Friday, December 31, 2021

অস্পর্শীত ব্যথ্যা

থেকে থেকে বুকের বাম দিকটাতে টনটন করে ওঠে ।
কষ্টের কীট কুরেকুরে খাই ক্ষতবিক্ষত কলিজাকে-
আমার হৃৎপিন্ড থেমে যেতে চাই ক্ষনেক্ষনে ।
বুকের ঠিক বাম দিকটাতে , হাত ঢুকিয়ে খুজতে থাকি ,
                     কিন্তু কি খুজে চলি ?
আমার হাত যেয়ে মুঠো দিয়ে ছিড়ে আনে কলিজা!
না এখানে নেই ! আমার কিডনি , আমার হৃৎপিন্ড
         নিকোটিন ভর্তি আমার ফুসফুসে !
কোথাও কিছু নেই ! তবে এত ব্যথ্যা কিসের ?
ক্ষনে ক্ষনে চাওয়া পাওয়ার হিসাব কষে কে ?
কে চিৎকার করে কেঁদে উঠে ? কে সে ? না পাওয়ার 
ব্যথ্যায় ব্যাথ্যীত হয়ে , বলে ওঠে আমি তো কিছুই পেলাম না।
আমার শরীরের রক্তে আমি প্রভাত স্লান কর-
জিজ্ঞাসু নয়ন চেয়ে থাকি , কোথায় ব্যথ্যা ?
 ঠিক কোন দিকটাতে এত যন্ত্রনা !
মাঝে মাঝে চিৎকার দিতে মনে চাই , মনে চাই
 ধ্বংসের লীলায় মাততে ! আমি তো ধ্বংস করতে পারি না -
না পারি সৃষ্টির উল্লাসে প্রলয় নৃত্য করতে !
উহ কি ভীষম যন্ত্রনা বুকে  , মানুষের এই শহরে
আমি একটি মানুষ খুজে চলি ! নেই কোথাও নেই
একটা মানুষ, মানুষের বড় অভাব এই ভবের শহরে।
আমি একটু ছায়া চাই , একটু আশ্রয় !
আমি আমার ব্যথ্যাকে স্পর্শ করতে চাই , 
দুই হাতে আদর করে , আশির্বাদ করতে চাই 
হে মোর অপ্রপ্তীর জমাট বাধা ব্যথ্যা তুমি দীর্ঘজীবি হও !
মানুষের এই শহর একটু একটু করে অনেক বড় হও।

Thursday, November 25, 2021

আর্দশ নগরী

আগুন জ্বালাও,দাসত্বের দোওয়ারে-
যেখানে অত্যাচারীরা নির্ভয়ে চলে ।
আগুন জ্বালাও,রাজতন্ত্রের চেয়ারে-
যেখানে গণতন্ত্র আহা হাকার করে ।
আগুন জ্বালাও,সৈরাচারীর শরীরে-
পোষা কুকুর দিয়ে যেখানে মানুষের রক্তে হলি খেলে ।
আগুন জ্বালাও তুমি , ঐ বেশ ধারী
সত্বীর দেহে ।
যে রাজ পথে হিজাবের নামে বক্ষ প্রর্দশন করে ।
জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও সব ।
আগুন জ্বলতে দাও রাজপথে ।
এখানে ধর্ষিতার আর্ত চিত্‍কারে সকলে -অট্ট হাসি হাসে ।
বেশ্যার শীত্‍কারে পাগল পারা হয়ে
ছুটে চলে ।
এখানে চোখের জল ধূলিকনাতে হারিয়ে যাবে ।
কুয়াশা চারিপাশ মানুষ নামে অমানুষের বসবাস ।
আগুন জ্বালাও, বন্ধু তুমি ।
শ্মসান করে দাও এই অমানুষের
বসত ভূমি ।
তবেই যদি শুদ্ধ হয় , গঢ়ে ওঠে
আবার নতুন করে এক আর্দশ নগরী ।

Thursday, November 4, 2021

কাবার অপমান করে যারা তাদের রক্তে এই ভূমি হোক লাল

ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করো , হৃদয়ে আমার আগুন জ্বলে ।
ফাঁসির রশি প্রস্তুত করো , আমার হাতে অস্ত্র আছে ।
কোথায় হে মহামান্য বিচারপতি ? অডার অডার বলুন ।
বলুন হে মহামান্য বিচারপতি , বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনে ৩০২ ধারা মোতাবেক অরণ্যের ফাঁসি।
লাথি মারি তোর সংবিধানে , লাথি মারি তোর আইনে ।
লাথি মারি ঐ সংসদে , লাথি মারি তোর গণভবনে ।
আগুন জ্বালাবো ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কি.মি. এ ।
আগুন জ্বালাবো ৫১,০১,০০,৫০০বর্গ কিলোমিটারে ।
আমার চোখে এখন চৈত্রের কাঠ ফাটা রৌদ ।
জ্বালিয়ে দিবো পুড়িয়ে দিবো সব -
মৃত্যুর উল্লাসে হাসবো আমি হাঁ হাঁ ।
আমার চোখে স্বপ্ন নেই , আমার নেই মৃত্যুর ভয় ।
দালালের ঘরে আগুন জ্বালবো এই তো আমার অভিলাষ ।
আমার কাবারে অপমান করে যে জন , তার রক্তে স্লান করবো না যত ক্ষন।
আগুন জ্বলবে ততক্ষন , এই হৃদয়ে ।
শুয়োরের দল সব , বলে কি না মন্দির ভেঙেছে মুসলমান ?
ওরে ও জম্ম পরিচয়হীন জারজের দল -
বলিস না কেনো তোর অবৈধ্য জম্মের পিতা , অপমান করেছে কাবা ঘর ।
মিডিয়া আছে যত সব যেন হিন্দুর ঔরসে জম্ম পরিচয় হীন এক একটি জারজ।
মহামান্য বিচারপতি ক্ষমা করুন , এই মূহুর্তে আমি মানুষ নেই ।
আমার রক্তের ফোঁটায় ফোটায় আগুন জ্বলে ।
আমার শিরা উপশিরা বেয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরে ।
মহামান্য বিচার পতি ক্ষমা করুন , আপনি মন্দির ভাঙ্গার অপরাধে যাদের বিচার করবেন বলে কথা দিচ্ছেন !
তারা যে অপরাধহীন টগবগে মুসলিম যুবক ।
তাদের কাবা ঘরকে অপমান করেছে যারা ক্ষান্ত হবে তারা সে সব হিন্দুর মস্তক করে ছিন্ন ।
মহামান্য বিচার পতি অনুমতি দিন একবার খুনে লাল করতে চাই এই ভূমি ।
অতপর ৩০২ ধারাতে আমাকে ফাঁসি দিন , বলুন কাবা ঘর কে অপমান করেছে যারা
 তাদের খুনের দায়ের  অরণ্যের ফাঁসি
( __গান__ )

ভালো থাকার দাবি,প্রতিদিন আসে ।
ও___ ভালো থাকার দাবি,প্রতিদিন আসে ।
তোর মত করে কেও বলে না তো ।
ও__ তোর মত করে কেও বলে না তো।
কেমন আছো তুমি , ভালো আছতো , তুমি আছতো ।
ভালো থাকার দাবি প্রতিদিন আসে 
ও__ ভালো থাকার দাবি প্রতিদিন আসে
তোর মত করে কেও বলেনা তো , ও__ তোর মত করে কেও বলেনা তো ।
ভালো আছতো , ভালো আছতো ।
সারাটা দিন কেমন ছিলে তুমি ,
সারাটা দিন ।
ভালো আছতো তুমি , ভালো আছোতো ।
মনের কথা জানতে চাই সকলে .
তোর মত করে কেও বলে না তো ।
তোর মত করে কেও বলেনা তো ।
চোখের কোনে কেনো জল ঝরেছিল , তোমার চোখের কোনে কেনো জল ঝরেছিল ।
ভালো আছোতো তুমি ভালো আছোতো ।
হৃদয় ছুয়ে কেও দেখে না ওরে তোর মত করে ।
ভালো থাকার দাবি সকলে করে ।
কি করে বলি বল তুই আমারে
ভালো কি থাকা ওরে তোরে ছেরে ।

(#কাজী_জামান ভাইয়া সুরের অপেক্ষাতে )
(__গান__)

বন্ধু ওগো বন্ধু , বন্ধু ওগো বন্ধু
পত্র দিলাম তোমারে রঙিন খামে ।
দেখো খুলে যদি মনে বলে ।
 বন্ধু__
তুমি আছো কেমন , সুখে আছো না দুঃখে
জানিও উত্তর লিখে ।
আমি আছি এখন একাকী প্রহরে ।
নিঃসঙ্গ রাত্রি সঙ্গ দেয় যে মোরে ।
ঝরা ফুলের পাপড়ী , মনে করিয়ে দেয় তোমারে ।
ওগো বন্ধু তুমি কেমন আছো 
সুখে না দুঃখে ।
ফিরে তুমি আসবে না জানি সে কথা ।
তবুও যে প্রতিক্ষায় কাটায় প্রহর আমি একা ।
বন্ধু ওগো বন্ধু, বন্ধু ওগো বন্ধু
পত্র দিলাম রঙিন খামে ।
বিষন্নতায় লেখা আমার এই চিঠি
ছুরে ফেলোনা  তুমি নদীর জলে । ওগো বন্ধু __ দিও না ফেলে ।
চোখের লোনা জল আছে মেশানো
এই শেষ চিঠিতে ।
বন্ধু ওগো বন্ধু , বন্ধু ওগো বন্ধু
পত্র দিলাম রঙিন খামে ।

(#কাজী_জামান ভাইয়া সুরের অপেক্ষাতে )

Wednesday, November 3, 2021

ফিরে যেতে আসা 
০৩/১১/১৫

আমাকে আর কি ধ্বংস করবে তুমি? 
 মহাকালের ডাকে
সে কবে নিজেকে বিসর্জন করেছি। 
আমাকে আর কিসের দহণে ভস্ম করবে? 
আমি তো সেই কবে প্রেমের চিতা জেলে,
 সে অনলে ভস্ম  হয়েছি । 
 আমার নয়ন জলে পদ্মার বুকে কাঁপন ওঠে
 যমুনার অশান্ত ঢেউয়ের আঘাত 
 চপঘাত সৃষ্টি করে, কাঁদবে?  
 কি করে ?
 মরুর বুকে প্রবাহমান সাইমুন লন্ডভন্ড করে ;
এই বুকে এসে প্রশান্তির ছায়াতলে নতজানু হয়।
কিসের ভয় দেখাবে তুমি ?
হারাতে হারাতে কবে নিজেকে, হারিয়ে ফেলেছি -
 এখন কোন কিছু হারানোর ভয়ে 
 বীভৎস স্বপ্ন দেখে,
 জেগে উঠি না ।
 এমন কি প্রিয় হারানোর ভয় 
 আমাকে ঘিরে ধরে না ।
 আমি জানি -
যে কাছে আসে , সে ফিরে যেতেই আসে ।

Friday, October 15, 2021

লিখবো না ভেবেই লিখেছি

শরৎ এর আকাশের নীলাভ রূপ দেখে আর লিখবো না কবিতা,
কোকিল তুমি সুরে সুরে যত ইচ্ছে আমাকে মুগ্ধ করো না কেনো ?
              আমি লিখবো আর কোন কবিতা ।
শীতে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাক , আমার সকাল দুপুর রাত
সত্যি বলছি কবিতা ভাববো না তোমাকে আর ,লিখবো না তোমাকে।
ক্লান্ত শরীরে বিছানাতে তন্দ্রার ঘোরে ডাকবো না আর তোমাকে ।
চাঁদের মায়া বিছিয়ে দিলে , দুই চোখ বন্ধ করে নিবো 
ভুলে যাবো নিজের আপন সত্ত্বা কে , দেখবো না আর তোমাকে ।
বর্ষার বারি যখন ছুঁয়ে যাবে আমাকে , নিজেকে শুষে নিবো প্রেম অনলে।
গ্রীষ্মের কাঠফাটা রৌদ্দুরে জ্বালিয়ে নিবো নিজেকে ,
আমাকে জ্বালাবে , তুমি ! কোন অনলে ?
যে নিজের মাঝে লালন করে সপ্ত নরক কে ।
আমি লিখবো না ভেবেই লিখছি তবুও কেনো জানি তোমাকে ,
ঘৃণা করবো জেনেই , ভালোবেসে ফেলি গভীর ভাবে ।
তবুও লিখবো না , লিখবো না আর লিখবো না কবিতা তোমাকে ।
তবুও লিখেই চলেছি অনায়াসে ।

Tuesday, October 12, 2021

কাঁদবি কতো?  কাঁদ হে রাষ্ট্র। 
ছি রাষ্ট্র ছি! কিসের এতো মায়া কান্না? 
ছি রাষ্ট্র ছি!  দুধ কলা দিয়ে 
পুষতেছিস সর্প বড় যত্ন করে। 
ছি রাষ্ট্র ছি!  জবাব দিবি তুই কী? 

পিতা তার গেছে বাহিরে, 
প্রতিক্ষায় আছে, অবুঝ শিশু 
বাড়ি ফিরে বুকে টেনে নিবে পিতা। 
প্রতিক্ষায় আছে বধূ 
প্রতিক্ষায় আছে বাবা মা। 
সন্তান যে গেছে,  কেন ঘরে ফিরে আসে না। 

ছি রাষ্ট্র ছি! পুলিশ পুষে, বেতন দিতে পারিস না
চেয়ে দেখ হে রাষ্ট্র 
এক শিশুর পিতাহারা কান্না। 
চেয়ে দেখ রাষ্ট্র, দুধ কলা দিয়ে পুষেছিলি যারে 
সে মানুষ রূপে, শয়তান ছাড়া আর কেউ না। 
অবৈধ্য টাকা ছাড়া, তাদের পেট ভরে না। 

অথচ, 
এই তোর শিক্ষিত আর্দশ সন্তান 
গর্বে নাকি তোর জীবন বাঁচে না। 
ছি রাষ্ট্র ছি, ছি রাষ্ট্র ছি 
ধিক্কার তোমায় হে রাষ্ট্র। 
তোমার কোল আজ প্রদীপ, আকবরের ;
ন্যায় জারজে ভরা।

Friday, October 8, 2021

ক্রোধ 
০৮/১০/২০

হে প্রিয় রাষ্ট্র, অজস্র সেচ্ছাদাসী আছে।  
যে বা যাহারা ক্ষমতার লোভে, 
দেহ ত্যাগে আনন্দ উপভোগ করে।  
সেসব রক্ষিতা থাকতে, কেন? 
অসহায় নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পরচ্ছে।  
তোমার দাঁতাল শুয়োর গুলো।  

কেনো বস্ত্রহীন করছে মা বোন কে? 

হে রাষ্ট্র, তুমি শুয়োর পালন করো।  
অথচ কচু খেত রাখো না? 
 আমি বিশ্বাস করি না।  
আমি দল জানি না, জাতি জানি না 
আমি জানি ধর্ষক এক কলঙ্কের নাম। 
আমি জানি, ধর্ষকের আশ্রয় দাতারা 
এক অভিশাপের নাম। 

প্রিয় রাষ্ট্র, আমি ফেলিনিকে ভুলেছি 
তিস্তার জল পাবো পাবো করেও হারিয়েছি। 
তবুও নিশ্চুপ ছিলাম, শত্রুর দোসর 
মাথার ওপর বসে আছে জানি। 

প্রিয় রাষ্ট্র,  তুমি তনু কে দেখেছিলে? 
আ'হা বীভৎস সে লাশ। 
আমি তো তোমার পতাকায় দেখি ধর্ষিতার রক্ত। 
প্রিয় রাষ্ট্র, আমরা বিশ্ব্জিৎ কে ভুলে গেছি। 
আবরার কে ভুলে গেছি। 

           কোন, আবরার যেনো? 
ওই যে?  ভারতের গোলামীর বিরুদ্ধে 
নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার লড়াইয়ে 
                                    প্রথম শহীদ। 
পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো! 

যারা হত্যা করেছিলো,
 তারা আর কেউ না 
এই দেশের বুকে বেড়ে ওঠা
ভারতের জারজ সন্তান। 

প্রিয় রাষ্ট্র সম্রাট কে ভুলে গেছি আমরা, 
পাপিয়া ও শাহেদ, সাবরিনা কেউ। 
যারা তোমাকে ধর্ষণ করেছে, বিশ্বের কাছে। 

ভুলে গেছি, পিল খানা। 
ভুলে গেছি আমি মেজর সিনহা। 
আর কতো?  ভুলে যাবো বলো 
তোমার লেলিয়ে দেওয়া
দাঁতাল শুয়োর দেখো -
কেমন ছুটছে অসভ্য হয়ে।  

আমার একটা সংসার আছে 
আমাদের একটা সংসার আছে 
সে সংসারে, মা, বোন, বউ, মেয়ে আছে। 

প্রিয় রাষ্ট্র, সময় গড়িয়ে যায়। 
তোমার দাঁতাল শুয়োর কে ঘর চিনাও, 
প্রয়োজনে নিজের খেতের কচু খাওয়াও 
মনে রেখ, আমি শুধু আমি নয় 
আমরা শুধু আমরা নয় 
আমি ও আমরা তে মিশে আছে 
দশ কিংবা বার কোটি মানুষ,
আর, বাকী'টা 
তোমার লেলিয়ে দেওয়া, 
 দাঁতাল শুয়োরের দল।

Thursday, August 26, 2021

আচ্ছা!
সে গায়ে কী? এখনো ভালোবাসা পাওয়া যায়?
দু-হাত ভরে, কাচাসোনা আমন গোলায় ওঠে? মেঠোপথে ধূলি উড়িয়ে গরু/ মহিষ যায় ? 
                                        আগের মতো। 
মধ্যাহ্নে, দিঘি জলে পল্লীবালকেরা সাঁতার কাটে?  

কিছু যদি লিখার না'ই থাকে। 
তবে
লিখো বুনো হলুদের ফুল ফোটা,কিংবা? 
বর্ষা শেষে'ও কদমের নতুন করে ফুটে ওঠা। 
বিন্দু মাত্র বিরক্ত হবোনা, শরতের শেষ রাতে
শিশির ভেজা শিউলি ঝরার শব্দ যদি লেখো।
টুপ টপ, টুপ টপ,সে শব্দ। 
ডাহুক ডাকে?  আগের সে সুকরুণ সুরে,
জোনাক আর পেঁচার গল্প লিখো। 
কিছু লিখো, হোক সেটা কলমের আঁকিবুঁকি। 

সাজিয়ে লিখো কিংবা এলোমেলো
           যেমন ইচ্ছে হয়, লিখো
যদি ইচ্ছে না হয়, তবুও লিখো 
          ইচ্ছে তোমার হচ্ছে না। 

তবুও হলুদ খামে ভরে 
এক টুকরো কাগজ পাঠিও। 

আ'হা কতোদিন ডাক পিয়নের, ডাক শুনি না। 
হলুদ খাম ছিরে, হৃদয়ের অনুভূতি পড়ি না। 

"""চিঠি ""
কাল চক্রের,
চক্রে পড়ে ফের যদি দেখা হয়ে যাই দু'জনে! 
                          দু'চোখ ফিরিয়ে নিবো। 
চেয়ে দেখবো না, ডাগর ও দুই আঁখিপাতে 
কোন মেঘে ভিজে যা-ও, তুমি। 
কোন মেঘে থাকো উদাস এখন৷ 
কোন বসন্তে ভীষণ তৃষ্ণার্ত থাকো তুমি? 
কোন আকাশে থাকো চেয়ে! 
প্রশ্ন করবো না, আর আমি। 

কোন জলে হাসতে তুমি, কোন বাতাসে ভাসতে। 
কোন ভোরে কাঁদতে তুমি, ডাহুকের দুঃখে। 
কোন রাত টি ছিলো প্রিয়, কোন রাত বিষাদের, 
কোন সকালে বেল্কুনিতে, কেশ এলিয়ে দাঁড়াতে। 
কোন বিকালে ফুলের সাথে কথা বলতে।
সে কি অজানা মোর? 
কোন সে চন্দ্রগ্রহণ লাগলে পড়ে 
জোয়ারে তুমি ভাসতে। 
কোন আকাশ ছুয়ে দিলে, 
বাহুডোরে নিজেকে শপে দিতে।

***ভুলে যাবো ***

Sunday, July 25, 2021

বিনিময়
25.08.18

এ নদী আমার,আকাশ কে বিনিময় করে
নদীর মালিক হয়েছি।
এক সময় আকাশ ভালো লাগত, 
আকাশের রং পরিবর্তন খেলা দেখে 
আমি মুগ্ধ হতাম, আকাশের মালিক ছিলাম।
এখন ভালো লাগে, তবে নির্লজ্জের মতো
মাঝে মাঝে ছেড়ে দেওয়া অধিকারের দাবীতে মুখ তুলে চাই,
আকাশ আমাকে ধিক্কার জানায়! 

নদীর প্রবাহমাণ স্রোতের নেশাতে মগ্ন হয়েছিলাম।
এক সময় অরণ্য কে ভালোবেসে, 
নদীর সাথে বিনিময় করলাম।
মাঘী পূর্ণিমার রাতে যখন, 
নদীর স্রোতে জ্যোৎস্নাময় চাঁদ সাতার কাটে।
তখন নদীর জল ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয়।
আমার ইচ্ছের নদী, আমাকে উপহাস করে।
শীতের রুক্ষতা, 
অরণ্য বিনিময় পর্বতের মালিক হলাম।
এখন হৃদয় জুড়ে পাষন্ডতা, নির্মমতা 
তবুও 
কোথা হতে যেন আকাশ, অরণ্য ও নদী উঁকি দেয়।
চোখ তুলে নির্লজ্জের মতো চেয়ে থাকি।
প্রেমিকা চলে যাবার পথে, 
প্রেমিক যেমন নিষ্পলক চেয়ে থাকে।
এখন আমি পর্বতের মালিকানা ছাড়তে চাই,
একটা পর্বত বিনিময় করবো। 
কেউ কি আছেন?
পর্বতের বিনিময়, 
এক ঝাক জোনাকপোকা নিতে চাই ।
আমি এখন পর্বতের বিনিময়, 
জোনাক পোকা পেতে চাই।
হয়তো, একদিন
জোনাকের বিনিময়ে
এক পেয়ালা বিশ কিংবা অমৃত চেয়ে নিবো।

Friday, July 23, 2021

কবির অভিমান

আকাশের বুক ফেরে বৃষ্টি ঝড়ে , পাহাড়ের বুক হতে ঝর্ণা ।
বেদনায় আহত মানুষ গুলো ক্ষতবিক্ষত , কেউ তার খবর রাখে না ।
কলমের কালিতে, ডায়েরীর পাতাতে আহত কবির কান্না কেউ শুনে না ।
কবি ও কবিতা মিলে মিশে একাকার ,তবুও কেন ক্ষত স্মৃতির ছিড়া পাতা ।
তুমি কাঁদো , সে কাঁদে , আমি ওকাঁদি ! যেনো কান্নার মেলা ।
কত শত প্রজাপতি পাখা মেলে , কত প্রজাপতি রঙ ছড়াই ।
এতো হাসি -এতো হাসি ,তবুও কান্নার তীব্র চিৎকার
আহত কবি, নিকোটিনের সাদা ধোঁয়া ছেড়ে বলে-
কবিতা আর লিখবো না !
কবি অভিমান করে বলে , কবি সত্যি করে বলে , কবি বিরহের সাথে বলে -
লিখবো না আর কোন কবিতা , কবি চিৎকার করে বলে "কবিতা তোমায় বিদায়" ।
রাতের আধারে কবি অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে কাঁদে ,কবিতা বিহনে ।
বৃষ্টির জলে কবি অশ্রু ঝড়ায় অতি গোপনে , কবিতা বিহনে ।
ব্যস্ত শহরে কোটি মানুষের ভিড়ে কবি হাতড়ে ফিরে ।
নির্লজ্জ , বেহায়া কবি শুধু বিরহ স্মৃতির গান গেয়ে চলে ।
তবুও পদ পৃষ্ঠ হওয়া আহত বকুলের ভাঙা পাপড়ী বুকে টেনে -
কবি যখন মালা গাথতে বসে , কি এক কমল শিশু সুলভ দৃষ্টিতে ভরে ওঠে কবির মন ।
যেন সদ্যভূমিষ্ঠ কোন এক শিশু !
তবু ও কবি মাঝে মাঝে চিৎকার করে ওঠে -
"কবিতা তোমায় বিদায় "
নিকোটিনের ধোঁয়ায় জ্বেলে নিজেকে , কবি করে অভিমান ।

Thursday, June 10, 2021

***এক কোটি বছর পর***

তোমার স্বপ্নহীন দু-নয়নে , 
একদিন স্বপ্নরা বাঁধবে বাসা। 
গোলাপ রাঙা অধরে, প্রজাপতি
 আসবে ছুটে। 
একদিন তোমাকে ভালোবেসে ,
কোন এক কবি-
রাত জেগে ডায়েরীর বুকজুড়ে,
তোমাকে সাজিয়ে রাখবে।
জ্যোৎস্নায় স্লান করে ,একদিন তুমি 
ভবঘুরে কোন এক যুবকের, বুক পকেটে 
সুখময় অতীত হবে । 
কোন একজন, সহস্র বছর চেয়ে থাকবে 
  তোমার চিবুক বেয়ে ঝড়ে পরা  ঘামের দিকে !
কোন একজন যুবক তখন ও জানালার কপাট খুলে রাখবে ।
বাতাসে শুভাস নিতে , তোমার এলো চুলের । 
গৌধূলী বেলাতে কোন একজন ,
ব্যথা ভরা বুকে, তোমার কথা ভেবে
গুণগুণিয়ে গান করবে ।
গভীর সে রাতে ,কোন এক যুবক 
স্বপ্নরাজ্যে হানা দিবে -
স্বপ্নকন্যাকে ছিনিয়ে আনতে ।
আজ থেকে এক কোটি বছর পর !
তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখবে কোন এক কবি ।
তখন ও তুমি ষোড়শী কন্যা , 
প্রেমময় দেবী ..

Tuesday, March 23, 2021

লাল এই দু'ই চোখ

একটি নিকোটিন পোড়াতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে ।
মনের গহীনে বসবাস রত হিংস্র কষ্টরা জেগে উঠেছে ।
বড় অশান্ত আর ক্ষুধার্ত ।
আমার কলিজাটাকে ছিদ্র করে 
চলছে অভিরত ।
এখন একটু নিকোটিনের বিষ চাই ।
দিশলাইয়ের আগুনে জ্বলে ওঠা-
নিকোটিন পোড়া সাদা ধোয়া !
ওদের কে থামাতে চাই ।
অষ্টপ্রহর কষ্ট মোর , নিকোটিনের 
আগুনে নিকোটিন জ্বেলে ভুলতে চাই ।
শরাবের ঘ্রাণ ব্যকুল হৃদয় -
কোথা গেলে নিকোটিন পাই ?
আমি আমাকে না , আমার ভিতরে 
থাকা ছোট ছোট দুঃখের-
 বিশাল দৈত্যের ক্ষুধা মেটাতে,
 একটু শরাব চাই ।
আমি নিকোটিনের আগুনে নিকোটিন জ্বেলে -
দুঃখ ভুলে থাকতে চাই ।
আমি টাকা চাই না বাড়ি চাই না ।
শাড়ী চাই না ,  না চাই শাড়ীর মালিক ।
আমি বিষ চাই, নিকোটিনে বিষ !
আদিম হিংস্র আমি শরাবের 
নেশায় নেশাচ্ছন্ন , লাল এই দু'ই চোখ।
প্রেম প্রেয়সীর আদরে , কামনা কিংবা বাসনাতে না ।
শরবের চুমকে আর ও লাল ।
আমাকে শপথ করিও না ,  আমি-
রাখতে পারবো না ।
এখন আমি পূর্নিমার চাঁদের জ্যোত্‍স্নাকে ,
আমার কামনার সঙ্গী করব !
নিকোটিনের সাদা ধোয়া ছেরে ,
চাঁদের উত্‍ত্তল যৌবণে চুম্বন করবো।
এখন এই দু'টি চোখ ভীষম আকারে লাল !
কেন লাল ? জানতে চেও না !
নেশায় আচ্ছন্ন আমি উত্তর দিতে পারব না ।
মহান তুমি
প্রখর তাপে দহন হচ্ছে ,বিশাল জন সমুদ্র ।
চাই চাই কল্ ধ্বনি , চাই চাই আরও চাই- 
     ইশ্বর বসছে আজ জনসম্মুখে !
          বন্ঠিত হবে সুখ -দুখ
হাসি -কান্না , অন্ন বস্ত্র বাসস্থান , রাজত্ব্য- বন্ঠিত
হবে ক্ষমতা , বন্ঠিত হবে বেদনার নীল আকাশ ।
রাজা এসেছে , মন্ত্রী এসেছে , সেনাপতি , উজির -
নাজির , পেয়াদা সেও এসেছে ! দাসী বাদী 
     চাকর - চাকরানী সবে এসেছে ।
গ্রাম থেকে গ্রাম , শহর থেকে শহর , তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে-
মানুষের ছুটোছুটি , আর একই ধ্বনি -
এটা চাই , সেটা চাই , ওটা চাই  ।
অনাহারী আহার চাই , বস্ত্রহীন বস্ত্র , জমিদার চাই 
সীমানা -
রাজা চাই রাজত্ব্য , সকলে চাই শুধু চাই ।
ক্যান্সারে আক্রান্ত , শরীরে পোক ধরা লোকটাও 
বাচতে চাই !
মানুষ শুধুই চাই আর চাই ।
সূর্যের ওমন দীপ্ত আলো , চাদের মায়া -
একে একে সব চেয়ে নিয়েছে মানুষ !
সুখ চেয়েছে , হাসি চেয়েছে , প্রেম চেয়েছে
অর্থ কড়ি চেয়েছে , বিলাস বহূল বাড়ি ।
ইশ্বর সব দিয়েছে, তবুও !
না পাওয়ার আক্রোশে  মানুষ !
"ইশ্বর কে অভিশাপ দেয় , তুই ভৎস্ব হ " 
মৃদু হেসে কিঞ্চিত নীল মেঘ হাতে ইশ্বর বলে
 কে আছিস ওরে ? এখনও যে কষ্টের মেঘ অবশিষ্ট আছে ।
মূহুর্তে বিশাল জনসমুদ্র শূন্য , নীরব ;
হরিণের দলে হিংস্র সিংহ হানা দিলে ,যেমন সব পালিয়ে যায় ।
ইশ্বর মৃদু হাসলো , একটু উপহাসের স্বরে -
কেউ নাই ,
জন শূন্য মাঠ , চিৎকার করে উঠলো ! 
এক ,পাগল কবি -
আমারে দে , আমারে দে , কষ্টের নীল আকাশ আমারে দলিল করে দে ।
ইশ্বর বড় আশ্চর্য হলো , 
সব দিয়েও ইশ্বর ধিক্কার পেলো !
শুধু একজন , যে জন কে ইশ্বর দিয়েছিলো
 কষ্টের নীল আকাশ ।
শুধু সেই বলেছিল ধন্য তুমি , মহান তুমি
 হে মোর ইশ্বর ।
সব পেয়েছি আমি , সব দিয়েছো তুমি -
না পাওয়ার এই ভূবনে ।।

Wednesday, March 17, 2021

যৌবণ
বয়সের ভরে একদিন আমি বৃদ্ধ হবো ।
এখন আমার আগুন জ্বালানো যৌবণ ।
আকাশ হতে ছিনিয়ে ,আনতে চাই -
চাঁদ ও সূর্যকে ।
সাগর জল শুষে নিতে চাই ! পিপাসীত- 
রূপকথার দৈত্যের ন্যায় ।
সর্পরাজের মনি ছিনিয়ে, প্রিয়ার
অধরে রেখে চুম্বন করতে চাই এই মন ।
এখন আমি উম্মাদ,অসভ্য যৌবণ।
হায়েনার মত হিংস্র আমি, চিতার মত ক্ষিপ্ত , সিংহের মত গর্জনে-
কাঁপাতে চাই বিশ্ব ।
আমি আমার মাঝে ,কি যেন খুজে ফিরি ?
এই আমি কেন এত অসভ্য !
যৌবণ তুমি বড় বেপড়ওয়া ,বড়
বেশী ছন্নছারা ।
কী যেন হারিয়ে ? এসেছি এই পথে ।
মনে পরে কী বন্ধু , সেই যে , সেই দিনের কথা ?
বিকালে পুকুর পাড়ে , আমি-তুই
আমরা ছুটে চলেছি রঙিন এক ঘাসফড়িং-
 এর পিছে ।
দু-হাতে , খুব ই গোপনে ।
কী উল্লাস , সে কী উল্লাস !
পড়ন্ত যৌবণ এসে , বাধ্যক্রর এই পথে ।
ফিরে পেতে মনে চাই , আবার সেই পুকুর পাড় ।
ফিরে পেতে মনে চাই , আবার সেই ঘাসফড়িং ।
( রি-পোষ্ট)
আমি ছুটবো টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ।
আমি চিত্‍কার করে বলবো,
মানিনা মানবো না এই সংবিধান,
এ আমার জম্মসূত্রে পাওয়া অধিকার ।
তুমি কে আমার অধিকার কেরে নেবার ?
আমি তোমাকে চিনি না , আমি তোমাকে চিনতেও চাই না ।
আমি রাজ পথে দাঁড়িয়ে চিত্‍কার করে করে বলবো
এটা ন্যায় ,ঐটা অন্যায় ।
এই আমার ভাইয়ের রক্তে কেনা স্বাধীনতা ।
তুমি কে , আমার নামে দেশদ্রোহীর সীল মোহর মারার ?
কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছো !
আমার হাতে হাত কড়া দিয়ে , পার পেয়ে যাবে ভেবোছো ?
বাঙালীর রক্তে আগুন আছে ,
বাঙালীর রক্তে মিশেল , গ্রেনেড আছে ।
এক একটা বাঙালী , এক একটা পারমানুবিক শক্তি নিয়ে জম্মেছে ।
আমাদের কে জ্বলতে বাধ্য করো না !
একবার জ্বললে থামাতে পারবে না ।
আগুনের সে লেলীহান শিখা ,
হাসিনা জানেনা ,খালেদা জানেনা ।
জানে বাংলাদেশ , বাংলা কে নিয়ে
যে করবে খেলা ! তার অস্থিত্ব আর 
এই ধারাতে খুজে পাবে না ।
আমি ও আমরা স্বাধীন । আমাদের
স্বাধীনতা কেরে নিতে চেও না ।
তাহলে তুমি ও বাঁচবে না ।
কথা রাখতে পারি না ,ও গো বিধি
-কথা রাখতে পারি না ।।
পাপ পূর্ন্যের এই দুনিয়াতে ,আমি কথা রাখতে পারি না ।।
মুহম্মদ রাসূল মোর , তুমি মোর স্রষ্টা ।।
এত সম্মান দিলে মোরে ,
তবুও তোমার গুনাগুন করি না ।।
আমি বড় অভাগা ,ও গো বিধি , আমি বড় অভাগা ।।
পাপ পূর্ন্যের এই দুনিয়া ,আমি কথা রাখতে পারি না ।
দেখ গো বিধি , ঐ যে আরব দুলাল -
কাঁদে রওজা মোবারকে -উম্মতি উম্মতি ।।
আমি যে বড় অভাগা , নবীর সম্মান রাখতে জানিনা ।।
পর পারে বেধো না মোরে ॥
তোমার ঐ প্রশ্ন জালে - উত্তর যে আমার নাই জানা ।
দেখো চেয়ে , কুলসিরাতের ঐ পারে-
তপ্ত পোড়া মাটি হয়েছে কাঁদা ॥
কাঁদে নবী মোর উম্মতের কান্ডারী ।
ইয়া উম্মতি ,ইয়া উম্মতি বলিয়া ॥
ও গো বিধি , তোমার ও আরশ টলে-
নবী মুহাম্মদের অশ্রু জলে ॥
শেষ বিচারের ময়দানে , ডেকো মোরে উম্মতি মুহাম্মদ বলিয়া ॥
জানি মোর আশেকি নবী , যাবে না
মোরে ছারিয়া ॥
সন্তানরে যেমন পিতা রাখে বুকে আগলে - 
শত অপরাধেও করে ক্ষমা।
তেমনি মোরে বুকে রাখবে , নবী মোর রহমতউল্লাহ ।

Monday, March 15, 2021

কথা আছে

সুখ তাঁরা আমাকে ফাকি দিয়ে আর কত ,
ভোরের আকাশের মন জয় করবি তুই ।
তুই কী জানিস না, তোকে মন ভরে দেখবো বলে, আমার রাত্রী জেগে থাকা ।
 তুই কী জানিস না ,সারা রাত জাগা ক্লান্ত এ দু নয়নে ,প্রভাত পাখিরা গানের সুর বেধে দিয়ে যায় । 
নিদ্রাদেবী বিশ্রী হাসি হেসে এই দু নয়নে নিদ্রার মোটা চাদর ফেলে দেই। 
অব্যর্থ চেষ্টা করেও ,নিজে কে ধরে রাখতে পারিনা । 
 ঘুমের আবেগ মাখা পরশে ,নিদ্রাদেবীর কোলে মাথা রেখে এই আমাকে আমি অচেনা হয়ে যায় । 
তখন তুই চুপি চুপি আমাকে ফাকি দিয়ে ,
ভোরের আকাশ কে ভালোবাসা দিস । 
ইশ বড় ইর্ষা হয়, যদি আমি ভোরের পাখি হতাম ।
 তোর আগমনে খুশির পরশে ভালোবাসার সুর বাধতাম ।
তবুও জেগে থাকা ,যদি একবার তোকে প্রাণ ভরে দেখতে পাই এই মাঝ রাতের আকাশে ,
কোটি তাঁরার ভিরে খুজে নিয়ে তোকে বলতাম দুঃখ সুখের দুটি কথা । 
কোন সে অনলে দহন হয়েছে হৃদয়, খুজে নিয়েছে এই পুড়া মন নিশি জেগে তোর প্রতিক্ষা । 
প্রতিক্ষার সীমা ভেদ করে যদি সময় হয় ,তবে একবার মাঝ রাতের দূর আকাশে দেখা দিস কথা আছে ।
(অরন্য)
"2007 এ ভোটের আগে লেখা"
মুখোশ পরা নেতা

আজ এসেছে মোদের "অকাল-বোধন"
পিছু পা হবার উপায় যে নাই ।
যদি হয় পিছু পা -
সকলে হবে "অগ্নিশর্মা" মোদের ওপর ।
আজ আমরা হয়ে গেছি ওদের কাছে
"নীল আকাশের চাঁদ"
গত কাল ও ছিলাম মোরা ,
তাহাদের কাছে "তাসের ঘর" ।
এখন শুনি তাদের মুখে -
আমরা নাকি তাদের "ইয়ার বকশি" !
আজ ওরা-
বলে কত ,মোদের নিয়ে "আষাঢ়ে গল্প" ।
অথচ -
গতকাল ও দিয়েছিল গালি বলে,
শালা "কচুবনের কালা চাঁদ" ।
ওরা তো ভাই "অগাধ জলের মাছ"
রং বদল করা যে ওদের কাজ ।

Thursday, March 11, 2021

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম 
১১/০৩/২০

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়, 
দেখতে হয় না, কাছে রাখতে হয় না! অথচ, 
এই মুহূর্তে সে কি করছে বলে দেওয়া যায়,
সময়ের স্রোত, বিশ্বাসের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে।

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়, 
সহস্র বছরেও, এতোটুকুও অবিশ্বাসের কচুরিপানা 
জমাট বাঁধতে দেয় না।  
চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়, 
সে কেমন আছে, কতটা ভালো আছে।
চোখ দেখলে, সাগর খুঁজে পাওয়া যায়! 
বুকের মাঝে আকুলতা খুঁজে পেতে-
বিরহের গল্প শুনতে হয় না। 
তার হাসির আড়ালে বিরহ খুঁজে পাওয়া যায়।
তার পদ চরণের পরিবর্তনের শব্দ,
বুকের ভেতর টা, গুপ্ত- বালুচরে পড়ে যাওয়া
প্রিয়, মানুষের আর্তনাদ জানান দিবে। 

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়, 
কোন চাহিদা থাকে না,  তবুও ঋণেঋণে জর্জরিত
করে তোলে,  আমার ও আমাদের। 
বিশ্বাস, বিশ্বাস আর বিশ্বাসের, পর্বত গড়ে তোলে। 
হারানোর ভয় থাকে না! 
কাছে আসলে, সময়ের স্রোতে বাঁধ দিতে ইচ্ছে হয়। 

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়, 
ভালোলাগা ভালোবাসার মাঝে বিভেদ থাকে না, 
ঝগড়া থাকে, অভিমান থাকে, বিচ্ছেদ থাকে না। 
দুঃখ থাকে, কষ্ট থাকে অথচ বিরহ থাকে না। 
সুখের পায়ে বেড়ি পড়িয়ে, কাটে  দিন।

অথচ কোন অভিযোগ থাকে না। 

সম্পর্ক গুলোর মাঝে অধিকার থাকে, 
অধিকার হরণের ক্ষমতা থাকে না। 
শ্রদ্ধা থাকে, স্নেহ থাকে, ভালোবাসা'র-
 কমতি থাকে না। 

সম্পর্ক গুলো অভিমান করেছে,  
সম্পর্কের সাথে মানুষ আজ সম্পর্ক রাখেনা।। 

বিষাদ ভর করেছে,
একাকীত্বের তীরে, নৌকা ডুবুডুবু করে। 
মানুষ সম্পর্কের অভাবে বিষন্নতায় ভোগে।

Monday, February 15, 2021

কবি

তোমাদের এ তল্লাটে আমি একেবারে নতুন ,
সাজানো গোছানো তোমাদের সবকিছু
আমি চির ছন্নছারা , বড় উদাস ।
নেই কোন গর্ন্তব্য , শুধু পথ চলি
অজানা কে জানার প্রবল ইচ্ছায় ।
আমার শরীরে যে কালো পাঞ্জাবী দেখছো , এটা পাঞ্জাবী না ।
এটা এক দুঃখের করুন ইতিহাস !
সেটা অজানা থাক , দুটি নয়ন 
রক্তে রঞ্জিত দেখছো -
সেটা রাত্রী জাগার অভিশাপ ।
সে চলে যাবার সময় বলেছিল ফিরে আসবে ,
তার প্রতিক্ষায় চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত নয়ন
নিদ্রাহীন , যদি ফিরে এসে আমাকে 
নিদ্রায় মত্ত হতে দেখে ফিরে যায় ।
সে ভয়ে আমি জেগে আছি সহস্র বছর ।
সে আসেনি , নয়ন জলে ভেসেছি একাকী ।
আমি কবি না , আমি অতি সাধারন 
অতি তুচ্ছ , তোমাদের এই তল্লাটে
একেবারে নতুন ।
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত , পিপাসীত আমি ।
ভুল করে এসেছি , তোমাদের এই তল্লাটে ।
তোমরা তো সকলে অনন্য , 
বাঁধন হারা , বড্ড গোছালো ছন্দে কবিতার স্রষ্ঠা ।
আমি অগোছালো , কয়য়েকটি শব্দের অমিল ।
উসকো খুসকো চুল দাড়ি , ছিরা জুতা কালো পাঞ্জাবী পুরানো সেই জিন্স ।
ভাব টা এমন যেন , মহাকবি !
তবু ও এ কথা সত্য , আমি তল্লাটে একেবারেই নতুন ।
তোমাদের মত কবিদের ভিরে-
 আমি নিছক এক ভবঘুরে শিশু ।
মেঘনা পাড়ের কন্যা

মেঘনা পাড়ে দেখেছিলাম কন্যা তোমায় , ভরা চাঁদের মাঘী পূর্নিমার প্রথম সে প্রহরে ।
যেখানে এসে "হাড়িদোয়া" শাখা পরম ভালোবাসায় জড়িয়েছে মেঘনাকে ।
আমি চেয়ে দেখছিলাম তোমার সরু কায়া । 
যেন মেঘনার ঢেউ কূলে  আছড়ে পড়ে ।
মন হনন করা চলন তোমার,
"হাড়িদোয়া" এর ন্যায় বেঁকে চলে কোমড় তোমার ।
বড় শখ জেগেছিল মেঘনার পাগল বায়ু হয়ে ছুয়ে দিতে ।
রেশমী চুলে এলোমেলো খেলা করতে ।
নদীর জলে পরা চাঁদের প্রতিবিম্ব কে বড় ই বেরসিক মনে হয়েছিল ।

সে যে র্নিলজ্জ এর ন্যায় তোমার চলার পথে আমার চেয়ে থাকা লোভনীয় দৃষ্টি ,জনসম্মূখে আবরনহীণ করে দিতে অতি ব্যাস্ত ছিল ।
কত সময় ঐ পথ চেয়েছিলাম মনে নাই, হঠাত্‍ এক কম্পিত ঠান্ডা বায়ু আমার অস্তিত্ব জানান দিয়ে গেলো ।

দৃষ্টির অগোচড়ে তুমি তখন মনের মাঝে স্বপ্ন আঁকা অচেনা নারী ।

Sunday, February 7, 2021

উম্মাদ

আমিও গঢ়তে জানি , ভাঙতে জানি।
দাঁত দিয়ে কেটে শিকল, আমি ও মারতে জানি ।
যে দিন আমি উম্মাদ হয়ে যাবো -
 মনে রেখো , সেই দিন তোমার রাজতন্ত্র থরথরিয়ে কাঁপতে থাকবে।
প্রকট শীতে শত বছরের বুড়ী , যেমন থরথরিয়ে কাঁপে ।
প্রচন্ড ভূমিকম্পে যেমন করে-
অট্টলিকা ধসে পরে , তেমন করে তুমিও ।
আর কত ? এইভাবে আঘাত করবে মোরে ।
আমিও তো রক্তে মাংসে গঢ়া মানুষ।
আমার ও ভিতরে রাগ আছে , আছে অভিমান ।
আমি সাধারন , অতি সাধারন ।
তাই বলে কী ? আমার বাহু বল নেই ভাবছো ।
আমি ও জ্বলতে জানি , হিংস্রার অনলে জ্বালাতে জানি ।
যে খেলা আজ তোমরা সূচনা করেছো
আমি তার ইতি টানবোই।
আমি জনগন ,  সাধারন জনগণ
যে দিন আমি ও আমরা উম্মাদ হয়ে যাবো ।
মনে রেখো  জীবিত তোমায় , জলন্ত চিতায় দহন করবো ।
এখন ও সময় আছে , আমার গনতন্ত্র আমাকে ফিরিয়ে দাও ।
বন্ধ করো তোমাদের এই পারিবারিক নৈরাজ্য -
তা না হলে , সত্যিই আমি উম্মাদ হয়ে যাবো ।
তবুও ভালোবাসি

যে দিন তোমার উজ্জল চামড়া ,
কুচকে যাবে , ভাজ পরে যাবে কপালে
সেই দিন , স্বপ্ন হারা এক দুঃখ বিলাসীর কথা মনে হবে তোমার ।
মনের অজান্তে কেঁদে উঠবে তুমি-
ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু বির্সজন দিবে তোমার নয়ন ।
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে হয়তো সেইদিন
বলবে তুমি "সত্যিই আমি ভুল করেছি"
সেইদিনের সেই র্দূসময় কেও তোমার পাশে থাকবে না ।
হাত ধরে বলবে না "এই চলো হারিয়ে যায়"
তবুও তুমি হাত বাড়িয়ে দিবে ।
ছানি পরা দু-চোখে ঝাপসা আলোতে
এই আমাকে খুজবে । হয়তো-
সেই দিন এই আমি বিকালের নুয়ে
পরা সূর্যের ন্যায় হেলে যাবো ।
তবুও তোমার ঐ হাত দুটি ধরে-
বলবো সে সময় ভালোবাসি ভালোবাসি ।

Tuesday, February 2, 2021

প্রেমিকাই বারবণিতা

অতঃপর, 
জগৎ এর সমস্ত প্রেমিকাকে একত্র করা হলো।  

       তারপর, 
      একজন কবিকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করিয়ে, 
      তার শেষ বক্তব্য বলতে বলা হলো। 

             কবি দিশেহারা হননি। 
গহীন অরণ্যে গাছের ছায়া ভেদ করে যেমন 
সূর্যের তীর্যক রশ্মি  ঝলক  দেয়। 
তেমনি উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত হাসি হেঁসে, 
           তিনি বলতে শুরু করলেন। 

এখানে উপস্থিত সকল প্রেমিকাদ্বয়, 
     তোমরা আমার বড় প্রিয়। 
তোমাদের হাসি আমার কাছে, 
সাগরের বুকে সূর্য উদয়ের মতো। 
তোমাদের একবিন্দু চোখের জল, 
দূর্বা ডগাতে জমে থাকা শিশির বিন্দুর মতো। 

আমি তোমাদের বড় ভালোবাসি 
তাই তো মৃত্যু মঞ্চে,
 তোমাদের কে একটা কথা বলতে আসা। 

প্রিয়, প্রেমিকারা 
খাতা কলম নাও। 

আমার হাতে সময় বড় অল্প,  
তোমাদের দেবার কিছুই নেই আমার 
আমি রিক্ত আমি শূন্য। 
চেয়ে দেখো-
কালো কাপড়ে বেঁধে রাখা হয়েছে আমার চোখ। 

প্রিয়, প্রেমিকারা 
খাতা কলম নাও। 

আমার হাতে সময় বড় অল্প,
আমার কন্ঠনালীতে র‍য়েছে রশি, 
শুনেছি অনেক মূল্য এই রশির। 
কি আশ্চর্য, আমাকে মারতে এতো আয়োজন! 
অথচ আমি প্রেমিক, আমার মৃত্যু নেই 
আমার যন্ত্রণা আছে, কিন্তু নিঃশেষ হবার ভয় নেই
দহন জ্বালা আছে, ভশ্ম হবার ভয় নেই 
কারণ আমি তোমাদের প্রেমিক। 

প্রিয়, প্রেমিকারা 
তোমরা কি জানো 
আমার মৃত্যু দন্ডের কারণ? 

জানার প্রয়োজন নেই 

কারণ বারবণিতাদের 
কোন কিছু জানার প্রয়োজন হয় না।

Monday, February 1, 2021

শপথের চিঠি 
০৪/০৮/২০

প্রিয়,
অপারাজিতা।
শপথের এই চিঠি, 
প্রতীক্ষায় থেকো। 
দেখা হবে বন্ধু,
কথা লও,  শপথ করলাম 
তোমার স্পন্দনের। 
দেখা আমাদের হবেই পূনর্বার। 
ঘূর্ণায়মান এই ধারায়,  
কোন এক সাঝের বেলা।
দেখা যে, আমাদের হতেই হবে,  পূনর্বার।
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে, 
লাল শাড়ী অঙ্গে জড়িয়ে,
হয়তো অন্য কোন পদধ্বনীর, 
প্রহর গুণছো সে সময়।

একটু জল হবে? 
বলে হয়তো দাঁড়িয়ে যাবো, তোমার আঙ্গিনায়!
হবাক হবে? 
নাকি চেনা কন্ঠস্বরে শিউরে উঠবে?
কাপা কাপা কন্ঠে সেইদিন তুমি, 
কি উত্তর দিবে?
জানতে ব্যাকুল হৃদয়। 

আমাদের দেখা হবে সাঁঝের বেলা, 
যেখানে ক্লান্ত সূর্য, অস্তপারের গান করে।
কোন এক পৌষ মাসে,
কুয়াশার চাদড় মুড়িয়ে ,
মধ্য রাতের চাঁদ হয়ে, 
তোমার জানালার গ্রীল ভেদ করে। 
একদিন আমি, 
তোমার প্রেমীকের বুকে আশ্রয় নিবো।
সেই দিন চেনা শরীরের গন্ধে,  
অচেনা আমাকে, দূরে সরিয়ে দিতে পারবে? 
তোমার আদরে মাখা 
হাস্নাহেনা ফুল হয়ে সৌরভ দিবো। 
যতটা নির্দয় হবে তুমি, 
আমি ততোটায় নির্বোধ হবো। 
কোন এক ক্লান্তিময় দুপুরে তোমার আচল তলে,
অবোধ শিশু হবো।
তোমার নষ্ট হয়ে বকে যাওয়া শিশু। 
খুব বিরক্ত করবো। 
সে-দিন কিছুই বলতে পারবে না। 
তোমার শিরা উপশিরা বেয়ে ধাবিত হওয়া,  লহিতকণিকাতে আমি প্রবাহমাণ।

সাঁঝেরবাতি জ্বেলে রেখো,
আমি ফিরে আসবোই, আসবো।
 দেখা আমাদের হবেই পুনর্বার। 
 দেখা আমাদের হতেই হবে, পূনর্বার।
আমাদের ইশ্বর অতটা নির্দয় নয়।

Saturday, January 30, 2021

"""""""""'পথ হারাবো""""""""
২৯/০১/১৬

যদি পথে যেতে যেতে মৃত্যুর সাথে দেখা হয় -
 প্রনাম জানিও আমার ! বলো প্রতিক্ষায় আছি।
মাঝি তোমার সময় হয়েছে?
পাল তুলে দাও ,আমি উজানে ভাসবো
বৈঠা ফেলে দাও, অথৈয় জলে।

ওগো মেঘ তুমি আধারে ঢেকে যাও-
আমি পথ হারাবো ।
স্বপ্নের ওপর জমা হয়েছে বিবর্ণ ছাই ।
আমি পথ হারাবো , তাতে কার বা কী -
            আসে যায়।
মধুর বসন্তে যে ফুল ফুটিলনা ,
প্রখর গীষ্মে কেমনে করি তার কামনা ।
তার চেয়ে বরং একাই ভেসে যায়।

ওগো ও জোয়ারের মাঝি-
যদি পথে যেতে যেতে , মৃত্যর সাথে দেখা হয়
প্রনাম জানিও আমার। 
বলো-এখন ও বেঁচে আছে সে !
ভেসে চলেছে উজান স্রোতে ডিঙি নৌকায়।
প্রিয়ার নামে পাল-
বৈঠা ফেলেছে , মাঝ নদীর জলে ।
বলো প্রতিক্ষায় আছি তার ।

বাতাসে গুঞ্জন শুনিতে পাই
কিশোরী প্রিয়া মোর 
গোলাপের পাপড়ী সাজায়ে ডালি, 
আখি জলে চেয়ে ছিল গড়াই নদীর তীরে ।
ভূমিতে অবনত নয়ন প্রিয়ার,
দৃষ্টি গড়াই পানে ।
মানে অভিমানে প্রিয়া মোর ,
কপোলে শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুর বলি রেখা -
পথও চেয়ে চেয়ে ।
পাখির কলোতানে শুনেছি
ভালোবাসা অভিশাপ হয়েছে মোর। 
সে নাকী? এখন, আর কাঁদে না !
মৃদু বাতাস নাকী উড়িয়ে নিয়েছে 
সাজানো ডালি।
আমি পথ হারাবো ।
কাল বৈশাখ তুমি ধেয়ে আসো ,
ওগো মাঝি নোঙর তুলো ,
এইবার আমাকে দাও ছাড়ি -
আমি পথ হারাবো 
হবো একাকী,  বৈরাগী।
"""""""""প্রিয় হারা কবি"""""""

দূর্বার ডগাই একফোটা শিশির বিন্দু ,
মুক্ত দানা হয়ে ঝরে তোমার ও নয়ন আজ সিন্ধু।
ওগো
তুমি কেন চুপ আছো !
দেখো চেয়ে , ধূপের ধোয়া ছুয়ে যায় গগন কে।
আমি কাঁদি,
তুমি কাঁদবে না ? আমাকে বুকে জড়িয়ে -
ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলবে না , ভীষন ভালোবাসি ।
ফুল ঝড়ছে তো কি হয়েছে ? সুতা তো আছে ।
আমরা দুইজন না হয় , আবার গাথব মালা ।
আঁতর , কফূর এর সুভাস আমার যে সহ্য হয় না,
তুমি নীল শাড়িটি কেন অঙ্গে জড়াও না ?
সাদা শাড়িতে যে তোমাকে বধূ সাজে না ।
দেখো , আলতা এনেছি ।
রাঙা পায়ে,
চুম্বন করবো বলে, কথা কি বলবে না ! 
নীল শাড়ি নীল চুড়ি ,নীল ফিতা ,নীল টিঁপ
তবুও অভিমান ভাঙবে না ।
তুমি কি হাসবে না , কেন কথা বলো না ?
বাতাসে ভারি নিঃশ্বাস ,ভীষণ কষ্ট বুকে ।
একা একা নিশ্চুপ থাকা যায় কত সময় বল ?
তুমি তো জানোই, আমি নিশ্চুপ থাকতে পারি না ।
ভাইয়োলেনের ঐ করুন সুর কে বাজায় ?
ও সুর যে আমার বুকে ব্যাথা দেয় ।
ওকে থামতে বলো ,
বাতাসে বাতাসে বিরহ সুর আমার আর সহ্য হয় না।
আমি জানি তুমি মৃত্যুকে বরণ করোনি ,কিংবা মৃত্যু তোমাকে ।
মৃত্যু তোমাকে ছুয়ে দিতে পারে না ,
আমি যে বুকে আগলে রেখেছি তোমাকে ।
হৃদয় মন্দিরে লুকিয়ে রেখেছি তোমাকে।
ও মন্দিরে যমদূতের প্রবেশে আছে মানা 

আমি মরিলেও আমার প্রেম মরিবে না ।
এই বার জাগো তুমি,
আঁখি মেলে একটু চাও ।
তোমার কবি ডাকে তোমায় , কবিতা কবিতা
শুনিতে কি নাহি  পাও !!

Thursday, January 28, 2021

""""""""""স্বপ্ন ফেরী"""""""""
২৯/০১/২০

এই পুরে আমি নতুন এলাম । 
স্বপ্ন বেচবো বলে, ধূসর স্বপ্ন
বেদনার স্বপ্ন , লাল নীল 
আর কালো স্বপ্ন ।

তুমি চাইলে সস্তাই দিতে পারি
বুক ভরা ভালোবাসা -
নিবে গো অতি সস্তাই , বস্তা ভরা স্বপ্ন ।

আমি স্বপ্ন ফেরি করি ।
হরেক রকম স্বপ্ন আছে ,
নষ্ট স্বপ্ন নিয়ে , সুখের স্বপ্ন বেচি ।
এই স্বপ্নটা গল্প করে -
রাজকুমার রাজকুমারীর কিৎসা বলে ।
এই স্বপ্নটা সুর করে ,
এই স্বপ্নটা গান করে ।

ও দাদা ভাই , ও দিদি আমি
    এক স্বপ্ন ফেরী ওয়ালা ।
স্বপ্ন ফেরী করি ।
এই স্বপ্নটা বেশ বড় , সুখের রাজ্যে
দিবে পারি।
এই স্বপ্নটা নিলে পরে , চার আনায় পাবে ।
এই স্বপ্নটার ডানা আছে, 
এই স্বপ্ন টা উড়ে -
এই স্বপ্নটা প্রজাপতির পাখায় মেলে ।

আমি দাদা বনে বসত করি-
দুঃখ আমার হৃদয় জুড়ে 
কষ্টের জ্বালা ভালো জানি ।

লোক ঠকানো ব্যবসা নইগো 
স্বপ্ন ফেরী করি ।
চলে গেলে আর পাবে না-
ফিরব না আর কভু এই পুরে ।

ও দাদা ভাই , ও দিদি স্বপ্ন নিবে গো
হরেক রকম স্বপ্ন আছে ।
স্বপ্ন আছে ভরিভরি ।
সস্তায় পাবে বস্তা ভরা স্বপ্ন,
চলে গেলে আর পাবে না - 
দুঃখ সুখের  স্বপ্ন গুলো।

Sunday, January 24, 2021

পঁচিশে জানুয়ারি 
২৫/১/২০

অথচ চেয়ে দেখো কি নিঃসঙ্গতা নিয়ে
একটা দুপুর, একলা চিল ডানা ঝাপটা দিয়ে জানিয়ে যায় চিৎকারে,  তার একাকীত্ব।

আমি তো চিল না, তবুও সমুদ্র পাড়ে গেলে চিৎকার দিতে ইচ্ছে হয়, প্রিয় নাম ধরে।  

আমার শকুনের ন্যায় তীক্ষ্ণ দৃষ্টি,
 এখনো খুজে চলে তোর দেহের প্রতিটি নক্ষত্র।  
তোর চিবুকে যে তিল বাসা বেধেছে
ছুয়ে দিতে ইচ্ছে হয় তাকে। 
তোর কন্ঠ নালীর সামান্য নিচে, বুকের বাম দিকে 
কিংবা অসীম সমুদ্রের উচ্ছাসে ঠাঁই মিলেছে 
ওই চক্রকেন্দের সামান্য উচুতে। 
ছুয়ে দিতে ইচ্ছে হয়, সে কি গভীর ইচ্ছে! 
যেমন একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ে, 
তেমন ক্লান্তিহীন হয়ে, ইচ্ছেরা বুকে আঘাত করে।

আজ তুমি মৃত্যু,
শোকের মিছিলে লক্ষ লক্ষ প্রেমিক তোমার। 
শুধু আমি নেই, সে মিছিলে। 
তোমার শূন্যতা আমাকে একাকীত্ব করে তুলেছে, 
বিষন্নতার বীণাতে সু করুণ সুর উঠেছে। 
আমাকে করেছে উদাসী,
 তবুও আমি চরম তুমি বিদ্রোহী । 

যত শূন্যতা গ্রাস করুক,
যত বিষন্নতা আমার দশ দিক বিষাদে বিষাক্ত হোক।
আমি তোমাকে প্রার্থনা করবো না। 
আমি তোমার তোমাকে ভালোবাসি,
কিন্তু তোমাকে না। 

তবুও আজ পঁচিশে জানুয়ারি, তোমাকে চাচ্ছি প্রিয়। 

হয়তো তুমি ভুলে গেছো, 
হয়তো নতুন বসন্তে, নতুন কোকিল আসবে। 
তবুও তুমি কি ভুলে যাবে? 
আজ পঁচিশে জানুয়ারি! 

কোন এক বসন্তে,  এক কাক এসেছিল
ছিন্নভিন্ন করেছিলো বাগানের সাজানো রূপ।

হয়তো ভুলে গেছো,  নতুন সুখের শীৎকারে 
মায়া নিয়ে হয়তো দেখছো ক্লান্ত যুবক কে! 

সমুদ্র শুকিয়ে যায়, সৃষ্টি হয় ব্যথার বালুচর 
অনাদি কাল কেটে যায়। 

দগদগিয়ে ক্ষত, উত্তপ্ত হয় আবার হয় শীতল। 
কি ভীষণ পোড়ে, কি ভীষণ উষ্ণতা হীনতা
যদি বোঝাতে পারতাম! 

ভুলে আছি, ভুলে থাকবো প্রতিজ্ঞা নিয়েছি,
তোমাকে নিয়ে লিখবো না কোন কবিতা। 
তবুও আজ পঁচিশে জানুয়ারি , 
ছুয়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে, 
তোমার চিবুকের তিল টা।

রাত ৪.১৭

Friday, January 22, 2021

গত জম্মে তুমি আমার প্রিয় ছিলে, 
এই জম্মে সে টান রয়ে গেছে। 

Wednesday, January 20, 2021

হায়রে স্বাধীনতা

খুলে দে আমার হাতের বাধন ,
বেঁজে উঁঠুক সিঙার বাঁশি ,
আমিও আজ একটু মৃত্যু খেলাতে হাসি ।
ক্ষুধার জ্বালা এই পেটে , তৃষ্ণা বড় বুকে ।
আতঙ্ক আমার চোখে মুখে ।
চারিদিকে একটি আহাজারি- 
একটু ভয় কে কাটিয়ে হাঁটতে চাই ।
এক চিমটি স্বাধীনতা চাই ।
বিবেক মরে গেছে , তাজা ফুল আজ
পথের ধারে রর্ক্তাত্ব হয়ে ঝরে গেছে ।
হায়রে বাংলাদেশ 71 এর রক্তের প্রতিদান দেওয়া কী হয়েছে শেষ ?
রক্তের স্রোতে ভেসে চলে রাজপথ ।
যখন বিশ্ব স্বপ্ন দেখে মঙ্গলগ্রহ জয়ের
তখন এই বাংলাদেশ দেখে দুঃস্বপ্নের আহাজারি ।
ভোর না হতেই হকারের উচ্চ ধ্বনি ।
পত্রিকার প্রথম লাইনে বড় করে
লেখা খুন হয়েছে খুন ।
এখন তো আর চায়ের কাপে আড্ডা
জমে না ।
চায়ের কাপ থেকে রক্তের ঘ্রাণ ভাসে।
কোথায় স্বাধীনতা ? ওলি-গলি,রাজ পথ-মেঠো পথ ,খাল বিল, নদ-নদী,
সব খুজেছি আমি সর্বত্র ।
হায় কোথাও পাই নি খুজে এতটুকু
স্বাধীনতা ।
রফিক আজাদের ন্যায় আজ বলতে
মনে চাই 
"ভাত দে হারমজাদা"
না হলে মানচিত্র খাব ।
হে রফিক আজাদ কোথায় তুমি ,
দেখে যাও আজ মানচিত্র খাওয়ার
সময় এসেছে ।
আসো বন্ধু সমস্ত ক্ষুর্ধাত বাঙ্গালী
আসো মানচিত্র কে ছিরে খুরে খেয়ে
ক্ষুধার জ্বালা শেষ করি ।
আর কত মার খাবে , তুমি ।
দেওয়ালে পিঠ কি এখন লাগেনি ?
এখন ও কী অপেক্ষার প্রহর পারি দাও ,
স্বাধীনতার আশাতে ।
স্বপ্ন দেখ তবে তুমি জেগে জেগে ।
ততসময় স্বপ্নের বাংলা চুরি করে
নিয়ে যাক ভিন দেশী এজেন্সী ।
তুমি হয়তো তখন ও বুকের রক্তে চেয়ে চেয়ে দেখবে আর দু-চোখের
জলে বলবে হায়রে স্বাধীনতা ।
গল্প শুনে গেলাম তোমার , চোখে দেখা হলো না ।
*******কোন সে বিরহে*******

শুনছি সাগরের গর্জন এলে তুমি এখন উম্মাদ হয়ে যাও ,
বৈঠার আঘাতে ছলাৎছলাৎ শব্দে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে ওঠো ?
রাতের আধারে একাকী তুমি নিসঙ্গতার সুর বাধো !
শুনেছি তুমি গৌধূলী লগ্নে , চুল এলিয়ে কারও প্রতিক্ষায় পথ চেয়ে থাকো ?
নীরবতার চাদরে আড়াল করেছো নিজেকে ।।
শুনিছি বর্ষার বারিধারা গগন জুড়ে তোমার আঁখি জল ঝরে ।
কার দেওয়া মর্মাঘাতে তুমি বেদনার বিষে নীল হয়েছো ?
শুনেছি এখন নাকি আর দক্ষিনা বাতায়ন খুলে ,
ফুলের সুভাস নাও না !
ডায়েরীর ভাজে মর্মরে গোলাপের পাপড়ী বুকে চেপে-
অঝড়ে নাকি এখন নিয়ম করে কাঁদো ।।
শুধু শুনতে পারিনাই , কার দেওয়া আঘাতে -
কোন সে বিরহে ?
দুঃখের সাগরে বৈঠা ফেলে , একাকী ভাসো ।

Friday, January 15, 2021

বিরহতাপ

কবি,
শুল্ক পক্ষের এই রাত পাড়ি দিতে,
আরও কয়য়েকশ পেয়ালা
হেমলক সুধা পানের প্রয়োজন।
অন্যথাই এই রাত শেষ হবার না,
এ যে বিষাদের কালো রাত ।
তীব্র বিরহ বিচ্ছেদের বেদনা প্রয়োজন,
এখন ;
পূর্ণতা, যে জীবনের স্বাদ হতে পারে না।
যেমন, তেতুল মিষ্টি হলে, তৃপ্তি আসে না।
তেমন জীবনে বিচ্ছেদ না থাকলে, পূর্ণতা আসে না।
তাই তো বিশ্বরচিতা,"জীবন" নামক
উপন্যাসে, মৃত্যু নামক শব্দের ব্যবহার করেছেন।
অথচ জীবন এখন প্রেমে পরিপূর্ণ, 
বিচ্ছেদের আশাতে, প্রেম পরে মন।
আগের মতো কেনো? বিচ্ছেদ  কাঁদায় না!
তবে  মৃত্যুর যন্ত্রণা একবার?
তারপর,মৃত্যুর যন্ত্রণা আর ব্যথা দেয় না? 

কোথায়! হে কবি
এই'বার ভর করো
আমার হৃদয়ে। 
হেমলকের তীব্র নেশা যে চোখে লেগেছে
মস্তিষ্ক ভুলে গেছে সকল লেনাদেনা।  
সঠিক সময় এখন 
ভর করো,
ভর করো, 
হে প্রিয়, বিরহ কাতর কবি।
ভর করো ধরিত্রে সকল অপূর্ণতার বিরহ নিয়ে। 
বিরহের তাপে পাই যেন চির শান্তি। 

Sunday, January 3, 2021

ক্ষুর্ধাত হায়েনা জেগে উঠেছে ,
শ্মসান ঘাটে আজ অতৃপ্ত আত্মারা
অশূরের নৃত্যে মেতে উঠেছে ।
কোথায় আজ স্বাধীনতা ?
অসহায় জাতী আহাকার করে ।
মায়ের বুক শূন্য হচ্ছে , রক্তের বানে আজ রাজধানী ভাসচ্ছে ।
নরখাদকের দল সব গনতন্ত্রের নামে
মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে ।
এ কেমন স্বাধীনতা মা তোর 
এ কোন গনতন্ত্র ?
আমি মানিনা আওয়ামীলীগ
আমি মানিনা বিএনপি
আমি একটু স্বাধীনতা চাই ।
অতল সাগর থেকে এক কাপ-
জল নিলে যেমন সাগর জানতেও
পারে না , 
আমাকে অতটুকু ও স্বাধীনতা দিতে পারলি না , 
হায়রে অভাগা দেশমাতা !
হায়েনার হাতে সপে নিজেকে-
দেখছিস চেয়ে চেয়ে , সন্তানের রক্ত
 হায়েনারা  চুষে খাই কী করে ?
সন্তান তোর মা মা করে -
রাজপথে মৃত্যুর কোলে আছরে পরে ।
আমাকে এক পেয়ালা বিষ দে ,
নয়নের লোনা জলে আজ আমি তিক্ত ।
অনাহারে মরে শিশু , তবুও আমি রিক্ত ।
আমাকে বিদায় দে , আমার চোখের কোনে আজ কালো কালি জমেছে ।
তোদের ভন্ডামীতে । সব দেখেছি-
সব শালা শুয়রের জাত ।
ইতর লম্পট আর হায়েনার দল ।
শিশু কাঁদে অন্নের জ্বালাই ,
তোরা গদি দে গদি দে ফাল দিয়ে বেড়াস ।
কোথাও তো দেখিনাই অন্যায় এর বিরুদ্ধে রুখতে ।
হরতাল সমাবেশের নামে - অস্ত্র তুলে দিয়ে বেশ মজাই কাঁটছে
পোলাও বিরয়ানি খেয়ে । 
আজ নজরুলের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে মনে চাই
"ক্ষুধাতর শিশু চাই না সরাজ চাই না বস্ত্র
 চাই শুধু একটু ভাত আর একটু নুন "
দেখে দেখে আর ভালো লাগে না আমার
এখন বলতে মনে চাই ,
হয় স্বাধীনতা দে নাইতো এক পেয়ালা বিষ দে ।