Friday, May 29, 2020

কবিতা

এসো সকলে এক হয়
(উত্‍সর্গ: বি জি বি "শহীদ মিজানুর রহমান")

স্বাধীনতা এই কি ছিল তোমার দেওয়া ,শহীদের রক্তের প্রতিদান ।
স্বাধীনতা এই জন্য ই কি পাগলের দল জীবণ বিলিয়েছে বুকে গ্রেনেড বেধে ।
স্বাধীনতা কোথায় তুমি ,42 বছর ধরে বাংলার পথে পথে তোমাকেই খুজে আমি দিশেহারা ।
কোথাও নেই তুমি , মরিচিকা তুমি ,পাগল আমি তাই তো খুজে ফিরি তোমারে ।
বাংলার বুকে বাংলার সন্তান খুন হয়, গুম হয় ,ধর্ষিতা হয় বোন ।
ওরা কারা ,যাদের এত বড় র্দুসাহস।
তোমার বুকে বসে তোমারি কলিজা ছিঁরে খাই হিংস্র থাবায় ,
ওরা তো ভিনদেশী কেহ নহে ।
তবে কী ওরা মানুষ রূপে বন্য শুয়োর ।
স্বাধীনতা কোথায় তুমি , 42 বছর পারি দিয়ে আজো আমি পরাধীনতার ছিকলে বাধা পরে আছি ।
ভিনদেশী শত্রুদের যে হাতে নিঃস্তব্দ করে রেখেছিলাম ,আজ সে হাতে চুড়ি পরিয়ে দিলো কে ।
স্বাধীনতা তোমাকে পাবার আশায় নিজের বুকের পাজর পেতে ধ্বংস করেছি শত্রুর যুদ্ধ জাহাজ ।
আজ সে বুকে এত কিসের পিছুটান,
কোন সে সাহসে ভিনদেশী হায়েনার বুলেটেএখন ও ছিনিয়ে নিচ্ছে আমার জোয়ান (বি জি বি) ভাই।
সকল বিদ্ধেষ ভুলে বাধা নিষেধ ভেঙে,
ক্ষমতার লোভ ভুলে হাতে হাত ধরে, এসো বাঙালী এক হয়ে স্বাধীনতা অমৃত স্বাদ গ্রহণ করি ।
তবে দেখবে চেয়ে থরথরিয়ে কাঁপবে ভিনদেশীয় হিংস্রুক জানোয়ারের বুক ।

Wednesday, May 27, 2020

কবিতা

অন্ধের আহাজারি

এখন বুঝি অনেক রাত এখানে,
ধূসর কালো অন্ধকারে আছন্ন এই ধারা।
হবে কী প্রভাত, প্রভু।
আমার আজম্ম এই ঘোর অন্ধকার ধারায় ,
ভোরের হাসি কী দেখা হবে না কভু ।
জম্মদাতা পিতার দেহের গন্ধ র্স্পশ করে যাই আমারে ।
দু হাতে হাতরে ফিরি ,দেখিনাই কভু জম্ম দাত্রী মায়ের ও মুখ ।
কখন সূর্য পূর্ব গগণে ,কখন সে পশ্চিমে ,
মাঘী পূর্নিমার অনেক গল্প শুনেছি ,
দেখা হয় নাই তব তাহার রূপ ।
আমার আজম্ম এই অন্ধধারায় ,
প্রেয়সীরে হাতরে ধরেছি ,
ভালোবাসায় বক্ষে বেধেছি।
তবু পিপাসায় কাতর মন নয়ন মেলে দেখতে চাই তারে ।
আমারি ঔরশ জাত ঐ ছোট্ট সোনামনি ,
বাবা বলে ডাকে যখন ।
মনে চাই আকাশ মত্ম এক করে বক্ষে আগলে রাখি তারে ।
দু নয়ন মেলে চেয়ে দেখি ঐ স্বর্গফুল কুড়ি ।
বিধাতা নয়নের আলো যদি নাহি দিবে ,
কেনো মোরে এই ধারায় প্রেরণ করিলে ।
আমার এই অন্ধকার জগত্‍ এ ,
চির দিন থেকে গেলাম নিজেই নিজের অচেনা হয়ে ।

Thursday, May 21, 2020

কবিতা

স্মৃতি কথা

বৃষ্টিস্নাত সে সন্ধ্যা , আমার রাত্রী জেগে থাকা ।
তোকে নিকে মহাকাব্য লেখার এক র্দূ-সাহস ।
সাদা কাগজে আকি বুকি , বৃথা কাগজের কলঙ্ক করা ।
তোকে নিয়ে 'একটি কবিতার একটি চরন লেখার ব্যার্থ চেষ্টা ।
ঐ খানে থেমে গেছে কবি, যেখানে শুরু সেখানে শেষ ।
ভালোবেসে তোকে , হলো না আর লেখা ,একটি প্রেমের কবিতা আমার ।
আমি চির কাল অন্যের সুখবিলাস পড়ে গেলাম, মহা আনন্দে করতালিতে উল্লাস করলাম ।
অথচ ! এত প্রেম বুকে নিয়ে।
সকাল অবদী সন্ধ্যা, আবার সন্ধ্যা থেকে ভোর আমার বৃথা নিদ্রাহীন প্রহর ।
আমি আমার মাঝে ,আমার কবিত্বের সমাধী জানিনা করেছি কখন ।
এতটুকু জানি, বৃথা আমার নিদ্রাহীনতা ।
হয়তো হবে না কোন মহাকাব্য,
তোকে আমাকে ঘিরে ।
অন্তত্য দুটি কথার পিঠে দুটি কথা সাজিয়ে , একটু ছন্দ মিলিয়ে ।
লিখে যেতে চাই আমি আমার ব্যার্থ প্রেমের স্মৃতি কথা ।

Sunday, May 17, 2020

কবিতা

অথচ ওরা, আমাকে আসতে দেয়নি।
একশো চুয়াল্লিশ ধরা জারি করা হলো।
মোড়ে মোড়ে বসানো হলো চেকপোস্ট,
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে, মশা মাছির ওপরেও
পরীক্ষা করা হলো, আমার পথরোধ করতে।
কি আশ্চর্য!  আকাশ পথ, নৌ পথ, স্থল পথ 
কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হলো! 
কুকুর গুলোর নির্দিষ্ট একটা চিৎকার ছিলো!
 অবশ্য,
এই কুকুর গুলো অন্যরকম, 
একেবারে'ই অন্যরকম! 
চারপায়ের কুকুর গুলো, 
এই প্রজাতির কুকুর দেখে;
ঘৃণা আর লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নেবে । 
তবে এই প্রজাতির কুকুর গুলো, বড় প্রভু ভক্ত।
তারায় রোধ করে আমার পথ;
তবুও-

      আমি একবার এসেছিলাম, 
      ভালোবেসে যখন আহবান করেছিলো। 
      আমি এসেছিলাম একবার
      একশো চুয়াল্লিশ ধারা ভেঙে। 
      করাচির বুক কাঁপিয়ে, এসেছিলাম 
      মতিউরের টি-৩৩ এ চেপে। 
      আমি একবার এসেছিলাম, 
     এই বাংলার প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি ধূলিকণায়।

আজ আমার হাত বাধা, 
পা'য়ে শিকল;
মুখে বন্দুকের নল। 

       আমি যদি,
               আমার কথা বলি,
               অধিকারের কথা বলি,
               ক্ষুধা ও ক্ষুধার্তের কথা বলি,
               অসহায় ও অনাহারীদের কথা বলি,
               আমি যদি চোরের বিপক্ষে কথা বলি, 
               যাহা ভন্ড মিথ্যা অনাচার 
               সে'ই পাপের বিপক্ষে যেয়ে 
               ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি! 
 
আমি জানি, 
আমাকে খুঁজে, ক্লান্ত তোমার কুকুর গুলো 
ঘেউ ঘেউ শব্দে আনন্দ মিছিল করবে। 
বন্দুকের টিগারে একে, একে 
জয়ের ধ্বনি উচ্চারিত হবে। 

যে'ই আমাকে, ছিনিয়ে এনেছিলে
যে'ই আমাকে, আনতে বুক পেতে দাঁড়িয়ে ছিলে
শত্রুর সাথে আপোষ করনি বিন্দুমাত্র। 
সে'ই আমি, আমার কথা যদি বলি আজ ;
তোমার বন্দুকের নল -
আমার মুখে ঠেকিয়ে রাখা আছে !
তোমার লেলিয়ে দেওয়া কুকুর ;
টিগারে আঙুল দিয়ে, অপেক্ষারত। 
তবুও বলব আমি, 
    
     আমি কে? 
    জানতে ইচ্ছে হয়? 
 
      আমি স্বাধীনতা 
     আমি অধিকার 
অসহায় নির্যাযিত মানুষের স্বপ্ন আমি। 

( স্বপ্ন আমি, ১০/০৫/২০)

কবিতা

***মৃত্যু উৎসব***
১৮/০৫/২০১৬

তুমি না হয় বিষ পান করো ,
তুমি আর কিছুদিন অপেক্ষা করো ,
থোকা থোকা সুখ আনবো আমি ।
আমার সব সুখ কর্য দিয়েছি ,
একটু দুঃখ পাবার আশায় !
এখন আমি দুঃখের প্রেমে পড়েছি ,
তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি তাকে ।
বুকের মাঝে যতন করে আগলে রেখেছি ।
তুমি না হয় নদীতে ঝাঁপ দিও
কিংবা গলে রশি দিও
ট্রেন কিংবা বাসে ও মাথা দিতে পারো !
নিশি রাতে সর্পের গর্তে হাত দিয়ে-
কাল কেউটো কে ধরতে পারো ।
তুমি না হয় নিজেই নিজের শ্বাঃস রোধ করো ।
আর কিছু দিন অপেক্ষা করো ,
আমি থোকা থোকা সুখ আনবো ।
তোমার ঠোটের ছোট্ট তিল ছুয়ে দিতে কত চেয়েছি ;
তুমি মরলে আমি ঐ তিল কিনে নিবো ।
তোমার যে চোখে চোখ রেখে নিজেকে হারিয়েছি- ঐ চোখ আমি কিনে নিবো ।
তুমি বরং আর একবার চেষ্টা করো ,
বিষ পান করে , গলে রশি দিয়ে
নদীতে ঝাঁপ দিলেও মন্দ হয় না ।
তার চেয়ে বরং
চলন্ত ট্রেন কিংবা বাসের তলেও মাথা দিতে পারো।
মন্দ হয় না, যদি তুমি
বিষাক্ত এ্যালকোহলের স্বাদে
মৃত্যুকে বরণ করো ।
মোট কথা মরতে তোমাকে হবেই হবে ।
আমি আর কিছুই চাই না -
শুধু ঐ তিলের মালিক হতে চাই ।
তোমার চারিদিক চেয়ে দেখো মৃত্যুরা করেছে মহাউৎসব-
তুমি কি ভাবে মরতে চাও ?
আমি তোমার অধরের ওপর ছোট্ট তিলের রাজ্যত্ব টা চাই ।
সেদিন দেখো আমি থোকা থোকা সুখ আনবো ।
পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন এক গল্প রচনা করবো -
তোমার মৃত্যুর মহা উৎসব করবো , যে দিন !

Thursday, May 14, 2020

কবিতা

কবি ও তার ডায়েরী

কবি, কবি ঘুমাইয়েছো নাকী ?
   না ।
এখন ও জেগে আছো যে-
তন্দ্রা নাই তোমার ও নয়নে ?
না গো কবিতা ।
তুমি ও যে নিদ্রাছন্ন, ঘুম আসে না বুঝি ?
                না ।
   কেনো ?
স্মৃত্মির খাতা এলোমেলো , তোমার জ্বালানো -
 মোমবাতি এখনো আলো দিচ্ছে ।
কি করে ঘুমায় আমি ! 
কবি , আর কত এ রাত জেগে থাকা ?
 আর কত অপেক্ষায় প্রহর ,নয়ন জলে
 চাঁদের আলো কে মলিন করবে ?
 কত আর কলমের আঘাতে -
স্মৃতির খাতায় ক্ষত চিহ্ন একে যাবে। 
আর কত রাত জেগে এক একটি কবিতার জম্ম দেবে ? 
নেশায় মগ্ন থেকে , আর কত ফুল কে -
 পদপৃষ্ট করতে যেয়ে নিজে কাটায় আঘাতে রক্তাত হবে ?
 আর কত ! এক নারী কে মনে রেখে,
 হৃদয়ে কষ্ট পাখিটি আদরে লালন পালন করবে ?
 এবার জাগো কবি  ,মোমবাতিটিতে ফুঁ দাও । 
স্মৃত্মির খাতা বন্ধ কর । 
আমাকে একটু বিশ্রাম নিতে দাও ।
 তোমার দুঃখে কবিতার জম্ম , 
তাই বলে কি কবিতা চির দুঃখী থেকে যাবে ?
 ওঠো কবি স্মৃত্মির খাতা এবার বন্ধ কর । 
জ্বলন্ত মোমবাতি টি কে একটু বিশ্রাম নিতে দাও । 
ও তো প্রতিরাতে তোমার দুঃখ ভরা মন কে-
 একটু আলোকিত করতে নিজেকে নিশ্বেস করে দিচ্ছে । 
দয়া করে এবার আমাদের কে একটু বিশ্রাম নিতে দাও ।

Tuesday, May 12, 2020

কবিতা

হৃদয়হীন
১৩/৫/২০১৫

রাতের চাঁদের মৃদু আলো চেয়ে চেয়ে দেখি যখন ,
মনের গহীনে ভেসে আসে তোমার ও মুখ খানি ।
স্বপ্নচোরা মেয়ে কোথা গেছো হারিয়ে?
এখনো ও যে আমি ভালোবাসি তোমাকে ।
মৃদু ছন্দে দক্ষিনা বায়ু যখন ঘ্রাণ দেয়,
তোমার কেশের সৌরভ যে আসে ভেসে ।
গোলাপি পাপড়ী যখন ঝড়ে পরে ,
তখন আমি দীর্ঘ চুম্বনের পর তোমার
অর্ধ রঙ্গিত অধর কে দেখতে পায় ।
বিশ্বাস করো,
বিষম পরিশ্রমের পর যখন আমি ক্লান্ত,
একরাশ সুখের অলসতা আমাকে ভর করে ,
তখন যেন বক্ষে জড়িয়ে -
আদরে আদরে ভরিয়ে রেখেছো মোরে ।
ঘুমের ক্লান্তি যখন নয়ন স্পর্শ করে,
যেন তুমি স্বপ্ন চোরা হয়ে ,
এখনো আমার বুকের উপর ভর করে,
হাতে হাত চোখে চোখ অধরে অধর -
আলতো স্পর্শ কাতর ভালোবাসার আলিঙ্গন বদ্ধ ।
জানিনা আজ সেই তুমি কত দূরে!
আজও অন্তর আত্মা তোমারে খোজে ।
হৃদয় এর র্স্পন্দন থেমে গেলে, যেমন সে মূল্যহীন ।
আমার এ হৃদয় এর র্স্পন্দন হয়ে,
আজ তুমি হৃদয় হীন।

Tuesday, May 5, 2020

কবিতা

ছুটি দাও

আমাকে যেতে হবে, বহু দূর -
এইবার আমাকে যেতে দাও ।
সোনালি ধান ক্ষেত দিয়ে পাড়ি,
ধূলা বালির পথ পায়ে হেটে -
হিজল বাগানের শুকনা পাতা,
পায়ে পিষে যেতে হবে ,
      যেতে হবে ।
সেখানে আছে কাঁঠাল গাছে-
সাজানো বিশাল বাগান । 
সময় আপন স্রোতে ;
বেয়ে চলে নিরবোধী ।
আমাকে ছুটি দাও ,
যেতে হবে বহুদূর ।
সব কথা এখন যদি বলে দাও !
বাকি থাকে না আর কিছু বলার ।
কিছু কথা থাক জমা -
তবে হবে যে আবার ও দেখা ।
কথা বলার আকাক্ষায় ,
ছুটে ছুটে আসা ।
সময়ের ঘূর্নিঝড়ে ,আমার বক্ষে ;
তোমার নখের বিষাক্ত থাবা !
সে ক্ষত মিলে যাবে একদিন ।
 চোখে চোখ হয়ে যাবে সৃত্মি ।
হৃদয়ের পাজরে রাখা থাকবে -
স্বযতনে ভালোবাসার রর্ক্তাত
দাগ টি ।
সময় হয়েছে বন্ধু , অনেক দূরে যেতে হবে ।
খাজুর বাগান , যেখানে গাছুরে গাছের বক্ষ চিরে অমৃত সংগ্রহ করে । 
সে বাগান পাড়ি দিতে হবে ।
মাথা উচু করে থাকা তাল বাগান ,
পাড়ি দিয়ে ছোট্ট গ্রাম ।
বরিউল চাচার ছোট্ট টং সে চায়ের দোকান ।
ওখানে বসে একটি গরম চায়ের কাপে দিয়ে চুমুক ।
নিকোটিনের সাদা ধোয়ায় আবার হাটতে হবে ।
অনেক দূর যেতে হবে -
 এইবার আমাকে ছুটি দাও ।
পায়ে হেটে ধূলা বালির পথ ছুটে যেতে হবে-
যেতে হবে সেই গায় , 
যেখানে আছে আমার নাড়ীর টান ।

Monday, May 4, 2020

কবিতা

প্রতিহিংসা 

কত দিন শুনি না তোমার বেদনা সিক্ত কন্ঠস্বর। 
 কতদিন দেখিনা তোমার অশ্রুসিক্ত আঁখি। 
কত দিন, কত মাস, কত বছর হয়ে গেলো -
তোমার আহা-কার শ্রবণ করিনা! 
সময় হয়েছে? মৃত্যু কষ্ট ছুয়ে দিলে 
খবর দিতে ভুলে যেও না। 

যেখানে থাকি আমি, যত দূরে 
ঠিক আসবো প্রিয় মৃত্যু পথযাত্রী তোমার শহরে।
সকল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, 
বুলেট বোমাকে উপেক্ষা করে, 
আমি আসব'ই আসবো প্রিয় -
তোমার শহরে। 

এই পৃথিবী তোমাকে বড় কষ্ট দিচ্ছে, 
বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই তোমার ! 
সাংবাদিক সম্মেলন করে -
খুলে নিবো অক্সিজেন তোমার মুখ থেকে। 

বিশ্বকে জানিয়ে দিবো,  
বিশ্বাসঘাতকের মৃত্যু যন্ত্রণা কত করুন, 
সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে। 
কেউ কেউ তো আমাকে, অমানুষ বলে গালি দিবে! 
মানুষ হয়ে কি পেয়েছি আমি? 
অমানুষ হয়ে না হয় একটু সুখ নিবো ছিনিয়ে। 

তোমার মৃত্যুর সময় হলে, 
বলতে ভুলে যেও না যেনো! 
এটাই তো সুযোগ তোমার, 
নিজেকে শেষ বার উপস্থাপনা করার।

কবিতা

কথাপকথন

মধ্যদুপুরে ঘাস ফড়িং আর আমি,
নিত্য সে দলছুট খেলা।
কোথা আজ আমার সে ছেলেবেলা?

স্কুলের ছুটির ঘন্টা ঢং ঢং
হৈ চৈ আর হৈ-হুল্লোড়, মুখোরিত মহল্লা। 
কোথা আজ আমার সে ছেলেবেলা? 

দীঘির জলে ডুব সাঁতার, ছোঁয়াছুয়ি 
কুমির মানুষ খেলা,  সে ছোট্ট বেলা? 

কোথায় আমার লবণ ঝাল লজেন্স চুষে খাওয়া, 
কোথায় যেন হারিয়ে এসেছি, 
কোথায় যেন ফেলে এসেছি, 
মিষ্টি মধুর টারজান টারজান খেলা। 
চোর পুলিশ আর, লুকোচুরি 
বউ ছুট,  গোল্লাছুট, এক্কা-দোক্কা আর ডাং গুটি, 
কোথায় গেলো আমার লক্ষী মার্বেল টা? 

মনে পড়ে কাবাডি,  লবণ গাদি খেলা 
কোথা যেন দেখে এসেছিলাম 
ঘুঘু টি ডিম দিয়েছে,  কুঁড়ি’র মাঠের ঐ বরই গাছে। 
কোথা যেন ভেঙ্গে এসেছিলাম 
বুলবুল টির নতুন গঢ়া বাসা! 
কোথা যেন গাং শালিকে,  ওই যে 
ঐ খাপড়া বিলের, বালুর গর্তে 
গাং শালিকে বাচ্চা দিয়েছে দুই টি -
ওদের ধরতে হবে। 
কোথা যেন হারিয়েছি কাঁদা মেখে মাছ ধরা।। 

আজ দীর্ঘ বিশ বছর পরে, দেখা হলো 
কথা হলো সেই বন্ধুর সাথে, 
যার লেজে সুতা বেধে,  দিতাম উড়িয়ে। 
সেই ঘাস ফড়িং।

কবিতা

আমি আর তুমি
০৫/০৪/২০

তোমার চোখে তা খুব সাধারণ
 আমার চোখে যা অসাধারণ! 

তোমার চোখে তা অসাধারণ 
আমার চোখে যা সাধারণ! 

তুমি খোঁজ, কৃত্রিমতার রূপ
আমি খুজে চলি প্রকৃতির রূপ! 

তুমি অবাক হও,  মানুষের গঢ়া অট্টালিকা দেখে
আমি অবাক হই,  প্রকৃতি ভাঙা গড়া দেখে। 

তুমি হাসো সিনেমা নাটক গান দেখে 
আমি হাসি পাখির সুর আর বাতাসের শব্দে। 

তুমি আর আমি 
আমরা দু'জন দুই মেরু।

কবিতা

প্রার্থনা
10.04.20
অরণ্য নাসিদ ভাই😊

প্রতিদিন মরে যাচ্ছি, একটু একটু করে মরে যাচ্ছি।
মৃত্যুতে আমার বিন্দু মাত্র কষ্ট নেই,
নেই না পাওয়ার বেদনা।
তার চেয়ে, বেঁচে থাকায় আছে লজ্জা, আছে ঘৃণা!

এই ভাবে কি মানুষ বেঁচে থাকতে পারে? 
পারে না, পারে না, পারে না! 

আমরা মনে হয় মানুষ নয়, 
মানুষ হলে, আত্মহত্যা করে মরা উচিত ছিলো।
মানুষ হলে ঘৃণা লজ্জায় মাথা কাটা যেতো। 

তবুও 
নির্লজ্জের মতো, দেখো মাথা উচু করে চেয়ে আছি 
একের পর এক নিঃশ্বাস নিয়েই চলেছি!  
কি আশ্চর্য?
 সামান্য লাজ লজ্জা ঘৃণা বোধ আমাদের নেই। 

দিকে দিকে, 
মৃত্যুর মিছিলে মানুষ মরছে, যেন কীটপতঙ্গের ন্যায়! 
অবাক বিশ্ব, অবাক বোধ করি স্বয়ং সৃষ্টি কর্তাও। 

 হা -
আমি আমাদের কথা বলছি, এই বাঙালির কথা
          এই বাঙালী জাতের কথা বলছি। 

বিশ্বভূমন্ডলের বিচারপতি, 
তুমি কোথায়? তোমার বিচারের কাঠগড়াতে 
ধ্বংস যদি প্রভু করতেই হয়। 

চেয়ে দেখো প্রভু বঙ্গমাতার ইজ্জত যাদের হাতে
তারা কি করে মায়ের সন্তানের অন্ন ছিনিয়ে খায়। 
বিচার করো প্রভু, বিচার করো প্রভু,বিচার করো 
গরীবের অন্ন যারা, আপনার ভেবে গুদাম ভরায়। 

মহামারী যদি তুমিই দাও প্রভু, 
 মহাশয়তান গুলোকে আগে ধ্বংস করে দাও। 
চোরেরা সব, সাধু সেজে রয় 
সে চোরেরা কারা তোমার তো অজানা নয়। 
রক্ষা কর প্রভু গরীব মাতার গরীব সন্তানেরে -
ক্ষুধার অন্ন যোগাওঁ তুমি,অন্নদাতা তুমি হে। 

প্রার্থনা 
এ মোর একার নয় প্রভু, দিন মজুর শ্রমিক কৃষক
অনাহারী ক্ষুধার্তের অন্তর্যামী তুমি ।।

কবিতা

নিবেদন 
১২/০৪/২০

মাননীয় রাষ্ট্রপতি, 
এই মৃত্যুর মিছিলে একটা দাবি নিয়ে এসেছি
                                       না, ভয় পাবেন না
আমি মাস্কের কাপড়ে নিজের মুখ ঢেকে রেখেছি
তিন মিটার দূরত্ব বজায় রেখে দাবি পেশ করছি।

                                    না,করোনার ভয়ে না!
লজ্জায় ঢেকেছি মুখ, ঘৃণায় বজায় রেখেছি দূরত্ব।
আমার উদরে লেলিহান ক্ষুধার দাবানল -দাউদাউ করে জ্বলছে। 
আমার দশ বছরের এক কন্যা সন্তান ছিলো,
সে আত্মহত্যা করেছে, শুনেছেন?
 হয়তো বা হা, অথবা না! 

ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী যখন গদ্যময়! 
আর সে গদ্যে-
দুই একজনের মৃত্যুর করুন কাহিনী যদি না থাকে! 
তবে কি করে গদ্যের পূর্নতা আসবে?  

গরীব পিতার ঘরে জম্ম নিয়েছিলো মেয়েটা, 
কচি পেটে তার যে আগুন জ্বলেছে -
তা মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে হয়তো কষ্ট দায়ক ছিলো। 
 
                             মরে যেয়ে ভালো'ই করেছে।
 নতুবা, কোন ক্ষমতাসীন কেউ খাদ্যের প্রবঞ্চনায়
 মেয়েটাকে'ই হয়তো ছিনিয়ে খেতো, শকুনের মত। 
                                 তার চেয়ে বরং মরণ শ্রেয়।  

শুনেছেন?  বৃদ্ধ রিক্সশাচালক আত্মহত্যা করেছে। 
                     ভালো'ই করেছে! 
গরীব হয়ে জম্ম নেওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করেছে।  

সবার করা উচিত, সকলের করা উচিৎ -
আত্মহত্যা করে ক্ষুধা নিবারণ করা। 

আপনারা তো বলেছিলেন, এক বছরের খাবার মজুদ আছে। 
আমরা বিশ্বাস করেছিলাম!  অথচ ;
আজ দুই মাস যেতে না যেতে, 
ক্ষুধার্ত মানুষের মৃত্যু বরণ করা ;
আপনাকে ভাবায় না? আমাকে ভাবায়।
হয়তো কাল একজন,
পরশু আর একজন ;
তার পর আমি। 
এইভাবে আমরা সবাই প্রায়শ্চিত্ত করবো।

তখন কি আপনার লজ্জা করবে  না?
নাকি আতুর ঘরে লজ্জা কেটে, মাটিতে পুতে রেখেছেন? 

খাদ্যের অভাবে যদি মানুষ মরে,
খাদ্য মন্ত্রীর কি প্রয়োজন?
চিকিৎসা সেবায় যদি, এতো ত্রুটি থাকে;
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কি প্রয়োজন?
চোর, ধর্ষক,খুনি,  পতিতায় যদি দেশ ভরে থাকে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কি প্রয়োজন? 

                           কি প্রয়োজন? 
দেশের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করে,
                মন্ত্রী পরিষদ গঠনের। 

 এর চেয়ে, স্বল্প টাকায় কিছু ভাড় রাখতেন; সকালবিকাল তারা গল্প বলতো, 
আমরা শুনে "হো হো করে হাসতাম।"
 মন্ত্রী আর ভাড়ের কাজে যে ফারাক-
 তা যদি মন্ত্রীরা না জানে,
 তবে মন্ত্রীর আসনে বসার অধিকার কে দিয়েছে?
 
 মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
 আপনার কাছে অনুরোধ,
 দলে দলে মানুষ আত্মহত্যা করে মরার পূর্বে ;
 ক্ষুধার্ত মানুষ হিংস্র হবার পূর্বে ;
গরীব কথা বলার পূর্বে ;
বন্দুকের নল তাক করার অনুমতি দেন! 

 "একটা বুলেট, একটা গরীব"
স্লোগানে মেরে দিতে বলেন 
এই শান্তশিষ্ট মানুষ গুলোকে। 

জনস্রোতে প্রতিবাদের ঢেউ আসার পূর্বে, 
গুলি করার অনুমতি দেন,
 হে মহামান্য। 

বড় বিনয়ের সাথে বলছি, 
করোনা রোগীর বাড়িতে,যে লাল পতাকা উড়ছে। 
                              সেই পতাকা-
চাল চোর, ধর্ষক, দেহ ব্যবসায়ী, মদ বিক্রেতার 
     বাড়ির ছাদে পতপত করে উড়ার পূর্বে। 

রফিক আজাদের মতো, "ভাত দে হারামজাদা "
         বলার পূর্বে, যদি গুলি না করা হয় 
            তবে যে বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে। 

 অনুমতি দেন হে মহামান্য, ক্ষুধার্ত এই জন স্রোত 
             থামানোর এখন একটা মাত্র পথ
 বন্দুক তাক করো, তারপর টিগার চেপে ধরো! 
                        ক্ষুধা মুক্ত দেশ
    শালা কোন ক্ষুধার্ত এই দেশে থাকবে না। 

 নিবেদন করি,
 ক্ষুধার্ত উদরের তরে একটি বন্দুকের বুলেট বাজেট রাখেন। 

( অরণ্য নাসিদ)

কবিতা

চোরের বিচার
১৬/৪/২০

মানুষ মরবে, প্রতিদিন মরবে ; লিখে রাখেন
রোগে মরবে, শোকে মরবে, বিরহে মরবে
ক্ষুধায় মরবে, তৃষ্ণায় মরবে, ক্রোধে মরবে
প্রতি সেকেন্ডে, প্রতি মিনিটে, প্রতি প্রহরে
ইতিহাস লিখে রাখবে, মৃত্যুর সংখ্যা
মানুষ মরেছে এক জন, দশ জন, হাজার জন!

মহামারী একদিন চলে যাবে,
ক্ষুধার্ত মানুষ, অভাব -অনাটন রেখে যাবে,
রেখে যাবে স্বজন হারানোর শোক।

চোখের কালো পর্দা সরিয়ে,
দেখিয়ে দিয়ে যাবে চোর।
কিছুই হবে না, কিছুই হবার না!
চোরের কোন বিচার নেই,
চোরের মাথার উপর আছে দরবেশের হাত। 
দিন শেষে ক্ষুধার্ত মানুষের বিচার হবে,
বিচার হবেনা কোন চাল, ডাল তেল চোরের 
বিচার হবে না কোন মানুষের অন্ন চোরের। 
চোরের রাজ্যে চোরের বিচার? 
কে করবে,  কেন করবে,  কি জন্য করবে? 
চোরের বিচার কি আর চোরে করে? 
করে না, করবে না, ইতিহাসে-
 চোরের বিচার চোর কোন দিন করেনি । 
আগামী তেও করবে না!  লিখে রাখেন। 
ক্ষুধার্তের বিচার হবে, চোরের বিচার হবে না। 

শুধুই
মানুষ মরবে, প্রতিদিন মরবে ; লিখে রাখেন
রোগে মরবে, শোকে মরবে, বিরহে মরবে
ক্ষুধায় মরবে, তৃষ্ণায় মরবে, ক্রোধে মরবে
প্রতি সেকেন্ডে, প্রতি মিনিটে, প্রতি প্রহরে
ইতিহাস লিখে রাখবে, মৃত্যুর সংখ্যা
মানুষ মরেছে এক জন, দশ জন, হাজার জন! 
অথচ অমানুষ গুলো মরবে না, 
কারণ তাদের মৃত্যুর ভয় নেই, বিবেক বোধ নেই। 
তাদের বিচার সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ করবে না।

কবিতা

প্রতিটি প্রেমিকা আমার ক্রোধের অনলে পুড়ে শোধিত হোক। 
পুষ্প বৃষ্টি হোক আজ এই শহরে।
প্রতিটি প্রেমিকা এক একজন 
সত্যিকার নারীতে রূপান্তরিত হোক।
প্রতিটি প্রেমিকা এক একটি 
লজ্জাবতী রূপ ধারণ করুক।
ছুয়ে দিলে নুয়ে যাবে, 
দূরে গেলে কাছে টানবে।
 নারী,
 না হোক বিষধর কালফনী।
 নারী হোক চির কল্যাণময়ী। 
বুকের পাঁজর চিড়ে, হৃদয় পেতে দেবো।
 রক্ত জমাট বাধিয়ে লাল গালিচা পেতে দেবো।  প্রেমিকা তুমি যদি হতে পারো সত্যিকার নারী।
 তুমি যদি হও নষ্ট, তবে যেন রেখো। 
 নট রাজ আমি, 
নৃত্যে আহবান করিব মহাপ্রলয়; 
ধ্বংস অনিবার্য। 

( অরণ্য)

কবিতা

বিরহ বেদনাতে আসক্ত , অন্তহীন তুমিতে ধ্বংস।
তবুও আমি নদী হয়ে ছুটে যায় তুমিতে!
বিরহে খুজে চলি মিলনের সুখ।
এক চুমুকে পান করি হলাহল -
অমৃতের তৃষ্ণা নিবারণে।
শিবের কন্ঠনালী হতে 
বাসকিরে টানিয়া, দুই হস্তে মন্থন করিয়া 
পূর্ণ করি বিষে আমার তৃষ্ণার্ত বুক । 
দেবরাজ ইন্দ্রের বজ্রঘাত বুকেতে বিধিয়া 
খেলা করি আমি, মেঘনাদ হইয়া।
সূর্য লোক আক্রমণ করিয়া, 
যমুনারে করি জয়, শুধু তোমার লাগিয়া। 
বিষ্ণু চক্র ছিনিয়া, কতল করি নিজেরে 
তুমি আমার পাপ জানিয়া। 
তুমি দেবী কিংবা অপদেবী 
তুমি ধবংস কিংবা তুমিই সৃষ্টি 
তুমি  ব্রহ্মদেবের পাপ  সরস্বতী। 
তুমি ধবংস মহাকালি, 
প্রসন্ন হও,  তুমি হে লিলিথ দেবী।
অনেক হয়েছে পাপ, অনেক হয়েছ নিচু 
শরাবের নেশাতে বিভোর তুমি 
নিজেকে করেছো বিবস্ত্র!  
চেয়ে দেখো, উন্মাদ নটরাজের জটা হতে 
করেছি নির্গত এক বহমান গঙ্গা-
আত্মশুদ্ধি করো হে নারী। 
প্রেমময় যে তুমি, সে-ই তুমি কেন আজ অসতী? 

( প্রশ্ন,  অরণ্য)

কবিতা

একদিন রাহু হয়ে চন্দ্র কে গ্রাস করিবো, 
 অমৃতের অসম বন্টনের অপরাধে, 
 ছদ্মবেশী বিষ্ণু মস্তক ছেদ করিবো -
 ছিনিয়া নিয়া সুদর্শন চক্র। 
একদিন, কাল ভৈরব রূপে, 
প্রলয় নৃত্যে, ত্রিশূল ছুড়বো। 
ব্রহ্মার পঞ্চ মস্তকে, 
যে মস্তকে তিনি প্রেম কে আশীর্বাদ করেন।
সে পথে অগ্নী বর্ষিত হোক ,যে পথে তাঁর পদাচরণ। 
দক্ষের যজ্ঞে যেমন ,এসেছিল কালভৈরব 
তেমনি আসিব আমি ,তার চলার পথে। 
শ্মশানচারীর  তান্ডব নৃত্যে কম্পিত হবে কৈলাস।

( প্রলয়, অরণ্য )

কবিতা

স্বপ্নের শহর

পিচ ঢালা রাজ পথ ,
অজগর সাপের মত যে পথ এঁকেবেঁকে গেছে ।
ধূসর আলোই সোডিয়াম বাতি ,
যে আলোতে নিজেকে চিনতে ভয় হয় ।
স্বপ্নের শহর ;
তুমি ক্রংক্রিটে মোড়ানো ছদ্মবেশী সাধু শয়তান ।
মিছিলে মিছিলে বারুদের গন্ধ ,
লাশ কাটা ঘরে মানুষের শরীরে উত্তপ্ত শিসা ।
স্বাধীন রাজ্যে তুমি,
স্বৈরাশাসকের অবাধ মুক্ত ভাষণে করতালি ।
স্বপ্নের শহর তোমাকে ঘিরে আমি,আমাকে ঘিরে তুমি ।
তোমার বক্ষে চেপে ওকারা!তোমার দেহ নিঙরে খায় ?
স্বপ্নের শহর তোমাতে , সংসদ ভবণ -
জাতির স্বপ্ন যেখানে আকাশ ছুয়ে দেবার কথা ছিল!
কথা ছিলো স্বর্ণে তোমার দেহ অলংকিত করার ।
চেয়ে দেখো, সেখানে তোমাকে নগ্ন করা হয় ।
সুরক্ষিত দেওয়ালের আড়ালে,
মুখোশ ধারী কালো বিড়াল ;
পদ্মসেতুর টাকা খুজে পাওয়া যায় ।
স্বপ্নের শহর, তোমার গর্ভে অক্ষর জ্ঞান সমৃদ্ধ -
মূর্খ শয়তান চোর ছুটে চলে,
অবিকল মানুষের বেশ ধরে ।
তুমি কি পারোনা? স্বপ্নের শহরের পিচ ঢালা পথ ;
সত্যিকার অজগর হয়ে উঠতে! 
অতপর - 
ভন্ড সাধু গুলোকে গিলে নিজের উদর পূর্তি করতে
কবে তুমি জেগে উঠবে স্বপ্নের শহর? 
কবে তুমি বজ্রের মত স্লোগানে মুখরিত হবে! 
কবে তুমি সত্যিকার স্বপ্নের শহর হয়ে উঠবে ।

(  04/05/2017, মিরপুর )

কবিতা

আমি স্বার্থপর হবো -
বেনারসি শাড়ির মালিকের মত !
স্বপ্নের রাজ্যে পা রেখে ,
ফিরেও চাইবো না ,
হারিয়ে যাওয়া মানুষের দিকে ।
আমি স্বার্থপর হবো ফাইভ স্টার হোটেলের-
সস্তায় পাওয়া এক কাপ চায়ের মত!
হয়তো কোন এক ক্ষুধার্ত যুবকের
একটি দিনের আহার ।
আমি স্বার্থপর হবো , বট বৃক্ষকে
জড়িয়ে থাকা পরগাছার মত ।
নিজের দুঃখ চুষে নেবো , সময়-অসময় ।
মানুষ তো দূরে থাক ,
একটি পিঁপালিকার উপকারে আসবো না-
আর একটা দিন ।
স্বার্থের এক মহাকাব্য রচনা করবো,
ভুল করেও ছুঁয়ে দিতে পারবি না তুই।
আমি সত্যি সত্যিই একদিন স্বার্থপর হবো ।
সেই দিন তোর সুখের রাজ্যে ,
দুঃখের বৃষ্টির ছন্দে আমি নৃত্য করব।

( প্রতিজ্ঞা, অরণ্য ০৫/০৫/২০১৮)