পঁচিশে জানুয়ারি
২৫/১/২০
অথচ চেয়ে দেখো কি নিঃসঙ্গতা নিয়ে
একটা দুপুর, একলা চিল ডানা ঝাপটা দিয়ে জানিয়ে যায় চিৎকারে, তার একাকীত্ব।
আমি তো চিল না, তবুও সমুদ্র পাড়ে গেলে চিৎকার দিতে ইচ্ছে হয়, প্রিয় নাম ধরে।
আমার শকুনের ন্যায় তীক্ষ্ণ দৃষ্টি,
এখনো খুজে চলে তোর দেহের প্রতিটি নক্ষত্র।
তোর চিবুকে যে তিল বাসা বেধেছে
ছুয়ে দিতে ইচ্ছে হয় তাকে।
তোর কন্ঠ নালীর সামান্য নিচে, বুকের বাম দিকে
কিংবা অসীম সমুদ্রের উচ্ছাসে ঠাঁই মিলেছে
ওই চক্রকেন্দের সামান্য উচুতে।
ছুয়ে দিতে ইচ্ছে হয়, সে কি গভীর ইচ্ছে!
যেমন একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ে,
তেমন ক্লান্তিহীন হয়ে, ইচ্ছেরা বুকে আঘাত করে।
আজ তুমি মৃত্যু,
শোকের মিছিলে লক্ষ লক্ষ প্রেমিক তোমার।
শুধু আমি নেই, সে মিছিলে।
তোমার শূন্যতা আমাকে একাকীত্ব করে তুলেছে,
বিষন্নতার বীণাতে সু করুণ সুর উঠেছে।
আমাকে করেছে উদাসী,
তবুও আমি চরম তুমি বিদ্রোহী ।
যত শূন্যতা গ্রাস করুক,
যত বিষন্নতা আমার দশ দিক বিষাদে বিষাক্ত হোক।
আমি তোমাকে প্রার্থনা করবো না।
আমি তোমার তোমাকে ভালোবাসি,
কিন্তু তোমাকে না।
তবুও আজ পঁচিশে জানুয়ারি, তোমাকে চাচ্ছি প্রিয়।
হয়তো তুমি ভুলে গেছো,
হয়তো নতুন বসন্তে, নতুন কোকিল আসবে।
তবুও তুমি কি ভুলে যাবে?
আজ পঁচিশে জানুয়ারি!
কোন এক বসন্তে, এক কাক এসেছিল
ছিন্নভিন্ন করেছিলো বাগানের সাজানো রূপ।
হয়তো ভুলে গেছো, নতুন সুখের শীৎকারে
মায়া নিয়ে হয়তো দেখছো ক্লান্ত যুবক কে!
সমুদ্র শুকিয়ে যায়, সৃষ্টি হয় ব্যথার বালুচর
অনাদি কাল কেটে যায়।
দগদগিয়ে ক্ষত, উত্তপ্ত হয় আবার হয় শীতল।
কি ভীষণ পোড়ে, কি ভীষণ উষ্ণতা হীনতা
যদি বোঝাতে পারতাম!
ভুলে আছি, ভুলে থাকবো প্রতিজ্ঞা নিয়েছি,
তোমাকে নিয়ে লিখবো না কোন কবিতা।
তবুও আজ পঁচিশে জানুয়ারি ,
ছুয়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে,
তোমার চিবুকের তিল টা।
রাত ৪.১৭
No comments:
Post a Comment