আত্মহুতি
ধর্ষিতার করুন চিত্কার,পতিতার শীত্কার
মিলে মিশে একাকার ।
রাতের আধারে কিংবা দিনের আলোতে
সব আজ পরিষ্কার ।
আজ এই শহরে কার্ফূ জারি হয়েছে !
হয়েছে একশো চুয়াল্লিশ ধারা ।
বৃষ্টিরধারা হয়ে ঝড়ছে শিসা ।
কালো কাঁচে ঢাকা গাড়িতে চলছে,
যতসব দুপায়ে শুয়োরের বাচ্চা ।
মানব রূপে দানব সব ,
মানুষের রক্তে লিখতে চাই মানবতা ।
ঐ তো আসছে ভূমি দস্যূ ,
ছুটছে বলে স্বাধীনতা স্বাধীনতা !
ক্ষুধার্ত শিশু কাঁদছে , ভীষণ ক্ষুধায়।
জম্ম-জম্মান্তের ক্ষুধা তার, শিকলে বাঁধা।
ঘৃণা আর প্রতিহিংসা, চিৎকার করে বলে,
শিকল খুলে দে হারামজাদা , বাধন খুলে দে -
আমার পায়ে আটকানো বেড়ি খুলে দে,
ওরেও নিষিদ্ধ পল্লীতে জম্মানো অমানুষের বাচ্চা ।
হিংস্র শুয়োর দু-পায়ে দাড়িয়ে আজ ,
মানুষের রক্তে মানবতার ইতিহাস লিখতে চাই !
হে মোর জম্মভূমি ,এসো পদচুম্বন করো মোর !
অবাক চেয়ে , কি দেখো ?
এ কেমন সন্তান ;জননীরে বলে পদচুম্বন করতে ! অবাক হবার কি আছে ?
যে মাতা সন্তানের লালসায় দগ্ধ হয় অনারবত ,
চেতনায় উত্তজীব্বিত সন্তানের হাতে হয় ধর্ষিত।
আমিতো চেতনার ক্ষুধা নিবারণ করতে চাই'না ।
ধর্ষণ হবার চেয়ে, পদচুম্বন শ্রেয় না?
এ কী এ কী?
সত্যি সত্যিই !
এ তুই কি করিস? মাতা জম্মভূমি।
আমি তো অকৃজ্ঞ না ; দুশ্চরিত্র না।
রাগে অভিমানে দু-কথা না হয় বলেছি ।
তাই বলে !
জানিস মা - মাঝে মাঝে কী মনে চাই ?
এই বুকে গ্রেনেড বেধে আত্মহুতি দেয়-
বঙ্গভবনে কিংবা সংসদে ।
যত সব শুয়োর বসত করে ঐ নরকে ।
মায়ের ইজ্জত, মায়ের সম্মান রক্ষার্থে
যায় না-হয় যাক, এই অধমের মূল্য হীন জীবণ ।
আয় মা আয়
তোর পদযুগল এগিয়ে দে ।
আমি চুম্বন করি ।
No comments:
Post a Comment