Tuesday, March 23, 2021

লাল এই দু'ই চোখ

একটি নিকোটিন পোড়াতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে ।
মনের গহীনে বসবাস রত হিংস্র কষ্টরা জেগে উঠেছে ।
বড় অশান্ত আর ক্ষুধার্ত ।
আমার কলিজাটাকে ছিদ্র করে 
চলছে অভিরত ।
এখন একটু নিকোটিনের বিষ চাই ।
দিশলাইয়ের আগুনে জ্বলে ওঠা-
নিকোটিন পোড়া সাদা ধোয়া !
ওদের কে থামাতে চাই ।
অষ্টপ্রহর কষ্ট মোর , নিকোটিনের 
আগুনে নিকোটিন জ্বেলে ভুলতে চাই ।
শরাবের ঘ্রাণ ব্যকুল হৃদয় -
কোথা গেলে নিকোটিন পাই ?
আমি আমাকে না , আমার ভিতরে 
থাকা ছোট ছোট দুঃখের-
 বিশাল দৈত্যের ক্ষুধা মেটাতে,
 একটু শরাব চাই ।
আমি নিকোটিনের আগুনে নিকোটিন জ্বেলে -
দুঃখ ভুলে থাকতে চাই ।
আমি টাকা চাই না বাড়ি চাই না ।
শাড়ী চাই না ,  না চাই শাড়ীর মালিক ।
আমি বিষ চাই, নিকোটিনে বিষ !
আদিম হিংস্র আমি শরাবের 
নেশায় নেশাচ্ছন্ন , লাল এই দু'ই চোখ।
প্রেম প্রেয়সীর আদরে , কামনা কিংবা বাসনাতে না ।
শরবের চুমকে আর ও লাল ।
আমাকে শপথ করিও না ,  আমি-
রাখতে পারবো না ।
এখন আমি পূর্নিমার চাঁদের জ্যোত্‍স্নাকে ,
আমার কামনার সঙ্গী করব !
নিকোটিনের সাদা ধোয়া ছেরে ,
চাঁদের উত্‍ত্তল যৌবণে চুম্বন করবো।
এখন এই দু'টি চোখ ভীষম আকারে লাল !
কেন লাল ? জানতে চেও না !
নেশায় আচ্ছন্ন আমি উত্তর দিতে পারব না ।
মহান তুমি
প্রখর তাপে দহন হচ্ছে ,বিশাল জন সমুদ্র ।
চাই চাই কল্ ধ্বনি , চাই চাই আরও চাই- 
     ইশ্বর বসছে আজ জনসম্মুখে !
          বন্ঠিত হবে সুখ -দুখ
হাসি -কান্না , অন্ন বস্ত্র বাসস্থান , রাজত্ব্য- বন্ঠিত
হবে ক্ষমতা , বন্ঠিত হবে বেদনার নীল আকাশ ।
রাজা এসেছে , মন্ত্রী এসেছে , সেনাপতি , উজির -
নাজির , পেয়াদা সেও এসেছে ! দাসী বাদী 
     চাকর - চাকরানী সবে এসেছে ।
গ্রাম থেকে গ্রাম , শহর থেকে শহর , তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে-
মানুষের ছুটোছুটি , আর একই ধ্বনি -
এটা চাই , সেটা চাই , ওটা চাই  ।
অনাহারী আহার চাই , বস্ত্রহীন বস্ত্র , জমিদার চাই 
সীমানা -
রাজা চাই রাজত্ব্য , সকলে চাই শুধু চাই ।
ক্যান্সারে আক্রান্ত , শরীরে পোক ধরা লোকটাও 
বাচতে চাই !
মানুষ শুধুই চাই আর চাই ।
সূর্যের ওমন দীপ্ত আলো , চাদের মায়া -
একে একে সব চেয়ে নিয়েছে মানুষ !
সুখ চেয়েছে , হাসি চেয়েছে , প্রেম চেয়েছে
অর্থ কড়ি চেয়েছে , বিলাস বহূল বাড়ি ।
ইশ্বর সব দিয়েছে, তবুও !
না পাওয়ার আক্রোশে  মানুষ !
"ইশ্বর কে অভিশাপ দেয় , তুই ভৎস্ব হ " 
মৃদু হেসে কিঞ্চিত নীল মেঘ হাতে ইশ্বর বলে
 কে আছিস ওরে ? এখনও যে কষ্টের মেঘ অবশিষ্ট আছে ।
মূহুর্তে বিশাল জনসমুদ্র শূন্য , নীরব ;
হরিণের দলে হিংস্র সিংহ হানা দিলে ,যেমন সব পালিয়ে যায় ।
ইশ্বর মৃদু হাসলো , একটু উপহাসের স্বরে -
কেউ নাই ,
জন শূন্য মাঠ , চিৎকার করে উঠলো ! 
এক ,পাগল কবি -
আমারে দে , আমারে দে , কষ্টের নীল আকাশ আমারে দলিল করে দে ।
ইশ্বর বড় আশ্চর্য হলো , 
সব দিয়েও ইশ্বর ধিক্কার পেলো !
শুধু একজন , যে জন কে ইশ্বর দিয়েছিলো
 কষ্টের নীল আকাশ ।
শুধু সেই বলেছিল ধন্য তুমি , মহান তুমি
 হে মোর ইশ্বর ।
সব পেয়েছি আমি , সব দিয়েছো তুমি -
না পাওয়ার এই ভূবনে ।।

Wednesday, March 17, 2021

যৌবণ
বয়সের ভরে একদিন আমি বৃদ্ধ হবো ।
এখন আমার আগুন জ্বালানো যৌবণ ।
আকাশ হতে ছিনিয়ে ,আনতে চাই -
চাঁদ ও সূর্যকে ।
সাগর জল শুষে নিতে চাই ! পিপাসীত- 
রূপকথার দৈত্যের ন্যায় ।
সর্পরাজের মনি ছিনিয়ে, প্রিয়ার
অধরে রেখে চুম্বন করতে চাই এই মন ।
এখন আমি উম্মাদ,অসভ্য যৌবণ।
হায়েনার মত হিংস্র আমি, চিতার মত ক্ষিপ্ত , সিংহের মত গর্জনে-
কাঁপাতে চাই বিশ্ব ।
আমি আমার মাঝে ,কি যেন খুজে ফিরি ?
এই আমি কেন এত অসভ্য !
যৌবণ তুমি বড় বেপড়ওয়া ,বড়
বেশী ছন্নছারা ।
কী যেন হারিয়ে ? এসেছি এই পথে ।
মনে পরে কী বন্ধু , সেই যে , সেই দিনের কথা ?
বিকালে পুকুর পাড়ে , আমি-তুই
আমরা ছুটে চলেছি রঙিন এক ঘাসফড়িং-
 এর পিছে ।
দু-হাতে , খুব ই গোপনে ।
কী উল্লাস , সে কী উল্লাস !
পড়ন্ত যৌবণ এসে , বাধ্যক্রর এই পথে ।
ফিরে পেতে মনে চাই , আবার সেই পুকুর পাড় ।
ফিরে পেতে মনে চাই , আবার সেই ঘাসফড়িং ।
( রি-পোষ্ট)
আমি ছুটবো টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ।
আমি চিত্‍কার করে বলবো,
মানিনা মানবো না এই সংবিধান,
এ আমার জম্মসূত্রে পাওয়া অধিকার ।
তুমি কে আমার অধিকার কেরে নেবার ?
আমি তোমাকে চিনি না , আমি তোমাকে চিনতেও চাই না ।
আমি রাজ পথে দাঁড়িয়ে চিত্‍কার করে করে বলবো
এটা ন্যায় ,ঐটা অন্যায় ।
এই আমার ভাইয়ের রক্তে কেনা স্বাধীনতা ।
তুমি কে , আমার নামে দেশদ্রোহীর সীল মোহর মারার ?
কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছো !
আমার হাতে হাত কড়া দিয়ে , পার পেয়ে যাবে ভেবোছো ?
বাঙালীর রক্তে আগুন আছে ,
বাঙালীর রক্তে মিশেল , গ্রেনেড আছে ।
এক একটা বাঙালী , এক একটা পারমানুবিক শক্তি নিয়ে জম্মেছে ।
আমাদের কে জ্বলতে বাধ্য করো না !
একবার জ্বললে থামাতে পারবে না ।
আগুনের সে লেলীহান শিখা ,
হাসিনা জানেনা ,খালেদা জানেনা ।
জানে বাংলাদেশ , বাংলা কে নিয়ে
যে করবে খেলা ! তার অস্থিত্ব আর 
এই ধারাতে খুজে পাবে না ।
আমি ও আমরা স্বাধীন । আমাদের
স্বাধীনতা কেরে নিতে চেও না ।
তাহলে তুমি ও বাঁচবে না ।
কথা রাখতে পারি না ,ও গো বিধি
-কথা রাখতে পারি না ।।
পাপ পূর্ন্যের এই দুনিয়াতে ,আমি কথা রাখতে পারি না ।।
মুহম্মদ রাসূল মোর , তুমি মোর স্রষ্টা ।।
এত সম্মান দিলে মোরে ,
তবুও তোমার গুনাগুন করি না ।।
আমি বড় অভাগা ,ও গো বিধি , আমি বড় অভাগা ।।
পাপ পূর্ন্যের এই দুনিয়া ,আমি কথা রাখতে পারি না ।
দেখ গো বিধি , ঐ যে আরব দুলাল -
কাঁদে রওজা মোবারকে -উম্মতি উম্মতি ।।
আমি যে বড় অভাগা , নবীর সম্মান রাখতে জানিনা ।।
পর পারে বেধো না মোরে ॥
তোমার ঐ প্রশ্ন জালে - উত্তর যে আমার নাই জানা ।
দেখো চেয়ে , কুলসিরাতের ঐ পারে-
তপ্ত পোড়া মাটি হয়েছে কাঁদা ॥
কাঁদে নবী মোর উম্মতের কান্ডারী ।
ইয়া উম্মতি ,ইয়া উম্মতি বলিয়া ॥
ও গো বিধি , তোমার ও আরশ টলে-
নবী মুহাম্মদের অশ্রু জলে ॥
শেষ বিচারের ময়দানে , ডেকো মোরে উম্মতি মুহাম্মদ বলিয়া ॥
জানি মোর আশেকি নবী , যাবে না
মোরে ছারিয়া ॥
সন্তানরে যেমন পিতা রাখে বুকে আগলে - 
শত অপরাধেও করে ক্ষমা।
তেমনি মোরে বুকে রাখবে , নবী মোর রহমতউল্লাহ ।

Monday, March 15, 2021

কথা আছে

সুখ তাঁরা আমাকে ফাকি দিয়ে আর কত ,
ভোরের আকাশের মন জয় করবি তুই ।
তুই কী জানিস না, তোকে মন ভরে দেখবো বলে, আমার রাত্রী জেগে থাকা ।
 তুই কী জানিস না ,সারা রাত জাগা ক্লান্ত এ দু নয়নে ,প্রভাত পাখিরা গানের সুর বেধে দিয়ে যায় । 
নিদ্রাদেবী বিশ্রী হাসি হেসে এই দু নয়নে নিদ্রার মোটা চাদর ফেলে দেই। 
অব্যর্থ চেষ্টা করেও ,নিজে কে ধরে রাখতে পারিনা । 
 ঘুমের আবেগ মাখা পরশে ,নিদ্রাদেবীর কোলে মাথা রেখে এই আমাকে আমি অচেনা হয়ে যায় । 
তখন তুই চুপি চুপি আমাকে ফাকি দিয়ে ,
ভোরের আকাশ কে ভালোবাসা দিস । 
ইশ বড় ইর্ষা হয়, যদি আমি ভোরের পাখি হতাম ।
 তোর আগমনে খুশির পরশে ভালোবাসার সুর বাধতাম ।
তবুও জেগে থাকা ,যদি একবার তোকে প্রাণ ভরে দেখতে পাই এই মাঝ রাতের আকাশে ,
কোটি তাঁরার ভিরে খুজে নিয়ে তোকে বলতাম দুঃখ সুখের দুটি কথা । 
কোন সে অনলে দহন হয়েছে হৃদয়, খুজে নিয়েছে এই পুড়া মন নিশি জেগে তোর প্রতিক্ষা । 
প্রতিক্ষার সীমা ভেদ করে যদি সময় হয় ,তবে একবার মাঝ রাতের দূর আকাশে দেখা দিস কথা আছে ।
(অরন্য)
"2007 এ ভোটের আগে লেখা"
মুখোশ পরা নেতা

আজ এসেছে মোদের "অকাল-বোধন"
পিছু পা হবার উপায় যে নাই ।
যদি হয় পিছু পা -
সকলে হবে "অগ্নিশর্মা" মোদের ওপর ।
আজ আমরা হয়ে গেছি ওদের কাছে
"নীল আকাশের চাঁদ"
গত কাল ও ছিলাম মোরা ,
তাহাদের কাছে "তাসের ঘর" ।
এখন শুনি তাদের মুখে -
আমরা নাকি তাদের "ইয়ার বকশি" !
আজ ওরা-
বলে কত ,মোদের নিয়ে "আষাঢ়ে গল্প" ।
অথচ -
গতকাল ও দিয়েছিল গালি বলে,
শালা "কচুবনের কালা চাঁদ" ।
ওরা তো ভাই "অগাধ জলের মাছ"
রং বদল করা যে ওদের কাজ ।

Thursday, March 11, 2021

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম 
১১/০৩/২০

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়, 
দেখতে হয় না, কাছে রাখতে হয় না! অথচ, 
এই মুহূর্তে সে কি করছে বলে দেওয়া যায়,
সময়ের স্রোত, বিশ্বাসের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে।

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়, 
সহস্র বছরেও, এতোটুকুও অবিশ্বাসের কচুরিপানা 
জমাট বাঁধতে দেয় না।  
চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়, 
সে কেমন আছে, কতটা ভালো আছে।
চোখ দেখলে, সাগর খুঁজে পাওয়া যায়! 
বুকের মাঝে আকুলতা খুঁজে পেতে-
বিরহের গল্প শুনতে হয় না। 
তার হাসির আড়ালে বিরহ খুঁজে পাওয়া যায়।
তার পদ চরণের পরিবর্তনের শব্দ,
বুকের ভেতর টা, গুপ্ত- বালুচরে পড়ে যাওয়া
প্রিয়, মানুষের আর্তনাদ জানান দিবে। 

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়, 
কোন চাহিদা থাকে না,  তবুও ঋণেঋণে জর্জরিত
করে তোলে,  আমার ও আমাদের। 
বিশ্বাস, বিশ্বাস আর বিশ্বাসের, পর্বত গড়ে তোলে। 
হারানোর ভয় থাকে না! 
কাছে আসলে, সময়ের স্রোতে বাঁধ দিতে ইচ্ছে হয়। 

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়, 
ভালোলাগা ভালোবাসার মাঝে বিভেদ থাকে না, 
ঝগড়া থাকে, অভিমান থাকে, বিচ্ছেদ থাকে না। 
দুঃখ থাকে, কষ্ট থাকে অথচ বিরহ থাকে না। 
সুখের পায়ে বেড়ি পড়িয়ে, কাটে  দিন।

অথচ কোন অভিযোগ থাকে না। 

সম্পর্ক গুলোর মাঝে অধিকার থাকে, 
অধিকার হরণের ক্ষমতা থাকে না। 
শ্রদ্ধা থাকে, স্নেহ থাকে, ভালোবাসা'র-
 কমতি থাকে না। 

সম্পর্ক গুলো অভিমান করেছে,  
সম্পর্কের সাথে মানুষ আজ সম্পর্ক রাখেনা।। 

বিষাদ ভর করেছে,
একাকীত্বের তীরে, নৌকা ডুবুডুবু করে। 
মানুষ সম্পর্কের অভাবে বিষন্নতায় ভোগে।