পারো , তবে জম্মের
আনন্দে কাঁদতে বারন আছে ।
রক্ত স্লান সেই আমি , হয়তো সেই দিন -
 জল স্লান করতে ভুলে ছিলাম !
আজ এই পথ চলতে চলতে শুনি-
সেই অস্ত্রের বর্জ্র চিত্‍কার ।
আমার পথ রুদ্ধ করে অনাচার ।
মনে করিয়ে দেয় অনাগত ভর্বিষ্যত-
প্রজম্মের জম্ম লগ্ন ।
এই রাষ্ট্রে জম্ম নেওয়ার পূর্বে , তারা
খাজনা দিয়ে জম্ম নিবে তো ?
না কি ? আমার মত বোবা হয়ে ,
নৈরাজ্য কে দেবতার আসনে বসিয়ে-
মার খেতে খেতে মরবে !
তাদের জানা আছে কি ? 
        এই রাষ্ট্রে
জম্ম নিয়ে কাঁদতে বারন আছে।

Wednesday, June 3, 2020

কবিতা

তুমি আসবে বলেছিলে ,
এই বৈশাখের কোন এক বিকালে ।
তুমি আসবে- বর্ষার আগমন বার্তা হাতে ।
বৃষ্টির জলে ভেজা , তোমার কায়া ।
কাপা কাপা অধরে ,বলবে বলেছিলে ভালোবাসি ।
কদম ফুলের রেণুতে-রেণুতে সৌরাভ
ছড়াবে বলেছিলে ।
তোমার শরীরে বন্য ফুলের সৌরভ মেখে ,
আমাকে উম্মাদ করবে বলেছিলে !
চৈত্রের দাবদাহ খরায় তৃর্ষ্ণাত আমাকে -
অধরের চুম্বনে পিপাসা নিবারন করবে বলেছিলে।
সেই যে ,সেই দিনের পর আজ ,
প্রতিক্ষার কত শত বৈশাখ আসে-যায় !
তুমি তো কথা রাখনি , তবে কী
মানুষ কথা দিতেই ভালোবাসে
কথা রাখতে নয়? 
হয়তো তোমার মত কথা দিয়েছিল ,
কিংবা তুমি দিয়েছিলে বরুনার মত ।
সেই ব্যথা বুকে লালন করে হয়তো !
সুনীল গঙ্গাবধ্যায় আক্ষেপ করে বলেছিল-
কেউ কথা রাখেনি ।

আক্ষেপ