Saturday, December 5, 2020

রাজা হবো
২০১৭ /১২/০৫

হে সভ্য সমাজ
আমি ও একদিন, 
বৃদ্ধ অঙ্গুলি উচিয়ে 
বলব তোমরা বড় অসভ্য। 

হে আধুনিক সমাজ 
আমিও একদিন
তোমাদের ডেকে বলবো -
উঁহু কি অ আধুনিক তুমি! 
শতাব্দীর বস্তা পঁচা রুচি তোমার। 

হে উচ্চ শিক্ষিত মানব
আমিও একদিন বলব তোমাকে -
আরে!  
তোমার মাথা ভর্তি গোবর 
কি জানো তুমি?

ওহে ও দেশ প্রেমিক
জেনে নাও
এই দেশ টা বিক্রি করে দিয়ে এসে।
ভারাক্রান্ত কন্ঠে
দু-ফোটা অশ্রু বিসর্জন দিয়ে 
আম ও ভাষণ দিবো! 
দেশের জন্য, আমার হৃদয় ব্যকুল। 

আমার থলি ভর্তি স্বার্থপরতা
আর জণগণের বিশ্বাস
খুব যুদ্ধ বেঁধেছে।

থলি উচিয়ে আমি, 
মানুষকে  সংবিধানের বাণী শুনাবো। 

আমি তখন রাজা হবো,  
ভীষণ জেদি হবো,  
মুখে মুখে ঠুঁসি এটে দিবো। 

শুধু আমি কথা বলবো।  
সবাই শুনবে
আর হাত তালি দেবে। 

মানুষ গুলো শুধু ছুটবে আর ছুটবে 
এক কোটি পাগলা ঘোড়া 
এক কোটি পাগলা কুকুর,
আর
এক কোটি,  হিংস্র হায়না । 

লেলিয়ে দিবো! 
রাতের অন্ধকারে উঠিয়ে আনবো।

ভোরের প্রথম আলোতে
তোমাদের রাজ পথ 
রক্তের লাল বর্ণে কেঁপে উঠবে। 
চা'য়ের কাঁপে কিছু সময় প্রবল ঝড় -

সন্ধ্যার পূর্বে, 
আমার পালিত জানোয়ার গুলো ক্ষিপ্ত হবে । 

চা'য়ের চুমুকে আমাকে,
প্রশ্ন বিদ্ধ করেছিলে কারা? 
তোমাদের রক্তে 
সে প্রশ্নের উত্তর রচিত হবে। 

সব হৈ চৈ থেমে যাবে,  
শুধু আমার অত্যাচার ক্রমশ বেড়ে যাবে! 

তোমরা শুধু ইশ্বরের কাছে বিচার চায়বে, 
অথচ 
ইশ্বর কখনো  স্বর্গ থেকে এসে, 
তোমাদের পক্ষে
আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে না। 

তবুও তোমরা চুপ থাকবে! 

আর আমি বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে, 
ধ্বংস যজ্ঞ সৃষ্টি করবো। 
আমার রাজ্যে আমি,
 ইশ্বরের আরাধনা বন্ধ করবো।

ইশ্বরের সংবিধানে আমার কোন স্বার্থ নেই। 
আমার স্বার্থে আমি সংবিধান লিখে নিবো।।  

তোমরা আমাকেই পূজা করবে।
স্যাটেলাইট দাও কিংবা পদ্মা সেতু
খাল কেটে দাও কিংবা নদী খনন 
যে টাই দাও না কেন? 

আমার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে, 
আমার বাক শক্তি কেড়ে নিয়ে, 
আমার কলম কেড়ে নিয়ে। 

তুমি যদি সূর্য জয়ের গল্প শুনাও 
আমার কোন লাভ হবে না। 
পিঁয়াজের বাজারে আগুন লাগিয়ে 
লেবু বাম্পার ফলনের গল্প শুনে 
আমার কোন লাভ হবে না। 

আমি তো দেখেছি মৃত্যুর মিছিলে 
তোমার জমদূতের ন্যায় রূপ। 
আমি দেখেছি, কৃষকের কান্নার মিছিলে
ধান ক্ষেতে জ্বলে কৃষকের দেওয়া আগুন। 

তুমি আমাকে মেট্রোরেল দিয়েছো 
আকাশে উড়ার সু ব্যবস্থা 
চাঁদে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দিয়েছো। 

কিন্তু,

আমি তো দেখেছি কি ভাবে জুয়ার আসরে 
ব্যাংক কর্মকর্তা কিংবা মন্ত্রী আমলার নগ্ন উন্মাদনা। 
আকাশে বিলুপ্ত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের আর্তনাদ।
 আমি দেখেছি বন্ধুত্বের নামে, 
দেশমাতাকে নগ্ন করেছে যারা 
তাদের সাথে তোমাদের দোস্তি।

আমি দেখেছি আড়তদারির জুলুম, 
আমি দেখেছি প্রশাসনের মিথ্যা বীরত্বপানা
অযোগ্য আর অমানুষের হাতে বন্ঠন হতে দেখেছি 
আমার দেশমাতার দেহ খানা,
যে ভাবে ছিবড়ে খাই শকুন 
মৃত্যু দেহের দেহটা। 

তুমি আমাকে গল্প শুনিয়ে, 
ঘুম পাড়িয়ে রাখতে চাও? 
না না না 
তা হবে না

আমি দেখেছি বিনা শুল্কে 
কিভাবে আমাকে ব্যবহার করছে ইন্ডিয়া। 
আমার সীমান্তে, আমাকেই মেরে
গরু পাচারকারী বলতে শুনেছি, 
ফেলিনী'কে দেখেছি কাটাতারে ঝুলে থাকতে, 
আবরার হত্যাকারীদের দেখেছি 
পুনরায় পরীক্ষা দিতে। 

উন্নয়ন এর গল্প শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত
উন্নয়ন এর গণ জোয়ারে 
আমি আর গা ভাসাতে পারি না। 
আমার চোখে ভেসে ওঠে 
দূর-স্বপ্নের হায়েনারা আমার দেশ কে 

ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে 

মৃত্যু দেহ পেলে, শকুনে যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে। 
আমি কি দিয়ে শুরু করি বলতো 
তোমাদের কু কীর্তি।।

Monday, November 16, 2020

আজ আমার মনটা ঝটফট করেছে । অতীতের কিছু স্মৃতি আমাকে দুমড়ে মুচরে দিচ্ছে । বার বার একটি মুখ আমার চোখের সামনে ভাসতেছে । যখন আমি ছোট ছিলাম  তখন একজন কে অনেক কষ্ট দিয়েছি । হ্যা আমার বাবার কথা বলছি । মধ্যবিত্ত পরিবারে আদরের সন্তান আমি । আমার বাবা সামান্য বেতনের চাকরি করত । আমাদের পরিবার এর সংসার খরচ বড় ভাই ও বোনের পড়াশোনা এবং হাত খরচ সব ই বাবার সামান্য বেতন হতে । ভাবতেও কষ্ট লাগে কী নির্মম অত্যাচার টা না করেছি বাবার উপর । বাবা এটা লাগবে ওটা লাগবে এত টাকা লাগবে । বুক পকেটে হাত দিয়ে একটু মুচকী হেসে এই চরম মিথ্যা বাদী লোকটিক, বলত  আমি তো টাকা অফিসে রেখে এসেছি তোমাকে পরে দিই । এক রাশ হাসি ভরা মুখে বাবাকে জড়িয়ে ধরতাম । রুক্ষ চেহারা যে কত নক্ষত্রের উজ্জল আলো হয়ে জ্বলে উঠতো বলে বোঝাতে পারবো না । আমি জানি আমার বাবা এনে দিবে অফিসে টাকা আছে । কিন্তূ আজ বুঝেছি বাবা সেদিন ঋন করে কিংবা নিজের সংসার এর খরচা থেকে আমাকে খুশি করছে ।যখন কিছু চেয়ে তাত্‍ক্ষনিক না পেয়েছি মায়ের সাথে ঝগড়া করতাম । বাবা এত টাকা কী করে তখন বুঝি না 5000/6000 হাজার টাকা আসলে একটি পরিবার এর জন্য এক সমুদ্র জল এর মাঝে এক ঘটি জল নেওয়া মাত্র । মা মুখটি আড়াল করে দু ফোটা অশ্রু ঝড়িছে কিন্তূ সে অশ্রুর অর্থ বুঝতে দেয়নি । মিথ্যাবাদী বাবা টা একটি ছিড়া জিন্ন পোশাকে মাসের পর মাস কাটিয়েছে  অথচ আমার পোশাকে ধূলা পরলে নতুন আর একটা কিনে দেবার জন্য উতালা হয়ে যেত ।  আমি বড় হলাম চাহিদা বড় হল আমার সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে । বন্ধু আড্ডায় নিজের মান বাচাতে বাবার রক্তে বিনিময়ে উর্পাজিত অর্থ নিদ্বিধায় বিলিয়ে দিলাম । স্বার্থে একটু টানে বাবা কে কত কথা শুনিয়ে দিতাম । বাবা একটু রুক্ষ হাসি দিয়ে মাথা নেড়ে সব অপমান সয়ে নিত । কোন দিন কটু কথা বলেনি আমায় । মা কিছু বললেও বাবা বলত বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে । তখন আমি অনেক বড় । একটি চকলেট এ মন ভরে না বন্ধু অড্ডায় মাঝে মাঝে সিগারেটে সুখটান দিতে শিখছি তখনো আমি নাকি ছোট । আমার বাবা বলছে আমি ছোট নিশ্চয় বাবা কিছু বোঝে না ।এটা ভাবতাম । আমার অপরসীম চাহিদার পৃষ্ট ঘাতে এই লোকটি চাপা পড়ে যেতে লাগলো তার ঐ মিথ্যা গুলো এখন আমার চাহিদার চাবুক ঘাতে রক্ত ঝড়ে ঝড়ে মরে যেতে লাগল । বাবার দেওয়া কথা গুলো বড় তিক্ত লাগল অপমান করতে থাকি তার দেওয়া কথাকে । তবুও এ লোকটি পাষান এর ন্যায় চুপ হাসি বুকে সয়েছে সব ।
আজ আমি বড় হয়েছি নিজে একটা চাকরী করি মোটামুটি ভাল বেতন পায় তবুও নিজের উপাজিত অর্থে যদি বাবার দেওয়া অর্থ যোগ না হয় তবে অপূর্ন থেকে যায় । কিছু না পাবার কষ্ট থেকে যায় । বাবার কাছ থেকে এখন ও 100/200 টাকা নিয়ে একটা তৃপ্তি পাই । বাবার মুখে এখন ও সেই হাসি আমাকে মুগ্ধ করে । সত্যি বাবা তোমাকে অনেক ভালোবাসি এখন দূর থেকে তা প্রতি সেকেন্ডে অনুভাব করছি । অশ্রু ঝড়ছে তোমাকে ভেবে । বার বার একটা কথা মনে হয় আসলে তুমি মিথ্যাবাদী চরম নিজে কষ্ট করে আমাকে সুখী করেছো ভাবি কি করে একটা মানুষ নিজেকে নিঃশ্বেস করে ও এতটা ভালো হয় বুঝিনা ।

Tuesday, November 3, 2020

সে আসে, অশ্রু ঝড়ায় 
কে'নো ? মলিন চোখে 
কাজল ল্যাপ্টে থাকে 
নিদ্রাহীনতার! তবে  
প্রকৃতি কথা বলে?
ফিরিয়ে দেয়? 
সময়ের খাজনা। 
তবে কেন বা আসে। 
নিষিদ্ধ ধোঁয়াতে 
মিশে যায় চোখের ধাঁধাতে
পূর্ণ বাসনার শশী বাতিতে
মিশে যায়, শিরা ও উপশিরাতে। 
সুখ, দুঃখ 
ক্রোধ ও বিরহে। 
মিশে যায়; যেভাবে 
নীল মিশে যায়, 
আকাশে। 
ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে 
প্রতিছাঁয়া হয়ে 
রৌদ, বৃষ্টি কিংবা ঝড়ে। 
আলো দেখলে, ছুটে আসে 
অন্ধকার প্রতিচ্ছবি হয়ে। 
রাত এলে মিশে যায় অন্ধকারে, 
নিজের ছাঁয়া যেভাবে হারিয়ে যায় 
সূর্য ঘুমে ঢ'লে পড়লে। 
তবুও আসে নিশিতে 
দুরারোগ্য ক্যান্সের মতো
থেকে যায়, চাহেনা মোরে ছাড়িতে। 

দুঃস্বপ্ন
সে আসে, অশ্রু ঝড়ায় 
কে'নো ? মলিন চোখে 
কাজল ল্যাপ্টে থাকে 
নিদ্রাহীনতার! তবে  
প্রকৃতি কথা বলে?
ফিরিয়ে দেয়? 
সময়ের খাজনা। 
তবে কেন বা আসে। 
নিষিদ্ধ ধোঁয়াতে 
মিশে যায় চোখের ধাঁধাতে
পূর্ণ বাসনার শশী বাতিতে
মিশে যায়, শিরা ও উপশিরাতে। 
সুখ, দুঃখ 
ক্রোধ ও বিরহে। 
মিশে যায়; যেভাবে 
নীল মিশে যায়, 
আকাশে। 
ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে 
প্রতিছাঁয়া হয়ে 
রৌদ, বৃষ্টি কিংবা ঝড়ে। 
আলো দেখলে, ছুটে আসে 
অন্ধকার প্রতিচ্ছবি হয়ে। 
রাত এলে মিশে যায় অন্ধকারে, 
নিজের ছাঁয়া যেভাবে হারিয়ে যায় 
সূর্য ঘুমে ঢ'লে পড়লে। 
তবুও আসে নিশিতে 
দুরারোগ্য ক্যান্সের মতো
থেকে যায়, চাহেনা মোরে ছাড়িতে। 

দুঃস্বপ্ন
নারী সম্পর্কে বিদ্রোহী'র মত এতো সুন্দর উদাহরণ কোন নারীবাদী কখনো দিতে পেরেছে কিনা জানতে ইচ্ছে হয়।  

( কুহেলিকা -একের কিছু অংশ) 

নারী শুধু ইঙ্গিত, সে প্রকাশ নয়। নারীকে আমরা দেখি, বেলাভূমে দাঁড়িয়ে – মহাসিন্ধু দেখার মতো। তীরে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের যতটুকু দেখা যায়, আমরা নারীকে দেখি ততটুকু। সমুদ্রের জলে আমরা যতটুকু নামতে পারি, নারীর মাঝেও ডুবি ততটুকুই।... সে সর্বদা রহস্যের পর রহস্য-জাল দিয়ে নিজেকে গোপন করছে – এই তার স্বভাব।.কী গভীর রহস্য ওদের চোখে-মুখে। ওরা চাঁদের মতো মায়াবী; তারার মতো সুদূর। ছায়াপথের মতো রহস্য।... শুধু আবছায়া, শুধু গোপন! ওরা যেন পৃথিবী হতে কোটি কোটি মাইল দূরে। গ্রহলোক ওদের চোখে চেয়ে আছে অবাক হয়ে – খুকি যেমন করে সন্ধ্যাতারা দেখে। ওদের হয়তো শুধু দেখা যায়, ধরা যায় না। রাখা যায়, ছোঁয়া যায় না। ওরা যেন চাঁদের শোভা, চোখের জলের বাদলা-রাতে চারপাশের বিষাদ-ঘন মেঘে ইন্দ্রধনুর বৃত্ত রচনা করে। দু-দণ্ডের তরে, তারপর মিলিয়ে যায়। ওরা যেন জলের ঢেউ, ফুলের গন্ধ, পাতার শ্যামলিমা। ওদের অনুভব করো, দেখো, কিন্তু ধরতে যেয়ো না।’ঢেউ ধরতে গেলেই জলে ডুববে। গন্ধ ধরতে গেলেই বিঁধবে কাঁটা। শ্যামলিমা ধরতে গেলেই বাজবে শাখা। নারী দেবী, ওকে ছুঁতে নেই, পায়ের নীচে গড় করতে হয়।... কিন্তু কবি, নারী নায়িকা। ও ছাড়া নারীর আর কোনো সংজ্ঞাই নেই।’আমি জানি, নারী মাত্রই নায়িকা। ওরা প্রত্যেকে প্রতিদিন গল্প আর উপন্যাস সৃজন করে চলেছে।... তবে বড্ড বজ্র আঁটুনি – অবশ্য গেরো ফস্কা। কত “চোখের বালি” কত “ঘরে বাইরে”, কত “গৃহদাহ”, “চরিত্রহীন” সৃষ্টি করছে নারী, তার কটাই বা তোমাদের চোখে পড়ে কবি।... যে কোনো মেয়েকে দুটো দিন ভালো করে দেখো, দেখবে লক্ষ্মী-পক্ষী ইত্যাদি চতুর পুরুষের দেওয়া যত সব বিশেষণ কোনোটাই তাকে মানায় না। তবে, নারী বেচারি সংস্কার আর সমাজের খাতিরে সে যা নয় – তাই হবার জন্যে আমরণ সাধনা করছে। সে যুগ যুগ ধরে চতুর পুরুষের ছাঁচে নিজেকে ঢেলে পুরুষকে খুশি করছে। পুরুষ কিন্তু দিব্যি গায়ে ফুঁ দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে এবং নারীকে শিখাচ্ছে দাঁড় ও ছোলা কলার মহিমা। সমানে সমানে বোঝাপড়া হলে নারীকে দেখতে শুধু নায়িকা রূপেই। তোমরা নারীকে দেখ, সে যা হলে ভালো হয় – তাই করে আর আমাদের মতো নিরেট মানুষে দেখে, নারীকে সে যা আছে – তার এক চুলও অতিক্রম না করে। তোমরা যারা নারীকে পূজা কর, আমার এ নির্মমতায় হয়তো ব্যথা পাবে, কিন্তু আমি নারীকে পূজা না করলেও অশ্রদ্ধা করিনে এবং শ্রদ্ধা হয়তো তোমাদের চেয়ে বেশিই করি। কিন্তু তাকে অতিরিক্ত অলংকার পরিয়ে সুন্দর করে – সিঁদুর-কঙ্কণ পরিয়ে কল্যাণী করে নয়। আমি সহজ নারীকে, নিরাভরণাকে করি বন্দনা। রাংতার সাজ পরিয়ে নারীকে দেবী করবার সাধনা আমার নয়। তিন হাত নারীকে বারো হাত শাড়ি পরিয়ে বিপুল করে বাইশ সের লুৎফুন্নিসাকে হিরা জহরত সোনাদানা পরিয়ে এক মনি ভারাক্রান্ত করে – নারীকে প্রসংসা করার চাতুরি আমার নয়! তোমরা হয়তো চটবে, কিন্তু আমি বলি কী, জান? আমি চাই রূপের মোমতাজকে। তাজমহল দিয়ে মোমতাজকে আড়াল করার অবমাননা আমাকে পীড়া দেয়। আমার ক্ষমতা যদি থাকত, ওই বন্দনাগার হতে মোমতাজকে আমি মুক্তি দিতাম। কবরের ভিতর যদি শান্তি থাকে, তবে ‘জাহানারা’ ‘মোমতাজ’ বেচারির চেয়ে অনেক শান্তিতে আছে। জাহানারার কবরের শষ্প-আচ্ছাদনকে মানুষের অহংকার দলিত করেনি, কোনো পাষাণ-দেউল তার বুকে বসে তার বাইরের আকাশ আলোকে আড়াল করে দাঁড়ায়নি!..."
১৮'ই আশ্বিন ১৪২৬
০২'ই নভেম্বর ২০১৯
অ'প্রিয়, 

মনের মাঝে গেঁথে থাকা ধুতরা ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহণ করো।  গোলাপের শুভেচ্ছা প্রেরণ করে,  গোলাপের পবিত্রতা হরনের দায় ভার গ্রহণ করতে পারবো না বিধায়, সে শুভেচ্ছা হতে তুমি বঞ্চিত।  যদিও জানি অনেকে তোমার বাহ্যিক রূপের মোহে তোমাকে কত উপমা'তে সাজাতে চাই!  তারা যদি সত্যিকার তুমি কে জানতো, তবে হয়তো। 
 থাক সে সব কথা,  আজ কয়দিন হলো বৃষ্টি হচ্ছে।  অথচ শরৎ কালে এই ভাবে বৃষ্টি হবার কথা ছিলো না।  শরৎ ' র চোখের জলে নিজেকে ভিজিয়ে তোমাকে লিখতে বসা।  অভিযোগের ডায়েরি থেকে। 

শরৎ'র আকাশ'টা এখন ঘন ঘন কাঁদতে বসে,  খুব যত্ন করে, সুর করে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে।  বায়না ধরে, না পাওয়ার যন্তনা নিয়ে, যেভাবে আমার ছোট্ট মেয়েটি কাঁদে দীর্ঘ সময় অব্ধি। 
   অথচ শ্রাবণের আকাশের,  এই ভাবে কাঁদার কোন প্রশ্নই আসে না! 
প্রকৃতি পরম মমতায় শরৎ কে উজাড় করে সৌন্দর্য দিয়েছে। 
 " দু-চালা কুঁড়ে ঘর দেখেছো কখনো"?
একবার আমাদের গ্রামের থেকে বেশ দূরে এক গ্রামে,  মায়ের নিকট বর্তী এক আত্মীয় ' র মৃত্যু লাশ দেখতে গেছিলাম। লাশ বলতে মনে পড়ে গেলো স্বজন হারা "মানুষের আর্তনাদ "।  আমি মানুষের আর্তনাদকে সহ্য করতে পারি না, বুকের মাঝে পাথর সম ব্যথা অনুভূতি হয়।  তাই মৃত্য মানুষের লাশ দেখতে যাই না। তো' সে দিন মা' খালাদের স্বজনহারা আর্তনাদ আমি সহ্য না করতে পেরে, ছুটতে ছুটতে বহু দূর চলে গেছিলাম।  চোখের সামনে এক দু-চালা মাটি ও খড়ের বাড়ি দেখলাম।  অন্য কোন একদিন সে বাড়ি নিয়ে লিখবো।  আজ আর সেদিকে না যাই, শুধু সেদিনের সে রূপ প্রকাশ করতে হলে আমার আজ রাত শেষ হবে।  এতো টুকু'ই বলবো,  গ্রামের এক জন কৃষকের বাড়ি ফুল গাছের বাগান আর নৈপূনতার যেমন কোন কমতি থাকে না।  যতটা সুন্দর তোমাদের শহরের মানুষের কল্পনাতীত ততটা সুন্দর করে,  প্রকৃতি প্রলেপ লেপ্টে দেয় শরৎ এর রূপে। 
   তবু ও দেখো স্বজন হারা হয়ে আর্তনাদে দুক'ড়ে দুক'ড়ে কাঁদছে।  কি'যে তার শূন্য,  কি'তার বিষন্নতা  কেউ জানতে'ও চাই না।  সকলে শরৎ এর রূপ দেখে,  কাশফুলের ছোঁয়া পেতে উম্মূখ হয়ে ওঠে। 

  অথচ,  শরৎ এর আকাশ কে কেউ কোন দিন প্রশ্ন করে না,  কি ব্যথার বেদনে সে বিভোর?  

আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয়,  আমার মত'ই আকাশের কোন প্রতারক তুমি ছিলো কি'না?  

    যাই হোক তুমি কেমন আছো? নিজের স্বার্থের জন্য যে সব উজাড় করে বিলিয়ে দিতে জানে,  তার তো আর খারাপ থাকার প্রশ্ন' ই আসে না।  তুমি নিশ্চয় ভালো আছো? 
কি ভাবছো?  তুমি ভালো থাকো এটাই আমি চাই! 
প্রশ্ন'ই আসে না!  আমি অত'টা উদার নাই।  
যে আমাকের গ্রীষ্মের দাবানলে দহন করবে,  তার আকাশে বর্ষার মেঘ হয়ে বর্ষিত হব!  বরং চৈত্রের কঠিন রবিরাজের অগ্নিপথে বাতাস হয়ে প্রবেশ করবো।  যেমন টা কামাড় লোহা কে কয়লা'র উপর রেখে অক্সিজেনের অবাদ প্রবেশের জন্য আগুনকে জ্বালতে সারাদিন শ্রম দেয়। 
আজ অনেক অভিমান অভিযোগ মনের অভ্যন্তরে ধাক্কা দিচ্ছে,  কলমে আর কাগজে অশ্রু হয়ে জমা হচ্ছে।  গত চারটি বছর কখনো ভুল হয়'নি, কিংবা শত প্রচেষ্টা করে ও তুমি আটকে রাখতে পাড়নি আমাকে সর্ব প্রথম অভিনন্দন জানতে তোমার জম্মদিনের।  
  অথচ এই প্রথম তোমার জম্মদিন আসছে, (আগামী কার্তিকে)  অথচ আমার কোন পরিকল্পনা নেই।  
অবশ্য তুমি আমার কোন কিছু'তে নেই।  আছো অভিযোগ আর অভিশাপের খাতাতে।  তোমার প্রতি আমার অভিযোগ গুলো মিথ্যা ছিলো না কখনো,  নিজেকে পরিবর্তের চেয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছো।  এখনো তাই করছো৷  
তোমাকে লিখতে চাইলে যেনো লিখে যেতেই ইচ্ছে হয়।  যদি ' ও জানি তুমিবকোন দিন পড়বে না।  আর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কখনো কোন ভাজ হয়ে থাকা পৃষ্ঠা 'ই পেয়ে যাও।  নাম পরিচয় হীন চিঠি,  তবে সে'দিন ও তোমার বুঝতে  ভুল হবে না এই চিঠি র মালিক যে তুমি'ই,  এক কথা মনে করতে।  
 কারন বিশ্বের একমাত্র আমি' ই যে কিনা, তার প্রিয় মানুষের আঁখি পাতে শরৎ'র আকাশের ন্যায় অবিরাম জলধারা বয়ে যেতে দেখতে চাই।  আমি জানি সেদিন এই চিঠি পড়ে তুমি বিরক্ত বোধ করবে।  তার চেয়ে বেশি বিরক্ত বোধ করবে ' জ্যোৎস্নার আড়ালে যে বিষ ধারণ করে চাঁদ' শিরোনামের গল্প পড়লে।  তোমার চরিত্র গুলো বাস্তব তুমির সাথে মিলিয়ে পাঠক সমাজে যতটুকু নোংরামি প্রকাশ সম্ভাব ততটুকু প্রকাশ করবো।  হয়তো সম্পূর্ণ তোমাকে প্রকাশ করলে পাঠক সমাজে আমাকে চটি লিখক নামে আখ্যায়িত করা হতে পারে।  কিংবা অশ্লীল বই লিখার অপরাধে জেল জরিমানা হতে পারে।  সে ভয়ে তোমাকে প্রকাশ করতে পারেনি।  যদি প্রকাশ করা সম্ভাব হতো, তবে তোমাকে জম্ম দেওয়ার অপরাধ বোধে এই পৃথিবী, অন্য কোন গ্রহের সাথে স্বংঘর্ষিত হয়ে ধ্বংস  হবার চেষ্টা করতো। নিজের সম্পর্কে এতো নষ্ট সত্য কেউ সহ্য করতে পারবে না কোন দিন।  এমন 'কি তুমিও না। 
যতই লিখবো না ভাবতেছি তত'ই,  তোমাকে নিজের মাঝে আবিষ্কার করছি।  তাই ইচ্ছের বুকে মাটি চাপা দিয়ে শেষ করছি। 

 ভালো থাকার প্রর্থনা তোমাকে অনেকে করে, আমি করবো না। তুমি বরং কয়লা'র অগ্নিতাপে লোহা'র মত অগ্নিদগ্ধ হ'ও প্রতিনিয়ত। 

                                             ইতি
                                   তোমার অভিশাপ
পূণ্যের খাতা শূন্য মোর
০৩/১১/২০১৪

নেশার আলোতে নেশা গ্রস্থ সকলে 
দু'ই একজন বড্ড বে-লাইনের ।
ওরা নেশা করে না , কারন ওরা খারাপ !
এখানে আজ কড়জোরে দু হাত-
একত্র ,বসে আছে দেবতা সব ।
অসূরেরা করছে শাসন, স্বর্গলোক ।
শকুনের আর্তনাদ এখানে বড় সুমধুর 
কোকিলের গান হয়ে উঠেছে তিক্ত। 
সুরে সুরেলা মেয়েরা এখানে বড় নিকৃষ্ট ।
মাঝ রাতের নিষিদ্ধ নারীর শীৎকার এখানে ,
বড়ই আকৃষ্ট ।
ভূমিষ্ট হয়েছে যে শিশুটি, একটু আগে
সে ও জানে 
এখানে জম্ম নিতে হলে কর দিতে হয় । 
কারন , দেবতা 
এখানে অসূরের দাস । 
চোখের জলের মূল্য ,
 দিতে জানে না কেউ ।
অর্থ লোভ লালসা ঘিরে আছে এখানে ।
গরীবের বুকে পারা দিয়ে , 
ধনীরা হয় সমাজ শ্রেষ্ট ।
পথ ভুলে চলে এসেছি প্রভু 
অচিন পথে 
ক্ষম করো তুমি, মোরে । 
কি দেখার কথা ছিল ? 
আজ কি দেখি !
সৃষ্টি নজর দারী করতে চায় স্রষ্টার। 
আমাকে আলোর পথে অভিসারী কর তুমি । 
তব নহে মরনের বার্তা দাও প্রেরন করে ।
এই পাপিষ্ঠ শহরে ,আমি ও যে -
নষ্ট হয়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে । 
শেষ বিচারের হিসাবের খাতা শূন্য
মোর , পূর্ন হবে কি করে পূণ্যতে ।
এই পাপিষ্ঠ নগরীতে ,
মানুষ -সেজে দেবতা । 
তোমাকে করিতে চায় শাসন !
এক আত্মার অলিখিত কথা। 

সূর্য অজানাতে ডুব দেওয়ার পর। যেমন, প্রকৃতি রক্তিম মেঘে নিজেকে আলোকিত করতে চেয়ে ব্যার্থ  হয়।  রাতের অন্ধকারের চাদরে ঢেকে যায়। তেমনি আমার চারিপাশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে।  পায়ের নিচ হতে ক্রমশ, যন্ত্রণা টা খুব ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠছে।  ঝাপসা হয়ে উঠচ্ছে আমার চারপাশ,  কান্না আর প্রার্থনা ভেসে আসছে। আতর  সুগন্ধি র তীব্র ঘ্রাণ, অথচ এক সময় এতো তীব্র সুগন্ধি ব্যবহার করে, আমার পাশে আসতো না।  শরীর টা খুব ব্যথা,  কেউ ছুঁয়ে দিলে চিৎকার করতে ইচ্ছে হচ্ছে।  বয়স হয়েছে  লোক লজ্জার ভয়ে চিৎকার করতে পারছি না।  
  ভীষণ পিপাসা পেয়েছে,  কলিজা 'টা যেন শত শত বছর জলের সংস্পর্শে আসে নি।  সবাই ব্যস্ত!  আমাকে এক গ্লাস পানি দিয়ে সাহায্য করার মত কেউ এখানে নেই।  অথচ এরা'ই নাকি আমার আপন!  
 কি ভয়ংকর এক স্বপ্ন দেখলাম মাত্র,  চোখের সামনে থেকে কোন মতে দৃশ্য টা দূরে সরে যাচ্ছে না। 

 হঠাৎ বাড়িতে এতো মানুষের আনাগোনা, সবার মুখে আমার নাম।  এক টু অবাক হলাম, এরা কি পাগল হয়ে গেছে?  হাসি পাচ্ছিল, তাদের কর্মকান্ড দেখে৷ 
 কিন্তু শত চেষ্টা করেও হাসতে পারেনি,  খুব ব্যথা শরীরে।  প্রতিটি শিরা উপশিরাতে। একটু উষ্ণ পানিতে গোসল দিতে পারলে,  হয়তো ভালো লাগতো।  এ 'কি এ যে মেঘ না চাইতে বৃষ্টি!  
 কয়য়েক জন কে দেখলাম উষ্ণ পানি নিয়ে আসছে এই দিকে।  
 আমি ক্লান্ত জেনে হয়তো। অবাক হলাম তখন।  যখন, আমার শরীরে মানুষ গুলো উষ্ণ পানি ঢেলেছে।  অথচ আমার ক্লান্তি দূর হচ্ছে না।  আমার ক্লান্তি যেনো বেড়েই চলেছে।  আর মানুষ গুলো খুব যত্ন করে যখন আমার শরীরে হাত দিচ্ছে। যেন পাখির পালকের ছোঁয়া, তবুও তীব্র ব্যথায় কাতর হয়ে আমি চিৎকার করছি। কেউ যেন কর্ণপাত করছে না।  আতর আর কপূরে ছেয়ে গেছে আমার আদরে বেড়ে ওঠা শরীর।  এর পর আমি আর ও বিমোহিত যখন দেখি আমার প্রিয় জনেরা আমাকে কাঁধে করে কোথায় যেনো নিয়ে যাচ্ছে।  আমার প্রিয় ঘর বাড়ি তিল তিল করে জমিয়ে রাখা স্মৃতি!  আমার ঘরে আমার প্রবেশ নিষেধ করা হচ্ছে।  
 অন্ধকার মাটির নিচে আমার দেহ কে রেখে সকলে চলে যাচ্ছে,  অথচ একদিন ও বাড়ির বাহিরে রাত বেশি হলে এরা চিন্তিত হতো।  আজ অনায়াসে রেখে চলে যাচ্ছে মানুষ গুলো।  আমি কি করে যাই, আমার শরীর রেখে? যে শরীরে বাসা বেধে কাটিয়েছি এতো গুলো বছর।  সে শরীর রেখে চলে যাবো কি করে।  আমি র'য়ে যাই অন্ধকার কবরে।  আলো উঠলে ফিরে যাবো। 
 আলো তো আর উঠলো না!  সূর্য এর দেখাও মিলল না।  আজ অনেক দিন হয়ে গেছে কেউ দেখতে এলোনা। 
 এখন আর শরীরের মায়া নেই,  মাটিতে বিলিন হয়ে গেছে।  অন্ধকারে যত্ন করার সময় হয়নি।  ছোট্ট জীবনের ভুল ভ্রান্তি হিসাবে খুব ব্যস্ত ছিলাম।  ইশ্বর দূত প্রেরণ করেছে।  এক দিনের ছুটি মিলেছে।  তাই নিজের ঘর বাড়ি আর প্রিয় জন দের দেখতে এসেছি।  সবাই দেখলাম দিব্যি আছে,  আমি নেই আমার ঘরটা আজ অন্যের দখলে।  বেশ পরিপাটি।   অথচ এলো মেলো আর অগোছালো থাকতো,  এই ঘরটি এক সময়।  দরজা টা দেখি তালা দেওয়া।  চাবি টা যে কোথায় রেখেছি?  ফিরে যাচ্ছি,  চাবি খুজতে।  সবার সাথে দেখা করলাম কুশল জানতে চেয়ে প্রতি উত্তর মিলল না।  কেউ আমার কথার জবাব দিলো না।  সম্ভাবত আমার মুখচ্ছবি ভুলে গেছে সবাই।  
 এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে কথা। 
ওই দিকে বাঁশি তে ফুঁ দিচ্ছে দূত।  ফিরে যেতে হবে সেই অন্ধকার নিবাসে।  
 সে দিন যাকে খারাপ স্বপ্ন ভেবেছিলাম, সে তো স্বপ্ন ছিলো না।  ছিলো আলোকিত পৃথিবী হতে শেষ যাত্রা।
ফিরে যেতে আসা 
০৩/১১/১৫

আমাকে আর কি ধ্বংস করবে তুমি? 
 মহাকালের ডাকে
সে কবে নিজেকে বিসর্জন করেছি। 
আমাকে আর কিসের দহণে ভৎস করবে? 
আমি তো সেই কবে প্রেমের চিতা জেলে,
 সে অনলে ভৎস হয়েছি । 
 আমার নয়ন জলে পদ্মার বুকে কাঁপন ওঠে
 যমুনার অশান্ত ঢেউয়ের আঘাত 
 চপঘাত সৃষ্টি করে, কাঁদবে?  
 কি করে ?
 মরুর বুকে প্রবাহমান সাইমুন লন্ডভন্ড করে ;
এই বুকে এসে প্রশান্তির ছায়াতলে নতজানু হয়।
কিসের ভয় দেখাবে তুমি ?
হারাতে হারাতে কবে নিজেকে, হারিয়ে ফেলেছি -
 এখন কোন কিছু হারানোর ভয়ে 
 বীভৎস স্বপ্ন দেখে,
 জেগে উঠি না ।
 এমন কি প্রিয় হারানোর ভয় 
 আমাকে ঘিরে ধরে না ।
 আমি জানি -
যে কাছে আসে , সে ফিরে যেতেই আসে ।

Wednesday, October 28, 2020

প্রিয় বন্ধু, 
গোলাকার এই পৃথিবীটা যতটা না বড় তার চেয়ে অধিক ছোট। আর সে কারণে তোমার আমার দেখা হয়ে যাওয়াটা খুব অলৌকিক ভেবো না।  এখন যতটা সম্ভব পরিচিত মুখ এড়িয়ে চলি।  তার যথেষ্ট কারণ আছে।  অন্য কোন একদিন বলবো না হয়।  কোথায় আছি আর কেমন আছি?  এই প্রশ্নের উত্তর, না জানা থাক।  মধ্যরাতের আকাশের দিকে চেয়ে আছি।  অভিযোগের খাতাতে, আমার নামে প্রতিনিয়ত অভিযোগ জমা হচ্ছে।  আমিও বড় একগুঁয়ে আচরণের নিজেকে তৈরি করে নিয়েছি । তাই ওই খাতা খুলে দেখা হয় না, কে কি অভিযোগ করলো। 
 আমার নামে সবচেয়ে বড় অভিযোগ উঠেছিল যে দিন,  তা আর কিছু না।  আমি নাকি বড় সেকালের। আমার মাঝে আধুনিকতা নেই।  নেই ভদ্রতা, নেই কোন গুণাগুণ।  আমি নাকি ভালোবাসার মর্ম জানিনা। 
সব মাথা পেতে নিয়েছিলাম, একটা অভিযোগ মাথা পেতে মেনে নিতে পারেনি। 
কারণ ভালোবাসতে জানি আমি,  
উজাড় করে ভালোবাসতে শিখেছি।  কারণ ভালোবাসতে শিখিয়েছিলো আমার প্রকৃতি, আর প্রকৃতি কখনো ভালোবাসার মাঝে খাদ রাখতো না।  
বন্ধু,  তুমি হয়তো জানো না।  সে কেনো এসেছিলো আমার বাহুডোরে!  তার খুব ইচ্ছে ছিলো তার রূপকে কাব্যের স্বর্গে লিখে দিয়ে যাক কেউ।  তার শরীর কে বর্ণনা করুক কেউ।  সে লোভে আমাকে গ্রাস করেছিল।  তখন কি আর এতো ভেবেছিলাম!  তখন আমি মেঘের স্রোতে প্রেমের তরী ভাসিয়ে- ছিলাম।  একে একে আমিও লিখে চললাম, তার বাহ্যিক সৌন্দর্য।  ভিতরে ভিতরে এক ব্যভিচারী বসত করতো জানা ছিলো না।  তোমাদের আধুনিকতার কাছে ব্যভিচার শব্দটা অপ্রয়োজনীয় । কিন্তু যাকে তুমি ভালোবাসো সে যে গোপনে গোপনে অবাধ আদিম যৌণ খেলাতে মত্ত্ব জানার পর কি তুমি নীরব থাকতে পারবে?  যাকে তুমি দেবীর আসনে বসিয়েছিলে, তার পদ তলে কি আর পূজার ফুল প্রদান করতে পারবে?  
হয়তো ভাবছো আমি বিলাপ বকে যাচ্ছি,  কিন্তু এটাই ঘটেছে।  
  তার চাহিদা ছিলো সমাজের ঐসব লোক, যাদের মাধ্যমে সে রাজনৈতিক, আইন বিভিন্ন কাজে নিজের স্বার্থ কে হাছিল করবে।  
যে পাপ আমাকে স্পর্শ করেনি কোনদিন,  সে পাপে আমাকে ডেকেছিল। রেখে ছিলো পরম আদরের শিমুল তুলার কোমলতাতে।  নিজের চাহিদা পূরণ শেষে অবহেলা তে ছুড়ে দিলো।  একে একে পনের টা দিন আমার সমগ্র জীবনের ইতিহাস বদলে দিলো।  খুব গোপন কিছু কথা আছে,  পরে এক সময় লিখবো। 
শুনেছি এখন শহরে আছে সে, তাই রাজধানীতে আর যাওয়ার ইচ্ছে নেই।  তার এখন অনেক ক্ষমতা,  তার অবশ্য না।  তার নোংরা শরীরের ক্ষমতা।  কোন এক পুলিশ অফিসার তার শয্যা সঙ্গী, যদি ভাই বলে পরিচয় দেয়।  আমি তো জানি কে ভাই আর কে নাগর। 
যাক সেসব কথা,  বড় নোংরা হয়ে যাচ্ছি।  আগের মত প্রেম ময় ভাষা আসে না।  এখন লিখতে গেলে অশ্লীল ভাষা আসে, তাই লিখালিখি বন্ধ করে দিয়েছি।  
আজ আর লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না,  রাত প্রায় শেষ। সে হয়তো আবেগী হয়ে,  নগ্ন হয়ে কার ও বাহুডোরে আহ্লাদী কন্ঠে কামনা তে ধ্বংস হচ্ছে। আর আমি! 
থাক, আমার কথা নাই বা বলি। 
পৃথিবীর বয়স শেষ হয়ে আসছে আর আমার ও। 
আমার সকল অভিযোগ বিধাতার কাছে, শেষ বিচারের দিন।  আমার নরক বাসে ডেকে নিবো তারে,  আমার একমাত্র পাপের দেবী যে।  তাকে আমার দাসী করে রাখবো ওই নরকে। 

যদি কখনও দেখা পা-ও তারে,  চিনে নিও চিবুকের নিচে ছোট্ট তিল দেখে। যে তিলে আমার প্রেম সদা হাসে।  

                                        ইতি
                                       নীলয়

Thursday, October 8, 2020

ক্রোধ 

হে প্রিয় রাষ্ট্র, অজস্র সেচ্ছাদাসী আছে।  
যে বা যাহারা ক্ষমতার লোভে, 
দেহ ত্যাগে আনন্দ উপভোগ করে।  
সেসব রক্ষিতা থাকতে, কেন? 
অসহায় নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পরচ্ছে।  
তোমার দাঁতাল শুয়োর গুলো।  

কেনো বস্ত্রহীন করছে মা বোন কে? 

হে রাষ্ট্র, তুমি শুয়োর পালন করো।  
অথচ কচু খেত রাখো না? 
 আমি বিশ্বাস করি না।  
আমি দল জানি না, জাতি জানি না 
আমি জানি ধর্ষক এক কলঙ্কের নাম। 
আমি জানি, ধর্ষকের আশ্রয় দাতারা 
এক অভিশাপের নাম। 

প্রিয় রাষ্ট্র, আমি ফেলিনিকে ভুলেছি 
তিস্তার জল পাবো পাবো করেও হারিয়েছি। 
তবুও নিশ্চুপ ছিলাম, শত্রুর দোসর 
মাথার ওপর বসে আছে জানি। 

প্রিয় রাষ্ট্র,  তুমি তনু কে দেখেছিলে? 
আ'হা বীভৎস সে লাশ। 
আমি তো তোমার পতাকায় দেখি ধর্ষিতার রক্ত। 
প্রিয় রাষ্ট্র, আমরা বিশ্ব্জিৎ কে ভুলে গেছি। 
আবরার কে ভুলে গেছি। 

           কোন, আবরার যেনো? 
ওই যে?  ভারতের গোলামীর বিরুদ্ধে 
নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার লড়াইয়ে 
                                    প্রথম শহীদ। 
পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো! 

যারা হত্যা করেছিলো,
 তারা আর কেউ না 
এই দেশের বুকে বেড়ে ওঠা
ভারতের জারজ সন্তান। 

প্রিয় রাষ্ট্র সম্রাট কে ভুলে গেছি আমরা, 
পাপিয়া ও শাহেদ, সাবরিনা কেউ। 
যারা তোমাকে ধর্ষণ করেছে, বিশ্বের কাছে। 

ভুলে গেছি, পিল খানা। 
ভুলে গেছি আমি মেজর সিনহা। 
আর কতো?  ভুলে যাবো বলো 
তোমার লেলিয়ে দেওয়া
দাঁতাল শুয়োর দেখো -
কেমন ছুটছে অসভ্য হয়ে।  

আমার একটা সংসার আছে 
আমাদের একটা সংসার আছে 
সে সংসারে, মা, বোন, বউ, মেয়ে আছে। 

প্রিয় রাষ্ট্র, সময় গড়িয়ে যায়। 
তোমার দাঁতাল শুয়োর কে ঘর চিনাও, 
প্রয়োজনে নিজের খেতের কচু খাওয়াও 
মনে রেখ, আমি শুধু আমি নয় 
আমরা শুধু আমরা নয় 
আমি ও আমরা তে মিশে আছে 
দশ কিংবা বার কোটি মানুষ,
আর, বাকী'টা 
তোমার লেলিয়ে দেওয়া, 
 দাঁতাল শুয়োরের দল।

Wednesday, September 30, 2020

তুই ফিরে যা

অবশেষে তুই আমার আঙিনাতে পা রাখলি ।
কুয়াশার চাদরে লজ্জা কে ঢেকে রেখেছে প্রকৃতি ।
আমার দু ফোটা শুকিয়ে যাওয়া অশ্রু ,যার দাগ এখন ও পূর্ন যৌবণে ভরপুর।
অবশেষে তোর ফেরার সময় হলো ?
 নিকটিনে আসক্ত ফুসফুস এখন চুপসে গেছে ।
ঘুম জাগা রাত এখন ও সাক্ষী আছে , বোতল বন্দী ভালোবাসা এখন আমাকে ঘিরে রেখেছে ।
আমি ফিরে পাবো বলেতো তোকে মুক্ত করে দেয়নি ! 
তোর সুখের খোঁজে তুই হারিয়ে গেছিস । 
তবে কেনো এই ফিরে আসা । 
এখন তো কিছুই দেবার নেই আমার । 
আমি আমাকে বিক্রিয়ে দিয়েছি ,
অমানুষ নামে কোন এক প্রতিচ্ছবির কাছে ।
খুব সল্প মূল্যে , ঐখান থেকে তোকে দেওয়ার কিছুই অবশিষ্ট নেই । অভিশাপ এসে আমাকে আগলে রেখেছে । 
আমি এখন অভিশাপের প্রেমিক । সেই ভালো তুই ফিরে যা !
আর এগিয়ে আসিস না -
আমার তো আর কিছুই অবশিষ্ট নেই ,
যা বিক্রিয়ে নতুন কোন নেশায় আচ্ছন্ন হবো ।
 ভোরের পাখি ডাকে , আলো ছরিয়ে সূর্য জেগে ওঠার আগেই তুই এই কুয়াশার চাদর মেখে দূরে চলে যা । তা না হলে দুঃখরা এসে জমাট বাধবে 
আমার নামে কলঙ্ক দিবে । 
আমি আর সুখী হতে চাই না , কুয়াশা থাকতে থাকতে তুই ফিরে যা

Thursday, September 17, 2020

বসুধা 

বসুধা এইবার হেমন্তে নবান্নের উৎসবে তুমি এসো ,
খোলা আকাশের নিচে , চাষ করা কোন খেতে 
কাঁচা মাটির গন্ধ শরীরে মেখে নিবো দু-জনে ।
তুমি নীল শাড়ীটা পড়ে এসো , আমি সাদা পোষাকে ।
প্রেমিক হৃদয়ে ,কবির নেশাগ্রস্থ আঁখি দ্বয়ে 
দীঘির জলে ,ঢেউ খেলা নদীর স্রোতে  , হেমেন্তের 
কুয়াশাচ্ছন্ন শূন্যের পথ বেয়ে পূর্ণ চন্দ্রের জ্যোৎস্না
আমাদের আলিঙ্গনের সাক্ষী হবে ।
পাপ ভুলে যাও , ভুলে যাও পুণ্য, এসো -
ওয়াইনের খোলা  বোতলে চুমুক দিই ।
মিথ্যা শীৎকারে আর না , এসো দু-জন 
চোখের প্রেমে পড়ি , আলিঙ্গনের প্রেমে পড়ি ।
বিবেকের দরজাতে তালা লাগিয়ে, তোমার বুকে মাথা রেখে 
আমি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিতে চাই  ।
কামনাকে দূরে ছুড়ে দিয়ে শীতল নদীর মতো গভীর
ওই চক্রকেন্দে ভালোবাসা প্রদান করতে চাই ।
বসুধা এসো প্রহর বয়ে যাচ্ছে , অধর শুষ্ক 
আরও কাছে আসো , অধরের আলিঙ্গনে বিলম্ব করতে নেই ।
মাথার উপর শূন্য আকাশ , নক্ষত্র রাজিরা সাজিয়েছে বাসর
এইতো সময় শরীরের চাষাবাদের , বসুধা কামনা না 
উত্তম চাষাবাদের যোগ্য চাষী করে নাও আমাকে ।
মনে রেখো মিথ্যা শীৎকার না , আমরা এসেছি পূনাঙ্গ ভালোবাসা 
ছড়িয়ে দিতে , আমরা এসেছি ভালবাসতে ,দু-জন এক হতে ।
সঙ্গম না বরং তার ও গভীর মিলন আমাদের চাওয়া ।
বসুধা খোলা আছে ওয়াইনের ছিপি , চুমুক দাও 
ঝাপসা হোক এই ধরিত্রী , জ্যোৎস্নাই ভেসে যাক 
একূল ওকূল আমরা জ্যোৎস্নাই মিশে যাবো ।
নগ্নতা না বরং পোশাকে আবৃত্ত করিব আমাদের ভালোবাসাকে ,
কামনা তে না বরং আকর্ষণে বৃদ্ধি পেতে থাকবে আমাদের ভালোবাসা ।

Tuesday, September 8, 2020

******আমি ইশ্বর আমিই শয়তান*******

আমার হৃদয় ভূমিতে লালিত হয়, একটি বৃক্ষ 
সে বৃক্ষে জম্ম হয়, একটি ফল
সে ফলের নাম দিয়েছি ভালোবাসা।

আমার অন্তর আত্মার গহীনে, ক্ষত হয়
অগ্নিগিরির সৃষ্টি হয়, মাথা উচু করে পর্বত
পর্বত বেয়ে নেমে আসে ঝর্ণা, সৃষ্টি হয় আর এক মহাসাগর,
যার নাম দিয়েছি বেদনা।

তুমি আমাকে কি নামে ডাকবে?
আমার বাম চোক্ষে চেয়ে দেখো, ভালোবাসার সীমাহীন আকাশ।
আমার ডান চোক্ষে চেয়ে দেখো, অভিশাপের কালো মেঘ জমা হয়ে আছে।
বজ্রের ন্যায় চিৎকার করে ওঠে  কন্ঠনালী,
ভালোবাসার মধুময় সুরে দেবী রে আলিঙ্গন করে সে।
তুমি কি নাম দিবে আমায়।

রাজ পথে, মিছিলে শ্লোগানে, প্রতিবাদের সভাতে আমাকে দেখেছো,
আবার-
দেশপ্রেম কিংবা দেশদ্রোহী,  সকল স্থানে সকল 
 মুখোশে দেখেছো তুমি আমাকেই।

ইশ্বরের সাথে বন্ধুত্ব আমার,  শয়তান এর সাথে দোস্তি।
তুমি আমাকে কি নামে ডাকবে -
 
আমার হৃদয় ভূমিতে একটি বৃক্ষ লালিত হয়,
সে বৃক্ষে দুইটি ফলের সৃষ্টি হয়, একটি মাওয়া অন্য টি গন্ধক। 

তুমি কিংবা তোমরা, কি নামে ডাকবে আমায়।

Saturday, August 22, 2020

<"""""""""স্বপ্ন""""""""">

কত যে স্বপছিল তোকে ঘিরে , 
কত রাত জেগে চেয়ে থেকেছি -
তোর অপলক হাসিটির দিকে ।
 কত স্বপ্ন ছিল ,তোকে ঘিরে 
মাছ রাঙা যেমন ছোঁ মেরে মাছ চুরি করে ! 
আমিও  চুরি করে আনবো  তোকে, তেমন করে । 
পানকৌড়ি যেমন ,ডুব সাঁতারে অষ্টপ্রহর ছুটে জলে ।
 আমি খেলবো তেমন , তোর মনের নদীতে । 
ভীষণ খরায় আমি কালো মেঘ হবো ,  
তোর পিপাসিত কায়ায় ,এক আকাশ জল হবো । 
তাল পাতার ছাউনিতে, টুপুর টুপুর বৃষ্টির ছন্দ হবো । 
ঝিনুক হয়ে বুকের মাঝে তোকে আগলে রাখবো । 
অক্ট্রোপাসের মত আষ্টেপিষ্টে হৃদয়ের গহীনে বাঁধবো । 
তোর অলস দেহের ক্লান্তি মুছে ,
দুপুরের স্লানে আমি দীঘির জল হবো ।
 পরশ মাখা বিকালে ,আমি তোর কফির মগ হবো । 
ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়াতে আমি শিহরিত হবো । 
সাঝের বেলাতে ,আমি তোর খোঁপায় ঘোমটা হবো ।
 রাতের গহীনে আমি তোর স্বপ্ন হবো । 
কত স্বপ্ন ছিলো তোকে ঘিরে , 
আজ স্বপ্নরা সব কোন সে দূরে -
 শূন্য করে কোথায় হারালে ?
<""""শরত্‍,তুমি আর কবি"""">


তুমি শরৎ এর মত স্নীগ্ধ , শিউলি ফোঁটা সন্ধ্যা ।
তুমি শরৎ এর মত পবিত্র , কাশ ফুলের স্পর্শ ।
যখন শিশিরের শব্দের মত টুপটাপ শিউলি ঝড়বে ,
মনের ডায়েরীতে লিখে রেখো,  শরৎ এর কথা ।
আকাশে সাদা মেঘের উড়োউড়ি ,
মৃদু হাওয়ায়  কাশ বনে লাগে ঢেউ ।
আমি তখন তোমার  হৃদয় সাগরে , 
পাল তুলে হারিয়ে যেতে চাই ।
শরত্‍ আসে শুভ্রতার প্রতীক হয়ে ,
তেমন তুমিও কবি জীবণে ।
নীল আকাশে  সাদা মেঘের ছুটোছুটি ,
ঐ আকাশের কোন এক  নক্ষত্র কন্যা তুমি !
উড়ে উড়ে যেতে চাও ,
দূরগামী পেঁজা তুলোর মেঘের ভেলাতে !
কোন এক শরতে ,নদীর জলে কাশ ফুলের মেলাতে। 
মেঘ রথে চড়ে ,এসেছিলে বেড়াতে ।
আর ফিরে যাওয়া হয়নি !
নির্জন মাঠে ,
নিঃশব্দে বেড়ে ওঠে নিকট ভবিষ্যৎ  
তুমি তেমন এই কোলাহোলে উঠেছো বেড়ে ।
শাপলা -শালুক -শিউলি ফোঁটাতে ,
 শরত্‍ এসেছে বড় মায়াতে ।
কোন এক শরতের নিশুতি রাতে কবির চোখে। 
তুমি রূপের ঝলক এঁকেছিলে , প্রশান্তির  ছায়াতে ।
বর্ষার উত্তাল জোয়ারে, 
যে নদী ছুটে অবিরাম অক্লান্তে ।
যে বৃক্ষ রৌদের উপ্তাপে ,জ্বলে  চৈত্রের খরাতে ।
সেই বৃক্ষ আবার ভেজে বর্ষার জলেতে ।
স্নিগ্ধ হয়েছে আজ , চারিদিক নিস্তব্ধতা ,শরত্‍ এর আগমনে ।
কবির অশান্ত হৃদয়ে , শরতের দূত হয়ে -
কবি নয়নে তুমি হলে গো - শরতের ভরা পূর্ণিমা ,
জম্ম-জম্মান্তরের শিউলি ফোঁটা সন্ধ্যা ।
তুমি শরতের মত শান্ত মায়াময় ।

Saturday, August 8, 2020

<"""""কেমন আছো""""">

আবার এই শহরে , আমার অবৈধ্য পদচরণ ।
এই শহরের দেওয়ালে ,দেওয়ালে -
পোষ্টার ছাপা হয়েছে ,রঙিন কালিতে  ।
দ্বারে দ্বারে প্রহরী আছে নিরপত্তায় ।
এই শহরে আমার প্রবেশ অধিকারে নিষেধাজ্ঞা ।
অনেক পথ ঘুরে , শত শত জোড়া চোখ দিয়ে ফাঁকি -
আমি ফিরে এসেছি ।
শুধুই তোমাকে , দেখবো বলে ।
কেমন আছো তুমি ?
কত কাল দেখি নাই ও দু-নয়ন ।
কত কাল একই ছন্দে ,হয়নি দেওয়া পথ পারি ।
কত কাল ও নয়নের জল , ছুয়ে দেয়নি-
এ দুই হাত !
কত কাল দেখি না তোমায় ।
আমি বেদনা - বিরহে নিজেকে করেছি অঙ্গার ।
আমি কাটা ভরা পথ হেটেছি ভর -দুপুর ।
তুমি সুখে থাকবে বলে ,ছেরেছিলাম এই শহর ।
কত কাল চেয়ে দেখিনা , যৌবণ পূর্ন চাঁদ ।
তাঁরা গুনে গুনে এখন হেঁসে হইনা লুটোপুটি ।
 হয় না লেখা কোন চিঠি , এখন আর সন্ধ্যা তাঁরার কাছে !
সুখ তাঁরাটাও কাঁদে , গোপনে গোপনে ।
বহু পথ ঘুরে , শত শত জোড়া চোখ ফাঁকি দিয়ে -
আবার এসেছি এই শহরে ,
বাতাসে -বাতাসে তোমার চুলের ঘ্রাণ ।
কাননে ফোঁটা , গোলাপে মিশে আছে 
তোমার ওষ্ঠের আহ্ববান ।
রক্ত জবা ,সে যেন ফুল নই !
ও যেন তোমার পায়ের শোভা ।
দিঘীর জলে ছলাত্‍ ছলাত্‍ শব্দ-
সে যেন তোমার পদচলনের ছন্দ ।
ঔষ্ত বৃক্ষের রিনিঝিনি রিনিঝিনি পাতার নৃত্য
সে যেন তোমার নূপুরের ছন্দে মত্ত ।
তবুও কি যেন নেই , আহাকার বুক জুড়ে-
তুমি কেমন আছো ,কোথায় আছো ?
আজ এই পবিত্র স্নীগ্ধ রাত্রীর -
শেষ প্রহর কে স্বাক্ষী রেখে ,
বড্ড জানতে ইচ্ছা হয় !
তুমি ভালো আছো তো ?

Wednesday, August 5, 2020

<"""""ফিরে আসবো""""">

আমি এই শহরের বুকে ,
নিষিদ্ধ চাঁদের জ্যোত্‍স্নাকে চিবিয়ে খাবো ।
অহংকারে মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকা    
                                          অট্টলিকাতে। 
 আমি একশো একটা চাঁদের নগ্ন নৃত্য দেখবো । 
আমি তোমাকে ভয় করিনা , 
কিংবা তোমাদের কাউকে  ।
আমার শরীরে প্রবাহমান প্রতি ফোটা রক্ত যেন   
                               বিদ্রোহের বিষাদ গঢ়েছে । এইতো, এখনি -ইচ্ছা হলে ,
আমি  হতে পারি সাইক্লোন কিংবা ধ্বংস। 
ইচ্ছা যদি হয়, 
সূর্যটা'কে পকেটে রেখেই, হাটতে পারি ।
আমি একশো একটা চাঁদের নগ্ন নৃত্য দেখবো !
অতপর ফিরে যাবো আপন ঠিকানায় ।
মৃত্যুর পরে - 
বার বার ফিরে আসবো , এই শহরে !
যেখানে মানুষকে পন্য করে ,
মানবতার বুকে পা রেখে । 
যেখানে -
কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে, আকাশ ছুয়ে দিবে । 
আমি ঐ মানুষের জন্য আবার ফিরে আসবো। 
যারা ফুটপথে মানবতার গান করে । 
ওদের দলে মিশে যাবো , 
তুমিও আমাকে চিনতে পারবে না । 
অথচ , 
কত রাত আমাদের দুটি নগ্ন দেহ, একাকার 
                               হয়েছিল মিলেমিশে । 
তখন তুমি আমার, আর আমি তোমার
উষ্ণ নিঃশ্বাসে কত সহজে চিনে নিতাম ।
ঐদিন, রক্তের মিছিলে আমি ফিরে আসবো -
অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ।
 বারবার ফিরে আসবো , 
প্রতিবার রক্তে ভেজা শরীর, 
হয়তো,
আমার লাশ গুম হয়ে যাবে । 
হয়তো নদীর জলে , কিংবা বনে-
কুকুর শেয়ালে ছিরে খাবে  ।
ব্যাথা ভরা শরীরে আবার ফিরে আসবো ,
অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ।
মিশে যাবো পথশিশু, কিংবা বস্তির ভাঙা ঘরে ! 
মিশে যাবো পঙ্গু অসহায় , 
ফুট পথে বসে থাকা ভিক্ষারীর মাঝে ।
ফিরে আসবো , 
অসহায় দরিদ্রের বুক ফাঁটা হাহাকার, হয়ে । 
এই শহরের ফিরে আসবো -
একশো একটা চাঁদের নগ্ন নৃত্য দেখবো বলে । 
সেই দিন মানবতা হাসবে ,
        হা-হা-হা উচ্চস্বরে । 
আর, অহংকারে গঢ়া তোমাদের অট্টলিকা 
কম্পিত হবে -
ব্লুডোজারের আঘাতে ।
সেই দিন, তোমাদের মুক্তি দেবো ,
নতুন করে বাঁচতে। 
এই শহর ভেঙে চূড়ে ,
নতুন করে গাইবে সাম্যের গান ।
সেই দিন পকেট থেকে 
সূর্য টা বাহির করে বলবো 
এবার তুই মুক্ত ।
যে বাতাসে তুমি মৃদু হাসির নিঃশ্বাস ত্যাগ করো,
কান পেতে শুনো, সে বাতাসে আমার দীর্ঘ নিঃশ্বাস। 
সে আকাশে তুমি মুক্ত ডানা মেলেছো - 
চেয়ে দেখো রক্তাত্ব আমার ডানা, শিকলে বাঁধা।
কালো মেঘের যে জলে ভিজে যাও তুমি,
সে জলের স্বাদ গ্রহণ করেছো কি কখনও?
কতটা বেদনার জল মিশে লবণাক্ত হয়েছে? 
যে চাঁদের জ্যোৎস্নাতে, তুমি জ্যোৎস্না বিলাশ করো,
কখনো কি দেখেছো ভেবে,  সে জ্যোৎস্নাময় রাত্রিতে
উম্মাদ হয়ে যায় কেউ।
বকুলের মত ফুঁটে উঠতে চাই মন, খুব ভোরে ঝড়ে যেতে হয়।
তুমি তো বিলে ফোটা পদ্ম, সুযোগে ফুটে উঠো আহ্লাদী হয়ে।
আমিতো শিশির ভেজা শিউলি ফুল -
সূর্যের সাথে হয় না মিতালী।
তুমি যখন খলখলিয়ে হাসো,  আমার হিংসা হয় ভীষণ।
ইচ্ছে হয় বিদ্রোহ করি,  জগৎ ময় উচ্চ হাসি বন্ধের দাবিতে।
এমন বিশ্রী হাসি মানুষের মৃত্যুর কারন হতে পারে,
দাবী পেশ করি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে।
তুমি মুক্তির শ্লোগান করো,  তুমি বিশ্বাসের শ্লোগান কর।
আমি বন্দী দাসত্বের বেড়িতে, তুমিই তো ভেঙেছো বিশ্বের সকল বিশ্বাস।
তুমি অমরত্বের গান করো,  আর আমি মৃত্যুর দোয়ারে কড়া নেড়ে চলি।
আমার ভীষণ মরতে ইচ্ছে হয়,  মৃত্যুর ক্ষুধা আমার।
মৃত্যুর পর কি আর ও জীবন আছে?
সে জীবনে কি তুমি শকুন হয়ে জম্ম নিবে।

Wednesday, July 22, 2020

অভিমান ও অভিযোগ 
ভালোবাসা ও ছলনা
আমার দুই চোখ,
দেখে ভিন্ন ভিন্ন।
আমার দুই হাত
এক হাতে স্বর্গ অন্য হাতে নরক।
কখনো ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়
কখনো দূরে হারিয়ে যেতে।
কখনো তোমাকে দেখি -
কখনো তোমার ছলনাকে।
কখনো ক্ষোভে অভিমানে হই হিংস্র
কখনো তোমার আঁচলে মুখ লুকিয়ে ছোট্ট শিশু।
কখনো কখনো ইশ্বর মনে হয় নিজেকে-
সকল বাধাকে উপেক্ষা করে, সব নিয়ম কানুন
পদতলে রেখে হাসতে ইচ্ছে হয় বিজয়ের হাসি।
কখনো কখনো নিজেকে বড় অপরাধী ভাবতে ইচ্ছে হয়,
মনে হয় জগৎ জুড়ে যতো পাপ সব কারনে মিশে আছি আমি!
আমি যেন অলিখিত ইবলিশ শয়তান।
নিজেকে নিয়ে ভাবতে বড্ড ভালো লাগে এখন -
নিজেকে অবতার ভেবে, জনসস্মুখে মুচকি হেসে আসি ইচ্ছে হলে।
দিন ও রাত
সকাল ও সন্ধ্যা
পৃথিবীর কক্ষ পথে পা রেখেছি
আমার মস্তিক জুড়ে এলোমেলো চিন্তাধারা
আমি বোধ করি পাগল হয়ে যাচ্ছি।
কবির অভিমান

আকাশের বুক ফেরে বৃষ্টি ঝড়ে , পাহাড়ের বুক হতে ঝর্ণা ।
বেদনায় আহত মানুষ গুলো ক্ষতবিক্ষত , কেউ তার খবর রাখে না ।
কলমের কালিতে, ডায়েরীর পাতাতে আহত কবির কান্না কেউ শুনে না ।
কবি ও কবিতা মিলে মিশে একাকার ,তবুও কেন ক্ষত স্মৃতির ছিড়া পাতা ।
তুমি কাঁদো , সে কাঁদে , আমি ওকাঁদি ! যেনো কান্নার মেলা ।
কত শত প্রজাপতি পাখা মেলে , কত প্রজাপতি রঙ ছড়াই ।
এতো হাসি -এতো হাসি ,তবুও কান্নার তীব্র চিৎকার
আহত কবি, নিকোটিনের সাদা ধোঁয়া ছেড়ে বলে-
কবিতা আর লিখবো না !
কবি অভিমান করে বলে , কবি সত্যি করে বলে , কবি বিরহের সাথে বলে -
লিখবো না আর কোন কবিতা , কবি চিৎকার করে বলে "কবিতা তোমায় বিদায়" ।
রাতের আধারে কবি অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে কাঁদে ,কবিতা বিহনে ।
বৃষ্টির জলে কবি অশ্রু ঝড়ায় অতি গোপনে , কবিতা বিহনে ।
ব্যস্ত শহরে কোটি মানুষের ভিড়ে কবি হাতড়ে ফিরে ।
নির্লজ্জ , বেহায়া কবি শুধু বিরহ স্মৃতির গান গেয়ে চলে ।
তবুও পদ পৃষ্ঠ হওয়া আহত বকুলের ভাঙা পাপড়ী বুকে টেনে -
কবি যখন মালা গাথতে বসে , কি এক কমল শিশু সুলভ দৃষ্টিতে ভরে ওঠে কবির মন ।
যেন সদ্যভূমিষ্ঠ কোন এক শিশু !
তবু ও কবি মাঝে মাঝে চিৎকার করে ওঠে -
"কবিতা তোমায় বিদায় "
নিকোটিনের ধোঁয়ায় জ্বেলে নিজেকে , কবি করে অভিমান ।

Thursday, July 2, 2020

"জীবিত ছিলাম না আমি"

আমাকে একটি কবিতা লেখার অনুমতি দেওয়া হোক ।
আমাকে আমার মত করে জ্বলতে দেওয়া হোক ।
প্রেয়সীর গোলাপ পাপড়ী অধরে চুম্বন করে এসেছি , 
মায়ের আঁচলে সময় পেলে ,এখন ও মাথা রাখি ।
সময়ের মুখে লাথি মেরে ,বাবার কাঁধে মাথা রাখি ।
ভাইয়ের শাসন , বোনের আদরের রতন -
তবুও আমি জ্বলতে জানি ।
আমার ভিতরে আর এক আমি ,
দিবা -নিশি কেঁদে ফিরে ।
মুক্তি চাই মুক্তি ! স্বাধীনতা দেখতে চাই ।
বিবেকের শরীরে পড়িয়ে দেওয়া বোরকা ছিরতে চাই আমি ।
বিবেকের শরীরে হাতরে হাতরে -
তাকে যন্ত্রনা দিতে চাই ।
আমার শারীরিক ক্ষুধা আছে ,
আমার মানষিক ক্ষুধা আছে ।
সব ক্ষুধাকে জীবিত কবর দিয়ে এসেছি -
তোমাদের এই তল্লাটে ।
আর কত লাশ , আর কত মায়ের বুক খালি হলে -
তোমরা অপরাধ স্বীকার করবে ?
কত বোনের নগ্ন শরীরে , তোমরা স্বীকার করবে -
লম্পটের জম্মদাত্রী তোমরাই ?
আকাশে শকুনের চিত্‍কার -
এই বাংলার বুকে হিংস্র শুয়োরের তান্ডব । 
আমাকে লিখতে দাও , আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই !
আমি মরণকে খুজে ফিরি জম্ম জম্মান্তর ।
যেখানে স্বাধীনতা নেই , যেখানে বাক শক্তি কেড়ে নেওয়া হয়-
যেখানে সাংবাদিকের কলম উল্টা চলে ।
যেখানে প্রতিবাদী কবি কে , দেশদ্রোহী বলে ফাঁসি দেওয়া হয় ।
সেখানে আমি জীবিত কখন ও ছিলাম কী ?
আমার চোখের সম্মূখে , কচি প্রাণ ঝরতে দেখেছি ।
সদ্য বিবাহীত বোনটিকে সাদা শাড়ীতে বিধবা বেশ দেখেছি ।
মায়ের সম্মূখে মেয়ের বিধবা সাঝ -
ওহ কী যন্ত্রনাময় , হৃদয় বিদারক সে দৃশ্য ।
বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ -
ফিনকী দিয়ে রক্ত ঝড়তে দেখেছি ।
তাঁরকাটার ওপার যে জোয়ান 
হয়ে নগ্ন , সে একা নগ্ন না !
সমগ্র বাংলা হয় নগ্ন ।
তাঁরকাটার এপার সে জোয়ান 
   হয় বীর  !
বড় আজব তোমাদের এই খেলা ,
ভাইয়ের হাতে দিয়ে অস্ত্র -
ভাইকে করো খুন ।
আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই ।
আমি এখানে কবেই বা জীবিত ছিলাম !
আমাকে লিখতেই হবে - ভিতরে জ্বলে যায় , হিয়া কেঁদে ওঠে ।
যন্ত্রনায় কাতর আমি , মানি না এই দূর্শাসন ।
সৈরাচারী নিপাত যাক , গণতন্ত্রের গলে যে বা যারা ,
দিয়েছে ফাঁসির রশি , আমি হাসতে হাসতে তাহার মুখে মূত্র বির্সজন করি ।
মানুষ হতে বলবো না তোদের ,
ওরে ও অমানুষের বাচ্চা ।
শুধু ইতিহাস লিখে যাবো -
আমি জীবিত ছিলাম না কখন ও !

Tuesday, June 30, 2020

এসো নীরবে,  চুপি চুপি নিবৃত্তে ।  
চলো হারায় এই সুখের পথে।
এখানে মুঠো মুঠো সুখ বিকায় দক্ষিণা বায়ু।
স্রোতের ধারা বয়ে লয়ে যায় অনাবিল আনন্দ।
চোখের লোনা জল মুছে ফেলেছি, 
নদীর জলে ফোটা ফোটা অশ্রু মিশে যায় । 
কেউ কখনো জানতে ও পারবে না, 
তুমি এসেছিলে গৌধুলী লগ্নে 
কিংবা প্রভাতে;
প্রবাহিত এই নদীর ধারায়। 
ভেজা পা নিয়ে ফিরে যেও সুখের স্বর্গে।
আমি ধূলি কণার মাঝে মিশে যাবো, 
মৃত্তিকার গভীরে।

( আহত স্মৃতি )
চিঠির জন্য প্রতীক্ষা 
২৯/০৭/২০

হঠাৎ অবেলায় পড়লে মনে, 
লিখো ; চিঠি, সংগোপনে। 
না হয়, সে চিঠি, থাকলো পড়ে! 
অভিযোগ, অভিমান, আর
পুরাতন কিছু স্মৃতি বুকে জড়িয়ে। 

আ'হা ; আমি জানি 
এই প্রযুক্তির যুগে 
চিঠি চাওয়াটা বড় পাগলামী। 

তবুও, 
আমার যত খুনসুটি 
সেই তো ;
সে'ই তোকে ঘিরে'ই। 
তুই হীনা যেন শূন্য 
আকাশের ন্যায় সীমাহীন 
এক,শুষ্ক শূন্যতা। 

বেঁচে আছি 
অবুঝ কিছু চাওয়ার ভিত্তিতে 
বেঁচে আছি 
পাবো না, জেনেও ;পাবার আশাতে। 
এ যেন 
আরও কিছু দিন 
বেঁচে থাকতে চাই , তার মিথ্যা অজুহাত। 

তবুও মাঝে মাঝে 
তীব্র ইচ্ছে, কৃষ্ণগহব্বরের ন্যায় 
রূপ ধারণ করে। 

একটি চিঠির প্রতিক্ষায় 
কেটে যায়, আমার রাত -দিন
সপ্তাহ থেকে মাস। 
মাস থেকে বছর 
বছর থেকে যুগ 
যুগ থেকে শতাব্দী। 

এই'তো সহস্র বছর 
ছুঁই ছুঁই 

আর মাত্র কয়য়েক দিন 
কিংবা মাস, কিংবা বছর 

তোর অলিখিত চিঠির প্রতিক্ষায় 
শেষ নিঃশ্বাস ছেড়ে দিয়ে। 
জীবন কে বলে দেবো 
এই বার' জীবন তোমায় 
দিলাম ছুটি ।

ছবি ; গুগল

Sunday, June 21, 2020

আত্মহুতি

ধর্ষিতার করুন চিত্‍কার,পতিতার শীত্‍কার
মিলে মিশে একাকার ।
রাতের আধারে কিংবা দিনের আলোতে 
সব আজ পরিষ্কার ।
আজ এই শহরে কার্ফূ জারি হয়েছে !
হয়েছে একশো চুয়াল্লিশ ধারা ।
বৃষ্টিরধারা হয়ে ঝড়ছে শিসা ।

কালো কাঁচে ঢাকা গাড়িতে চলছে, 
যতসব দুপায়ে শুয়োরের বাচ্চা ।
মানব রূপে দানব সব ,
মানুষের রক্তে লিখতে চাই মানবতা ।
ঐ তো আসছে ভূমি দস্যূ ,
ছুটছে বলে স্বাধীনতা স্বাধীনতা !

ক্ষুধার্ত শিশু কাঁদছে , ভীষণ ক্ষুধায়।
 জম্ম-জম্মান্তের ক্ষুধা তার, শিকলে বাঁধা। 
ঘৃণা আর প্রতিহিংসা, চিৎকার করে বলে, 
শিকল খুলে দে হারামজাদা , বাধন খুলে দে -
আমার পায়ে আটকানো বেড়ি খুলে দে,
ওরেও নিষিদ্ধ পল্লীতে জম্মানো অমানুষের বাচ্চা ।

হিংস্র শুয়োর দু-পায়ে দাড়িয়ে আজ ,
মানুষের রক্তে মানবতার ইতিহাস লিখতে চাই !
হে মোর জম্মভূমি ,এসো পদচুম্বন করো মোর !

 অবাক চেয়ে , কি দেখো ?
এ কেমন সন্তান ;জননীরে বলে পদচুম্বন করতে ! অবাক হবার কি আছে ?

যে মাতা সন্তানের লালসায় দগ্ধ হয় অনারবত ,
চেতনায় উত্তজীব্বিত সন্তানের হাতে হয় ধর্ষিত।
আমিতো চেতনার ক্ষুধা নিবারণ করতে চাই'না ।
ধর্ষণ হবার চেয়ে, পদচুম্বন  শ্রেয় না? 

   এ কী এ কী? 
    সত্যি সত্যিই !
   এ তুই কি করিস? মাতা জম্মভূমি। 
    আমি তো অকৃজ্ঞ না ; দুশ্চরিত্র না। 

রাগে অভিমানে দু-কথা না হয় বলেছি ।
তাই বলে !
জানিস মা - মাঝে মাঝে কী মনে চাই ? 
এই বুকে গ্রেনেড বেধে আত্মহুতি দেয়-
বঙ্গভবনে কিংবা সংসদে ।
যত সব শুয়োর বসত করে ঐ নরকে ।
মায়ের ইজ্জত, মায়ের সম্মান রক্ষার্থে 
যায় না-হয় যাক, এই অধমের মূল্য হীন জীবণ ।

আয় মা আয় 
তোর পদযুগল এগিয়ে দে ।
আমি চুম্বন করি ।

Saturday, June 20, 2020

প্রেমিকার বিক্রয় হওয়া হৃদয় ছুয়ে দেখেছি, 
কী ভীষণ  নির্মম আর গাঢ় কালো।  
পাপ আর পাপ,
আমি নরকে বসত করে,
স্বর্গের স্নিগ্ধ বাতাস খুজে চলেছি। 

ঈশ্বর। 
প্রেম কি শুধু বিনিময়ের মাধ্যম? 
হৃদয়ের সাথে হৃদয় 
কায়াতে মিলে কায়া ;
প্রেম কি সৃষ্টির মাধ্যম? 
প্রেম কি পুণ্যতা? 

আমি তো দেখেছি ;
প্রেমিকার প্রেম -
বিক্রি হয় 
রাত ও দিনের মধ্যভাগে। 
শহরের খোলা মাঠে 
মাদকের অন্ধকারে 
তারা উঠে যায় 
এক নরকে। 
সে ফিরে আসে, 
সে ফিরে ফিরে আসে। 
হারিয়ে না, বিক্রি করে আসে নিজেকে। 

আমি ছুঁয়ে দেখেছি 
সে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ;
শুধু কামনা আর পাপ জমে আছে। 

অথচ 
ওরা বলে প্রেম নাকি 
ঈশ্বর প্রদত্ত! 

ঈশ্বর, 
একথা শুনে 
তুমি ও কি মুখ লুকাও? 

( প্রেম )

Tuesday, June 16, 2020

কাঁদতে বারন আছে

আমিও এই সমাজের,রক্তে মাংসে গঢ়া জীব ।
ভুল করেও আমাকে মানুষ ভেবো না !
আমি মানবিয় গুনাবলির , ছিটেফোঁটা ও ধারন করি নাই ।
আমার ভিতরে বড় বড় নখ দন্তের ,
কল্প কথার দেও দৈত্যের বসবাস ।
আমি মানব সভ্যতার কোন শিক্ষা পাই নাই -
এই সভ্য সমাজ থেকে ।
মনে পরে কী ? সেই দিনের সেই কথা !
যে দিন গৌধূলি লগ্নে এক শিশু কেঁদে উঠেছিল,
জম্মের আনন্দে ।
আর তোমাদের নৈরাজ্যের রাজনীতি,
চারিদিকে বুলেট কামানের চিত্‍কার।
সেই ভয়ে ভীতু , সেই আমি চুপচাপ।
আমার ভিতর একটি ভয়ের জম্ম হয়েছিল সেই দিন ।
হয়তো এমন কোন রাষ্ট্রে জম্ম নিয়েছি আমি ?
যেখানে জম্মের পূর্বে , খাজনা দিতে হয় ।
তা যদি দিতে না পারো , তবে জম্মের
আনন্দে কাঁদতে বারন আছে ।
রক্ত স্লান সেই আমি , হয়তো সেই দিন -
 জল স্লান করতে ভুলে ছিলাম !
আজ এই পথ চলতে চলতে শুনি-
সেই অস্ত্রের বর্জ্র চিত্‍কার ।
আমার পথ রুদ্ধ করে অনাচার ।
মনে করিয়ে দেয় অনাগত ভর্বিষ্যত-
প্রজম্মের জম্ম লগ্ন ।
এই রাষ্ট্রে জম্ম নেওয়ার পূর্বে , তারা
খাজনা দিয়ে জম্ম নিবে তো ?
না কি ? আমার মত বোবা হয়ে ,
নৈরাজ্য কে দেবতার আসনে বসিয়ে-
মার খেতে খেতে মরবে !
তাদের জানা আছে কি ? 
        এই রাষ্ট্রে
জম্ম নিয়ে কাঁদতে বারন আছে।

Wednesday, June 3, 2020

কবিতা

তুমি আসবে বলেছিলে ,
এই বৈশাখের কোন এক বিকালে ।
তুমি আসবে- বর্ষার আগমন বার্তা হাতে ।
বৃষ্টির জলে ভেজা , তোমার কায়া ।
কাপা কাপা অধরে ,বলবে বলেছিলে ভালোবাসি ।
কদম ফুলের রেণুতে-রেণুতে সৌরাভ
ছড়াবে বলেছিলে ।
তোমার শরীরে বন্য ফুলের সৌরভ মেখে ,
আমাকে উম্মাদ করবে বলেছিলে !
চৈত্রের দাবদাহ খরায় তৃর্ষ্ণাত আমাকে -
অধরের চুম্বনে পিপাসা নিবারন করবে বলেছিলে।
সেই যে ,সেই দিনের পর আজ ,
প্রতিক্ষার কত শত বৈশাখ আসে-যায় !
তুমি তো কথা রাখনি , তবে কী
মানুষ কথা দিতেই ভালোবাসে
কথা রাখতে নয়? 
হয়তো তোমার মত কথা দিয়েছিল ,
কিংবা তুমি দিয়েছিলে বরুনার মত ।
সেই ব্যথা বুকে লালন করে হয়তো !
সুনীল গঙ্গাবধ্যায় আক্ষেপ করে বলেছিল-
কেউ কথা রাখেনি ।

আক্ষেপ

Friday, May 29, 2020

কবিতা

এসো সকলে এক হয়
(উত্‍সর্গ: বি জি বি "শহীদ মিজানুর রহমান")

স্বাধীনতা এই কি ছিল তোমার দেওয়া ,শহীদের রক্তের প্রতিদান ।
স্বাধীনতা এই জন্য ই কি পাগলের দল জীবণ বিলিয়েছে বুকে গ্রেনেড বেধে ।
স্বাধীনতা কোথায় তুমি ,42 বছর ধরে বাংলার পথে পথে তোমাকেই খুজে আমি দিশেহারা ।
কোথাও নেই তুমি , মরিচিকা তুমি ,পাগল আমি তাই তো খুজে ফিরি তোমারে ।
বাংলার বুকে বাংলার সন্তান খুন হয়, গুম হয় ,ধর্ষিতা হয় বোন ।
ওরা কারা ,যাদের এত বড় র্দুসাহস।
তোমার বুকে বসে তোমারি কলিজা ছিঁরে খাই হিংস্র থাবায় ,
ওরা তো ভিনদেশী কেহ নহে ।
তবে কী ওরা মানুষ রূপে বন্য শুয়োর ।
স্বাধীনতা কোথায় তুমি , 42 বছর পারি দিয়ে আজো আমি পরাধীনতার ছিকলে বাধা পরে আছি ।
ভিনদেশী শত্রুদের যে হাতে নিঃস্তব্দ করে রেখেছিলাম ,আজ সে হাতে চুড়ি পরিয়ে দিলো কে ।
স্বাধীনতা তোমাকে পাবার আশায় নিজের বুকের পাজর পেতে ধ্বংস করেছি শত্রুর যুদ্ধ জাহাজ ।
আজ সে বুকে এত কিসের পিছুটান,
কোন সে সাহসে ভিনদেশী হায়েনার বুলেটেএখন ও ছিনিয়ে নিচ্ছে আমার জোয়ান (বি জি বি) ভাই।
সকল বিদ্ধেষ ভুলে বাধা নিষেধ ভেঙে,
ক্ষমতার লোভ ভুলে হাতে হাত ধরে, এসো বাঙালী এক হয়ে স্বাধীনতা অমৃত স্বাদ গ্রহণ করি ।
তবে দেখবে চেয়ে থরথরিয়ে কাঁপবে ভিনদেশীয় হিংস্রুক জানোয়ারের বুক ।

Wednesday, May 27, 2020

কবিতা

অন্ধের আহাজারি

এখন বুঝি অনেক রাত এখানে,
ধূসর কালো অন্ধকারে আছন্ন এই ধারা।
হবে কী প্রভাত, প্রভু।
আমার আজম্ম এই ঘোর অন্ধকার ধারায় ,
ভোরের হাসি কী দেখা হবে না কভু ।
জম্মদাতা পিতার দেহের গন্ধ র্স্পশ করে যাই আমারে ।
দু হাতে হাতরে ফিরি ,দেখিনাই কভু জম্ম দাত্রী মায়ের ও মুখ ।
কখন সূর্য পূর্ব গগণে ,কখন সে পশ্চিমে ,
মাঘী পূর্নিমার অনেক গল্প শুনেছি ,
দেখা হয় নাই তব তাহার রূপ ।
আমার আজম্ম এই অন্ধধারায় ,
প্রেয়সীরে হাতরে ধরেছি ,
ভালোবাসায় বক্ষে বেধেছি।
তবু পিপাসায় কাতর মন নয়ন মেলে দেখতে চাই তারে ।
আমারি ঔরশ জাত ঐ ছোট্ট সোনামনি ,
বাবা বলে ডাকে যখন ।
মনে চাই আকাশ মত্ম এক করে বক্ষে আগলে রাখি তারে ।
দু নয়ন মেলে চেয়ে দেখি ঐ স্বর্গফুল কুড়ি ।
বিধাতা নয়নের আলো যদি নাহি দিবে ,
কেনো মোরে এই ধারায় প্রেরণ করিলে ।
আমার এই অন্ধকার জগত্‍ এ ,
চির দিন থেকে গেলাম নিজেই নিজের অচেনা হয়ে ।

Thursday, May 21, 2020

কবিতা

স্মৃতি কথা

বৃষ্টিস্নাত সে সন্ধ্যা , আমার রাত্রী জেগে থাকা ।
তোকে নিকে মহাকাব্য লেখার এক র্দূ-সাহস ।
সাদা কাগজে আকি বুকি , বৃথা কাগজের কলঙ্ক করা ।
তোকে নিয়ে 'একটি কবিতার একটি চরন লেখার ব্যার্থ চেষ্টা ।
ঐ খানে থেমে গেছে কবি, যেখানে শুরু সেখানে শেষ ।
ভালোবেসে তোকে , হলো না আর লেখা ,একটি প্রেমের কবিতা আমার ।
আমি চির কাল অন্যের সুখবিলাস পড়ে গেলাম, মহা আনন্দে করতালিতে উল্লাস করলাম ।
অথচ ! এত প্রেম বুকে নিয়ে।
সকাল অবদী সন্ধ্যা, আবার সন্ধ্যা থেকে ভোর আমার বৃথা নিদ্রাহীন প্রহর ।
আমি আমার মাঝে ,আমার কবিত্বের সমাধী জানিনা করেছি কখন ।
এতটুকু জানি, বৃথা আমার নিদ্রাহীনতা ।
হয়তো হবে না কোন মহাকাব্য,
তোকে আমাকে ঘিরে ।
অন্তত্য দুটি কথার পিঠে দুটি কথা সাজিয়ে , একটু ছন্দ মিলিয়ে ।
লিখে যেতে চাই আমি আমার ব্যার্থ প্রেমের স্মৃতি কথা ।

Sunday, May 17, 2020

কবিতা

অথচ ওরা, আমাকে আসতে দেয়নি।
একশো চুয়াল্লিশ ধরা জারি করা হলো।
মোড়ে মোড়ে বসানো হলো চেকপোস্ট,
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে, মশা মাছির ওপরেও
পরীক্ষা করা হলো, আমার পথরোধ করতে।
কি আশ্চর্য!  আকাশ পথ, নৌ পথ, স্থল পথ 
কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হলো! 
কুকুর গুলোর নির্দিষ্ট একটা চিৎকার ছিলো!
 অবশ্য,
এই কুকুর গুলো অন্যরকম, 
একেবারে'ই অন্যরকম! 
চারপায়ের কুকুর গুলো, 
এই প্রজাতির কুকুর দেখে;
ঘৃণা আর লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নেবে । 
তবে এই প্রজাতির কুকুর গুলো, বড় প্রভু ভক্ত।
তারায় রোধ করে আমার পথ;
তবুও-

      আমি একবার এসেছিলাম, 
      ভালোবেসে যখন আহবান করেছিলো। 
      আমি এসেছিলাম একবার
      একশো চুয়াল্লিশ ধারা ভেঙে। 
      করাচির বুক কাঁপিয়ে, এসেছিলাম 
      মতিউরের টি-৩৩ এ চেপে। 
      আমি একবার এসেছিলাম, 
     এই বাংলার প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি ধূলিকণায়।

আজ আমার হাত বাধা, 
পা'য়ে শিকল;
মুখে বন্দুকের নল। 

       আমি যদি,
               আমার কথা বলি,
               অধিকারের কথা বলি,
               ক্ষুধা ও ক্ষুধার্তের কথা বলি,
               অসহায় ও অনাহারীদের কথা বলি,
               আমি যদি চোরের বিপক্ষে কথা বলি, 
               যাহা ভন্ড মিথ্যা অনাচার 
               সে'ই পাপের বিপক্ষে যেয়ে 
               ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি! 
 
আমি জানি, 
আমাকে খুঁজে, ক্লান্ত তোমার কুকুর গুলো 
ঘেউ ঘেউ শব্দে আনন্দ মিছিল করবে। 
বন্দুকের টিগারে একে, একে 
জয়ের ধ্বনি উচ্চারিত হবে। 

যে'ই আমাকে, ছিনিয়ে এনেছিলে
যে'ই আমাকে, আনতে বুক পেতে দাঁড়িয়ে ছিলে
শত্রুর সাথে আপোষ করনি বিন্দুমাত্র। 
সে'ই আমি, আমার কথা যদি বলি আজ ;
তোমার বন্দুকের নল -
আমার মুখে ঠেকিয়ে রাখা আছে !
তোমার লেলিয়ে দেওয়া কুকুর ;
টিগারে আঙুল দিয়ে, অপেক্ষারত। 
তবুও বলব আমি, 
    
     আমি কে? 
    জানতে ইচ্ছে হয়? 
 
      আমি স্বাধীনতা 
     আমি অধিকার 
অসহায় নির্যাযিত মানুষের স্বপ্ন আমি। 

( স্বপ্ন আমি, ১০/০৫/২০)

কবিতা

***মৃত্যু উৎসব***
১৮/০৫/২০১৬

তুমি না হয় বিষ পান করো ,
তুমি আর কিছুদিন অপেক্ষা করো ,
থোকা থোকা সুখ আনবো আমি ।
আমার সব সুখ কর্য দিয়েছি ,
একটু দুঃখ পাবার আশায় !
এখন আমি দুঃখের প্রেমে পড়েছি ,
তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি তাকে ।
বুকের মাঝে যতন করে আগলে রেখেছি ।
তুমি না হয় নদীতে ঝাঁপ দিও
কিংবা গলে রশি দিও
ট্রেন কিংবা বাসে ও মাথা দিতে পারো !
নিশি রাতে সর্পের গর্তে হাত দিয়ে-
কাল কেউটো কে ধরতে পারো ।
তুমি না হয় নিজেই নিজের শ্বাঃস রোধ করো ।
আর কিছু দিন অপেক্ষা করো ,
আমি থোকা থোকা সুখ আনবো ।
তোমার ঠোটের ছোট্ট তিল ছুয়ে দিতে কত চেয়েছি ;
তুমি মরলে আমি ঐ তিল কিনে নিবো ।
তোমার যে চোখে চোখ রেখে নিজেকে হারিয়েছি- ঐ চোখ আমি কিনে নিবো ।
তুমি বরং আর একবার চেষ্টা করো ,
বিষ পান করে , গলে রশি দিয়ে
নদীতে ঝাঁপ দিলেও মন্দ হয় না ।
তার চেয়ে বরং
চলন্ত ট্রেন কিংবা বাসের তলেও মাথা দিতে পারো।
মন্দ হয় না, যদি তুমি
বিষাক্ত এ্যালকোহলের স্বাদে
মৃত্যুকে বরণ করো ।
মোট কথা মরতে তোমাকে হবেই হবে ।
আমি আর কিছুই চাই না -
শুধু ঐ তিলের মালিক হতে চাই ।
তোমার চারিদিক চেয়ে দেখো মৃত্যুরা করেছে মহাউৎসব-
তুমি কি ভাবে মরতে চাও ?
আমি তোমার অধরের ওপর ছোট্ট তিলের রাজ্যত্ব টা চাই ।
সেদিন দেখো আমি থোকা থোকা সুখ আনবো ।
পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন এক গল্প রচনা করবো -
তোমার মৃত্যুর মহা উৎসব করবো , যে দিন !

Thursday, May 14, 2020

কবিতা

কবি ও তার ডায়েরী

কবি, কবি ঘুমাইয়েছো নাকী ?
   না ।
এখন ও জেগে আছো যে-
তন্দ্রা নাই তোমার ও নয়নে ?
না গো কবিতা ।
তুমি ও যে নিদ্রাছন্ন, ঘুম আসে না বুঝি ?
                না ।
   কেনো ?
স্মৃত্মির খাতা এলোমেলো , তোমার জ্বালানো -
 মোমবাতি এখনো আলো দিচ্ছে ।
কি করে ঘুমায় আমি ! 
কবি , আর কত এ রাত জেগে থাকা ?
 আর কত অপেক্ষায় প্রহর ,নয়ন জলে
 চাঁদের আলো কে মলিন করবে ?
 কত আর কলমের আঘাতে -
স্মৃতির খাতায় ক্ষত চিহ্ন একে যাবে। 
আর কত রাত জেগে এক একটি কবিতার জম্ম দেবে ? 
নেশায় মগ্ন থেকে , আর কত ফুল কে -
 পদপৃষ্ট করতে যেয়ে নিজে কাটায় আঘাতে রক্তাত হবে ?
 আর কত ! এক নারী কে মনে রেখে,
 হৃদয়ে কষ্ট পাখিটি আদরে লালন পালন করবে ?
 এবার জাগো কবি  ,মোমবাতিটিতে ফুঁ দাও । 
স্মৃত্মির খাতা বন্ধ কর । 
আমাকে একটু বিশ্রাম নিতে দাও ।
 তোমার দুঃখে কবিতার জম্ম , 
তাই বলে কি কবিতা চির দুঃখী থেকে যাবে ?
 ওঠো কবি স্মৃত্মির খাতা এবার বন্ধ কর । 
জ্বলন্ত মোমবাতি টি কে একটু বিশ্রাম নিতে দাও । 
ও তো প্রতিরাতে তোমার দুঃখ ভরা মন কে-
 একটু আলোকিত করতে নিজেকে নিশ্বেস করে দিচ্ছে । 
দয়া করে এবার আমাদের কে একটু বিশ্রাম নিতে দাও ।

Tuesday, May 12, 2020

কবিতা

হৃদয়হীন
১৩/৫/২০১৫

রাতের চাঁদের মৃদু আলো চেয়ে চেয়ে দেখি যখন ,
মনের গহীনে ভেসে আসে তোমার ও মুখ খানি ।
স্বপ্নচোরা মেয়ে কোথা গেছো হারিয়ে?
এখনো ও যে আমি ভালোবাসি তোমাকে ।
মৃদু ছন্দে দক্ষিনা বায়ু যখন ঘ্রাণ দেয়,
তোমার কেশের সৌরভ যে আসে ভেসে ।
গোলাপি পাপড়ী যখন ঝড়ে পরে ,
তখন আমি দীর্ঘ চুম্বনের পর তোমার
অর্ধ রঙ্গিত অধর কে দেখতে পায় ।
বিশ্বাস করো,
বিষম পরিশ্রমের পর যখন আমি ক্লান্ত,
একরাশ সুখের অলসতা আমাকে ভর করে ,
তখন যেন বক্ষে জড়িয়ে -
আদরে আদরে ভরিয়ে রেখেছো মোরে ।
ঘুমের ক্লান্তি যখন নয়ন স্পর্শ করে,
যেন তুমি স্বপ্ন চোরা হয়ে ,
এখনো আমার বুকের উপর ভর করে,
হাতে হাত চোখে চোখ অধরে অধর -
আলতো স্পর্শ কাতর ভালোবাসার আলিঙ্গন বদ্ধ ।
জানিনা আজ সেই তুমি কত দূরে!
আজও অন্তর আত্মা তোমারে খোজে ।
হৃদয় এর র্স্পন্দন থেমে গেলে, যেমন সে মূল্যহীন ।
আমার এ হৃদয় এর র্স্পন্দন হয়ে,
আজ তুমি হৃদয় হীন।

Tuesday, May 5, 2020

কবিতা

ছুটি দাও

আমাকে যেতে হবে, বহু দূর -
এইবার আমাকে যেতে দাও ।
সোনালি ধান ক্ষেত দিয়ে পাড়ি,
ধূলা বালির পথ পায়ে হেটে -
হিজল বাগানের শুকনা পাতা,
পায়ে পিষে যেতে হবে ,
      যেতে হবে ।
সেখানে আছে কাঁঠাল গাছে-
সাজানো বিশাল বাগান । 
সময় আপন স্রোতে ;
বেয়ে চলে নিরবোধী ।
আমাকে ছুটি দাও ,
যেতে হবে বহুদূর ।
সব কথা এখন যদি বলে দাও !
বাকি থাকে না আর কিছু বলার ।
কিছু কথা থাক জমা -
তবে হবে যে আবার ও দেখা ।
কথা বলার আকাক্ষায় ,
ছুটে ছুটে আসা ।
সময়ের ঘূর্নিঝড়ে ,আমার বক্ষে ;
তোমার নখের বিষাক্ত থাবা !
সে ক্ষত মিলে যাবে একদিন ।
 চোখে চোখ হয়ে যাবে সৃত্মি ।
হৃদয়ের পাজরে রাখা থাকবে -
স্বযতনে ভালোবাসার রর্ক্তাত
দাগ টি ।
সময় হয়েছে বন্ধু , অনেক দূরে যেতে হবে ।
খাজুর বাগান , যেখানে গাছুরে গাছের বক্ষ চিরে অমৃত সংগ্রহ করে । 
সে বাগান পাড়ি দিতে হবে ।
মাথা উচু করে থাকা তাল বাগান ,
পাড়ি দিয়ে ছোট্ট গ্রাম ।
বরিউল চাচার ছোট্ট টং সে চায়ের দোকান ।
ওখানে বসে একটি গরম চায়ের কাপে দিয়ে চুমুক ।
নিকোটিনের সাদা ধোয়ায় আবার হাটতে হবে ।
অনেক দূর যেতে হবে -
 এইবার আমাকে ছুটি দাও ।
পায়ে হেটে ধূলা বালির পথ ছুটে যেতে হবে-
যেতে হবে সেই গায় , 
যেখানে আছে আমার নাড়ীর টান ।

Monday, May 4, 2020

কবিতা

প্রতিহিংসা 

কত দিন শুনি না তোমার বেদনা সিক্ত কন্ঠস্বর। 
 কতদিন দেখিনা তোমার অশ্রুসিক্ত আঁখি। 
কত দিন, কত মাস, কত বছর হয়ে গেলো -
তোমার আহা-কার শ্রবণ করিনা! 
সময় হয়েছে? মৃত্যু কষ্ট ছুয়ে দিলে 
খবর দিতে ভুলে যেও না। 

যেখানে থাকি আমি, যত দূরে 
ঠিক আসবো প্রিয় মৃত্যু পথযাত্রী তোমার শহরে।
সকল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, 
বুলেট বোমাকে উপেক্ষা করে, 
আমি আসব'ই আসবো প্রিয় -
তোমার শহরে। 

এই পৃথিবী তোমাকে বড় কষ্ট দিচ্ছে, 
বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই তোমার ! 
সাংবাদিক সম্মেলন করে -
খুলে নিবো অক্সিজেন তোমার মুখ থেকে। 

বিশ্বকে জানিয়ে দিবো,  
বিশ্বাসঘাতকের মৃত্যু যন্ত্রণা কত করুন, 
সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে। 
কেউ কেউ তো আমাকে, অমানুষ বলে গালি দিবে! 
মানুষ হয়ে কি পেয়েছি আমি? 
অমানুষ হয়ে না হয় একটু সুখ নিবো ছিনিয়ে। 

তোমার মৃত্যুর সময় হলে, 
বলতে ভুলে যেও না যেনো! 
এটাই তো সুযোগ তোমার, 
নিজেকে শেষ বার উপস্থাপনা করার।

কবিতা

কথাপকথন

মধ্যদুপুরে ঘাস ফড়িং আর আমি,
নিত্য সে দলছুট খেলা।
কোথা আজ আমার সে ছেলেবেলা?

স্কুলের ছুটির ঘন্টা ঢং ঢং
হৈ চৈ আর হৈ-হুল্লোড়, মুখোরিত মহল্লা। 
কোথা আজ আমার সে ছেলেবেলা? 

দীঘির জলে ডুব সাঁতার, ছোঁয়াছুয়ি 
কুমির মানুষ খেলা,  সে ছোট্ট বেলা? 

কোথায় আমার লবণ ঝাল লজেন্স চুষে খাওয়া, 
কোথায় যেন হারিয়ে এসেছি, 
কোথায় যেন ফেলে এসেছি, 
মিষ্টি মধুর টারজান টারজান খেলা। 
চোর পুলিশ আর, লুকোচুরি 
বউ ছুট,  গোল্লাছুট, এক্কা-দোক্কা আর ডাং গুটি, 
কোথায় গেলো আমার লক্ষী মার্বেল টা? 

মনে পড়ে কাবাডি,  লবণ গাদি খেলা 
কোথা যেন দেখে এসেছিলাম 
ঘুঘু টি ডিম দিয়েছে,  কুঁড়ি’র মাঠের ঐ বরই গাছে। 
কোথা যেন ভেঙ্গে এসেছিলাম 
বুলবুল টির নতুন গঢ়া বাসা! 
কোথা যেন গাং শালিকে,  ওই যে 
ঐ খাপড়া বিলের, বালুর গর্তে 
গাং শালিকে বাচ্চা দিয়েছে দুই টি -
ওদের ধরতে হবে। 
কোথা যেন হারিয়েছি কাঁদা মেখে মাছ ধরা।। 

আজ দীর্ঘ বিশ বছর পরে, দেখা হলো 
কথা হলো সেই বন্ধুর সাথে, 
যার লেজে সুতা বেধে,  দিতাম উড়িয়ে। 
সেই ঘাস ফড়িং।

কবিতা

আমি আর তুমি
০৫/০৪/২০

তোমার চোখে তা খুব সাধারণ
 আমার চোখে যা অসাধারণ! 

তোমার চোখে তা অসাধারণ 
আমার চোখে যা সাধারণ! 

তুমি খোঁজ, কৃত্রিমতার রূপ
আমি খুজে চলি প্রকৃতির রূপ! 

তুমি অবাক হও,  মানুষের গঢ়া অট্টালিকা দেখে
আমি অবাক হই,  প্রকৃতি ভাঙা গড়া দেখে। 

তুমি হাসো সিনেমা নাটক গান দেখে 
আমি হাসি পাখির সুর আর বাতাসের শব্দে। 

তুমি আর আমি 
আমরা দু'জন দুই মেরু।

কবিতা

প্রার্থনা
10.04.20
অরণ্য নাসিদ ভাই😊

প্রতিদিন মরে যাচ্ছি, একটু একটু করে মরে যাচ্ছি।
মৃত্যুতে আমার বিন্দু মাত্র কষ্ট নেই,
নেই না পাওয়ার বেদনা।
তার চেয়ে, বেঁচে থাকায় আছে লজ্জা, আছে ঘৃণা!

এই ভাবে কি মানুষ বেঁচে থাকতে পারে? 
পারে না, পারে না, পারে না! 

আমরা মনে হয় মানুষ নয়, 
মানুষ হলে, আত্মহত্যা করে মরা উচিত ছিলো।
মানুষ হলে ঘৃণা লজ্জায় মাথা কাটা যেতো। 

তবুও 
নির্লজ্জের মতো, দেখো মাথা উচু করে চেয়ে আছি 
একের পর এক নিঃশ্বাস নিয়েই চলেছি!  
কি আশ্চর্য?
 সামান্য লাজ লজ্জা ঘৃণা বোধ আমাদের নেই। 

দিকে দিকে, 
মৃত্যুর মিছিলে মানুষ মরছে, যেন কীটপতঙ্গের ন্যায়! 
অবাক বিশ্ব, অবাক বোধ করি স্বয়ং সৃষ্টি কর্তাও। 

 হা -
আমি আমাদের কথা বলছি, এই বাঙালির কথা
          এই বাঙালী জাতের কথা বলছি। 

বিশ্বভূমন্ডলের বিচারপতি, 
তুমি কোথায়? তোমার বিচারের কাঠগড়াতে 
ধ্বংস যদি প্রভু করতেই হয়। 

চেয়ে দেখো প্রভু বঙ্গমাতার ইজ্জত যাদের হাতে
তারা কি করে মায়ের সন্তানের অন্ন ছিনিয়ে খায়। 
বিচার করো প্রভু, বিচার করো প্রভু,বিচার করো 
গরীবের অন্ন যারা, আপনার ভেবে গুদাম ভরায়। 

মহামারী যদি তুমিই দাও প্রভু, 
 মহাশয়তান গুলোকে আগে ধ্বংস করে দাও। 
চোরেরা সব, সাধু সেজে রয় 
সে চোরেরা কারা তোমার তো অজানা নয়। 
রক্ষা কর প্রভু গরীব মাতার গরীব সন্তানেরে -
ক্ষুধার অন্ন যোগাওঁ তুমি,অন্নদাতা তুমি হে। 

প্রার্থনা 
এ মোর একার নয় প্রভু, দিন মজুর শ্রমিক কৃষক
অনাহারী ক্ষুধার্তের অন্তর্যামী তুমি ।।

কবিতা

নিবেদন 
১২/০৪/২০

মাননীয় রাষ্ট্রপতি, 
এই মৃত্যুর মিছিলে একটা দাবি নিয়ে এসেছি
                                       না, ভয় পাবেন না
আমি মাস্কের কাপড়ে নিজের মুখ ঢেকে রেখেছি
তিন মিটার দূরত্ব বজায় রেখে দাবি পেশ করছি।

                                    না,করোনার ভয়ে না!
লজ্জায় ঢেকেছি মুখ, ঘৃণায় বজায় রেখেছি দূরত্ব।
আমার উদরে লেলিহান ক্ষুধার দাবানল -দাউদাউ করে জ্বলছে। 
আমার দশ বছরের এক কন্যা সন্তান ছিলো,
সে আত্মহত্যা করেছে, শুনেছেন?
 হয়তো বা হা, অথবা না! 

ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী যখন গদ্যময়! 
আর সে গদ্যে-
দুই একজনের মৃত্যুর করুন কাহিনী যদি না থাকে! 
তবে কি করে গদ্যের পূর্নতা আসবে?  

গরীব পিতার ঘরে জম্ম নিয়েছিলো মেয়েটা, 
কচি পেটে তার যে আগুন জ্বলেছে -
তা মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে হয়তো কষ্ট দায়ক ছিলো। 
 
                             মরে যেয়ে ভালো'ই করেছে।
 নতুবা, কোন ক্ষমতাসীন কেউ খাদ্যের প্রবঞ্চনায়
 মেয়েটাকে'ই হয়তো ছিনিয়ে খেতো, শকুনের মত। 
                                 তার চেয়ে বরং মরণ শ্রেয়।  

শুনেছেন?  বৃদ্ধ রিক্সশাচালক আত্মহত্যা করেছে। 
                     ভালো'ই করেছে! 
গরীব হয়ে জম্ম নেওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করেছে।  

সবার করা উচিত, সকলের করা উচিৎ -
আত্মহত্যা করে ক্ষুধা নিবারণ করা। 

আপনারা তো বলেছিলেন, এক বছরের খাবার মজুদ আছে। 
আমরা বিশ্বাস করেছিলাম!  অথচ ;
আজ দুই মাস যেতে না যেতে, 
ক্ষুধার্ত মানুষের মৃত্যু বরণ করা ;
আপনাকে ভাবায় না? আমাকে ভাবায়।
হয়তো কাল একজন,
পরশু আর একজন ;
তার পর আমি। 
এইভাবে আমরা সবাই প্রায়শ্চিত্ত করবো।

তখন কি আপনার লজ্জা করবে  না?
নাকি আতুর ঘরে লজ্জা কেটে, মাটিতে পুতে রেখেছেন? 

খাদ্যের অভাবে যদি মানুষ মরে,
খাদ্য মন্ত্রীর কি প্রয়োজন?
চিকিৎসা সেবায় যদি, এতো ত্রুটি থাকে;
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কি প্রয়োজন?
চোর, ধর্ষক,খুনি,  পতিতায় যদি দেশ ভরে থাকে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কি প্রয়োজন? 

                           কি প্রয়োজন? 
দেশের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করে,
                মন্ত্রী পরিষদ গঠনের। 

 এর চেয়ে, স্বল্প টাকায় কিছু ভাড় রাখতেন; সকালবিকাল তারা গল্প বলতো, 
আমরা শুনে "হো হো করে হাসতাম।"
 মন্ত্রী আর ভাড়ের কাজে যে ফারাক-
 তা যদি মন্ত্রীরা না জানে,
 তবে মন্ত্রীর আসনে বসার অধিকার কে দিয়েছে?
 
 মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
 আপনার কাছে অনুরোধ,
 দলে দলে মানুষ আত্মহত্যা করে মরার পূর্বে ;
 ক্ষুধার্ত মানুষ হিংস্র হবার পূর্বে ;
গরীব কথা বলার পূর্বে ;
বন্দুকের নল তাক করার অনুমতি দেন! 

 "একটা বুলেট, একটা গরীব"
স্লোগানে মেরে দিতে বলেন 
এই শান্তশিষ্ট মানুষ গুলোকে। 

জনস্রোতে প্রতিবাদের ঢেউ আসার পূর্বে, 
গুলি করার অনুমতি দেন,
 হে মহামান্য। 

বড় বিনয়ের সাথে বলছি, 
করোনা রোগীর বাড়িতে,যে লাল পতাকা উড়ছে। 
                              সেই পতাকা-
চাল চোর, ধর্ষক, দেহ ব্যবসায়ী, মদ বিক্রেতার 
     বাড়ির ছাদে পতপত করে উড়ার পূর্বে। 

রফিক আজাদের মতো, "ভাত দে হারামজাদা "
         বলার পূর্বে, যদি গুলি না করা হয় 
            তবে যে বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে। 

 অনুমতি দেন হে মহামান্য, ক্ষুধার্ত এই জন স্রোত 
             থামানোর এখন একটা মাত্র পথ
 বন্দুক তাক করো, তারপর টিগার চেপে ধরো! 
                        ক্ষুধা মুক্ত দেশ
    শালা কোন ক্ষুধার্ত এই দেশে থাকবে না। 

 নিবেদন করি,
 ক্ষুধার্ত উদরের তরে একটি বন্দুকের বুলেট বাজেট রাখেন। 

( অরণ্য নাসিদ)

কবিতা

চোরের বিচার
১৬/৪/২০

মানুষ মরবে, প্রতিদিন মরবে ; লিখে রাখেন
রোগে মরবে, শোকে মরবে, বিরহে মরবে
ক্ষুধায় মরবে, তৃষ্ণায় মরবে, ক্রোধে মরবে
প্রতি সেকেন্ডে, প্রতি মিনিটে, প্রতি প্রহরে
ইতিহাস লিখে রাখবে, মৃত্যুর সংখ্যা
মানুষ মরেছে এক জন, দশ জন, হাজার জন!

মহামারী একদিন চলে যাবে,
ক্ষুধার্ত মানুষ, অভাব -অনাটন রেখে যাবে,
রেখে যাবে স্বজন হারানোর শোক।

চোখের কালো পর্দা সরিয়ে,
দেখিয়ে দিয়ে যাবে চোর।
কিছুই হবে না, কিছুই হবার না!
চোরের কোন বিচার নেই,
চোরের মাথার উপর আছে দরবেশের হাত। 
দিন শেষে ক্ষুধার্ত মানুষের বিচার হবে,
বিচার হবেনা কোন চাল, ডাল তেল চোরের 
বিচার হবে না কোন মানুষের অন্ন চোরের। 
চোরের রাজ্যে চোরের বিচার? 
কে করবে,  কেন করবে,  কি জন্য করবে? 
চোরের বিচার কি আর চোরে করে? 
করে না, করবে না, ইতিহাসে-
 চোরের বিচার চোর কোন দিন করেনি । 
আগামী তেও করবে না!  লিখে রাখেন। 
ক্ষুধার্তের বিচার হবে, চোরের বিচার হবে না। 

শুধুই
মানুষ মরবে, প্রতিদিন মরবে ; লিখে রাখেন
রোগে মরবে, শোকে মরবে, বিরহে মরবে
ক্ষুধায় মরবে, তৃষ্ণায় মরবে, ক্রোধে মরবে
প্রতি সেকেন্ডে, প্রতি মিনিটে, প্রতি প্রহরে
ইতিহাস লিখে রাখবে, মৃত্যুর সংখ্যা
মানুষ মরেছে এক জন, দশ জন, হাজার জন! 
অথচ অমানুষ গুলো মরবে না, 
কারণ তাদের মৃত্যুর ভয় নেই, বিবেক বোধ নেই। 
তাদের বিচার সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ করবে না।

কবিতা

প্রতিটি প্রেমিকা আমার ক্রোধের অনলে পুড়ে শোধিত হোক। 
পুষ্প বৃষ্টি হোক আজ এই শহরে।
প্রতিটি প্রেমিকা এক একজন 
সত্যিকার নারীতে রূপান্তরিত হোক।
প্রতিটি প্রেমিকা এক একটি 
লজ্জাবতী রূপ ধারণ করুক।
ছুয়ে দিলে নুয়ে যাবে, 
দূরে গেলে কাছে টানবে।
 নারী,
 না হোক বিষধর কালফনী।
 নারী হোক চির কল্যাণময়ী। 
বুকের পাঁজর চিড়ে, হৃদয় পেতে দেবো।
 রক্ত জমাট বাধিয়ে লাল গালিচা পেতে দেবো।  প্রেমিকা তুমি যদি হতে পারো সত্যিকার নারী।
 তুমি যদি হও নষ্ট, তবে যেন রেখো। 
 নট রাজ আমি, 
নৃত্যে আহবান করিব মহাপ্রলয়; 
ধ্বংস অনিবার্য। 

( অরণ্য)

কবিতা

বিরহ বেদনাতে আসক্ত , অন্তহীন তুমিতে ধ্বংস।
তবুও আমি নদী হয়ে ছুটে যায় তুমিতে!
বিরহে খুজে চলি মিলনের সুখ।
এক চুমুকে পান করি হলাহল -
অমৃতের তৃষ্ণা নিবারণে।
শিবের কন্ঠনালী হতে 
বাসকিরে টানিয়া, দুই হস্তে মন্থন করিয়া 
পূর্ণ করি বিষে আমার তৃষ্ণার্ত বুক । 
দেবরাজ ইন্দ্রের বজ্রঘাত বুকেতে বিধিয়া 
খেলা করি আমি, মেঘনাদ হইয়া।
সূর্য লোক আক্রমণ করিয়া, 
যমুনারে করি জয়, শুধু তোমার লাগিয়া। 
বিষ্ণু চক্র ছিনিয়া, কতল করি নিজেরে 
তুমি আমার পাপ জানিয়া। 
তুমি দেবী কিংবা অপদেবী 
তুমি ধবংস কিংবা তুমিই সৃষ্টি 
তুমি  ব্রহ্মদেবের পাপ  সরস্বতী। 
তুমি ধবংস মহাকালি, 
প্রসন্ন হও,  তুমি হে লিলিথ দেবী।
অনেক হয়েছে পাপ, অনেক হয়েছ নিচু 
শরাবের নেশাতে বিভোর তুমি 
নিজেকে করেছো বিবস্ত্র!  
চেয়ে দেখো, উন্মাদ নটরাজের জটা হতে 
করেছি নির্গত এক বহমান গঙ্গা-
আত্মশুদ্ধি করো হে নারী। 
প্রেমময় যে তুমি, সে-ই তুমি কেন আজ অসতী? 

( প্রশ্ন,  অরণ্য)

কবিতা

একদিন রাহু হয়ে চন্দ্র কে গ্রাস করিবো, 
 অমৃতের অসম বন্টনের অপরাধে, 
 ছদ্মবেশী বিষ্ণু মস্তক ছেদ করিবো -
 ছিনিয়া নিয়া সুদর্শন চক্র। 
একদিন, কাল ভৈরব রূপে, 
প্রলয় নৃত্যে, ত্রিশূল ছুড়বো। 
ব্রহ্মার পঞ্চ মস্তকে, 
যে মস্তকে তিনি প্রেম কে আশীর্বাদ করেন।
সে পথে অগ্নী বর্ষিত হোক ,যে পথে তাঁর পদাচরণ। 
দক্ষের যজ্ঞে যেমন ,এসেছিল কালভৈরব 
তেমনি আসিব আমি ,তার চলার পথে। 
শ্মশানচারীর  তান্ডব নৃত্যে কম্পিত হবে কৈলাস।

( প্রলয়, অরণ্য )

কবিতা

স্বপ্নের শহর

পিচ ঢালা রাজ পথ ,
অজগর সাপের মত যে পথ এঁকেবেঁকে গেছে ।
ধূসর আলোই সোডিয়াম বাতি ,
যে আলোতে নিজেকে চিনতে ভয় হয় ।
স্বপ্নের শহর ;
তুমি ক্রংক্রিটে মোড়ানো ছদ্মবেশী সাধু শয়তান ।
মিছিলে মিছিলে বারুদের গন্ধ ,
লাশ কাটা ঘরে মানুষের শরীরে উত্তপ্ত শিসা ।
স্বাধীন রাজ্যে তুমি,
স্বৈরাশাসকের অবাধ মুক্ত ভাষণে করতালি ।
স্বপ্নের শহর তোমাকে ঘিরে আমি,আমাকে ঘিরে তুমি ।
তোমার বক্ষে চেপে ওকারা!তোমার দেহ নিঙরে খায় ?
স্বপ্নের শহর তোমাতে , সংসদ ভবণ -
জাতির স্বপ্ন যেখানে আকাশ ছুয়ে দেবার কথা ছিল!
কথা ছিলো স্বর্ণে তোমার দেহ অলংকিত করার ।
চেয়ে দেখো, সেখানে তোমাকে নগ্ন করা হয় ।
সুরক্ষিত দেওয়ালের আড়ালে,
মুখোশ ধারী কালো বিড়াল ;
পদ্মসেতুর টাকা খুজে পাওয়া যায় ।
স্বপ্নের শহর, তোমার গর্ভে অক্ষর জ্ঞান সমৃদ্ধ -
মূর্খ শয়তান চোর ছুটে চলে,
অবিকল মানুষের বেশ ধরে ।
তুমি কি পারোনা? স্বপ্নের শহরের পিচ ঢালা পথ ;
সত্যিকার অজগর হয়ে উঠতে! 
অতপর - 
ভন্ড সাধু গুলোকে গিলে নিজের উদর পূর্তি করতে
কবে তুমি জেগে উঠবে স্বপ্নের শহর? 
কবে তুমি বজ্রের মত স্লোগানে মুখরিত হবে! 
কবে তুমি সত্যিকার স্বপ্নের শহর হয়ে উঠবে ।

(  04/05/2017, মিরপুর )

কবিতা

আমি স্বার্থপর হবো -
বেনারসি শাড়ির মালিকের মত !
স্বপ্নের রাজ্যে পা রেখে ,
ফিরেও চাইবো না ,
হারিয়ে যাওয়া মানুষের দিকে ।
আমি স্বার্থপর হবো ফাইভ স্টার হোটেলের-
সস্তায় পাওয়া এক কাপ চায়ের মত!
হয়তো কোন এক ক্ষুধার্ত যুবকের
একটি দিনের আহার ।
আমি স্বার্থপর হবো , বট বৃক্ষকে
জড়িয়ে থাকা পরগাছার মত ।
নিজের দুঃখ চুষে নেবো , সময়-অসময় ।
মানুষ তো দূরে থাক ,
একটি পিঁপালিকার উপকারে আসবো না-
আর একটা দিন ।
স্বার্থের এক মহাকাব্য রচনা করবো,
ভুল করেও ছুঁয়ে দিতে পারবি না তুই।
আমি সত্যি সত্যিই একদিন স্বার্থপর হবো ।
সেই দিন তোর সুখের রাজ্যে ,
দুঃখের বৃষ্টির ছন্দে আমি নৃত্য করব।

( প্রতিজ্ঞা, অরণ্য ০৫/০৫/২০১৮)

Tuesday, April 7, 2020

কবিতা

প্রেমিকা ই বারবণিতা

অতঃপর,
জগৎ এর সমস্ত প্রেমিকাকে একত্র করা হলো।

তারপর, 
     একজন কবিকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করিয়ে, 
      তার শেষ বক্তব্য বলতে বলা হলো। 

             কবি দিশেহারা হননি , 
গহীন অরণ্যে গাছের ছায়া ভেদ করে যেমন 
সূর্যের তীর্যক রশ্মি কে ঝলক দিতে দেখা যাই। 
তেমনি উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত হাসি হেঁসে, 
           তিনি বলতে শুরু করলেন। 

এখানে উপস্থিত সকল প্রেমিকাদ্বয়, 
     তোমরা আমার বড় প্রিয়। 
তোমাদের হাসি আমার কাছে, 
সাগরের বুকে সূর্য উদয়ের মতো। 
তোমাদের একবিন্দু চোখের জল, 
দূর্বা ডগাতে জমে থাকা শিশির বিন্দুর মতো। 

আমি তোমাদের বড় ভালোবাসি 
তাই তো মৃত্যু মঞ্চে,
 তোমাদের কে একটা কথা বলতে আসা। 

প্রিয়, প্রেমিকারা 
খাতা কলম নাও। 

আমার হাতে সময় বড় অল্প,  
তোমাদের দেবার কিছুই নেই আমার 
আমি রিক্ত আমি শূন্য। 
চেয়ে দেখো-
কালো কাপড়ে বেঁধে রাখা হয়েছে আমার চোখ। 

প্রিয়, প্রেমিকারা 
খাতা কলম নাও। 

আমার হাতে সময় বড় অল্প,
আমার কন্ঠনালীতে র‍য়েছে রশি, 
শুনেছি অনেক মূল্য এই রশির। 
কি আশ্চর্য, আমাকে মারতে এতো আয়োজন! 
অথচ আমি প্রেমিক, আমার মৃত্যু নেই 
আমার যন্ত্রণা আছে, কিন্তু নিঃশেষ হবার ভয় নেই
দহন জ্বালা আছে, ভশ্ম হবার ভয় নেই 
কারণ আমি তোমাদের প্রেমিক। 

প্রিয়, প্রেমিকারা 
তোমরা কি জানো 
আমার মৃত্যু দন্ডের কারণ? 

জানার প্রয়োজন নেই, 

কারণ বারবণিতা দের জানার প্রয়োজন হয় না।

গন্তব্য

আমার গন্তব্য!
সে তো ঈশ্বর নির্ধারিত।
আমি শুধু চলতে জানি।
পড়ন্ত কোন এক বিকালে
যেখানে জ্বলন্ত সূর্য কে গিলে খায় সমুদ্র
পৃথিবীতে নেমে আসে সন্ধ্যা।
তেমনি কোন এক সন্ধ্যাতে
আমি রাজ অতিথি! 
আর তুমি, 
আমার সে শরাবের উৎসবে নিছক এক নর্তকী। 
কি আশ্চর্য তাই না! 
আমার যাযাবর জীবন, 
আমাকে দান করেছে রাজ অতিথির সম্মান। 
আর, তোমার অপার সৌন্দর্য 
তোমাকে করেছে রাজ রক্ষিতা।। 
দুই হাত উচিয়ে আশীর্বাদ প্রিয়ে -
চির যৌবনবতী হও, 
প্রতিটি রাত হোক তোমার অভিশপ্তময়। 
সকলে সুখী হোক, তোমার সুধা গ্রহণে। 
তুমি মেকি হাসির পর্বত গড়ে, 
অশ্রুবিসর্জন দাও, একা চির একাকীত্বে।

বিরহ

প্রেমিক পাগল
০৫/০৪/২০

তুমি চলে যাবার পর,
চাঁদটা ম্লান হয়ে গেছে।
ঠিকরে পড়া জ্যোৎস্নায় কোন মায়া নেই।

তুমি চলে যাবার পর
মহল্লায় মহল্লায় বিরহের সুর
ডাহুকেরা কান্নায় হয়েছে বিভোর।

গোলাপ ফোঁটে
তবে আগের সেই রূপ হারিয়েছে।
তুমি চলে যাবার পর
এক গ্যালাক্সি শূন্যতা বুকে বাসা বেধেছে।

বৃষ্টি ঝরে অঝর ধারায়, 
তুমি চলে যাবার পর 
আকাশ টা শুধুই কাঁদে। 

ঘুঘু আর্তনাদ করে, 
হুতোম প্যাঁচার বীভৎসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোকিল গান ছেড়ে দিয়েছে। 

তুমি চলে যাবার পর 
নদীর বুকে আর জোয়ার আসেনি, 
চাঁদে চাঁদে এতো গ্রহ 
এক জম্মে কেউ তা দেখেনি। 

কবিতা, কবির অন্তর জুড়ে শূন্যতা 
সাহারা মরুর মত ধূ-ধূ বালুর চর জমেছে
আর কোন কবিতাতে কবি মুগ্ধ হয়নি। 

এতো বর্ষা, এতো বর্ষা তবুও দেখো 
নেই এতটুকু সজীবতা। 

তুমি চলে যাবার পর,
 আর কোন বৃক্ষে 
বসন্ত আসেনি । 
পাতাঝড়া বৃক্ষে এখন 
নিদারুণ তুমি হীনতা। 
এখন কবির কাব্য জুড়ে
চাষাবাদ হয় বিষন্নতা। 

তবুও হাসি পাই 
পাগল না হলে কি-
আর প্রেমিক হওয়া যায়? 
প্রেমিক মাত্রই পাগল হওয়া চায়!

( অরণ্য_নাসিদ)

Wednesday, March 11, 2020

ভাবনার স্মারক

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম
১১/০৩/২০

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়,
দেখতে হয় না, কাছে রাখতে হয় না! অথচ,
এই মুহূর্তে সে কি করছে বলে দেওয়া যায়,
সময়ের স্রোত, বিশ্বাসের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে।

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়,
সহস্র বছরেও, এতোটুকুও অবিশ্বাসের কচুরিপানা
জমাট বাঁধতে দেয় না।
চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়,
সে কেমন আছে, কতটা ভালো আছে।
চোখ দেখলে, সাগর খুঁজে পাওয়া যায়!
বুকের মাঝে আকুলতা খুঁজে পেতে-
বিরহের গল্প শুনতে হয় না।
তার হাসির আড়ালে বিরহ খুঁজে পাওয়া যায়।
তার পদ চরণের পরিবর্তনের শব্দ,
বুকের ভেতর টা, গুপ্ত- বালুচরে পড়ে যাওয়া
প্রিয়, মানুষের আর্তনাদ জানান দিবে।

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়,
কোন চাহিদা থাকে না, তবুও ঋণেঋণে জর্জরিত
করে তোলে, আমার ও আমাদের।
বিশ্বাস, বিশ্বাস আর বিশ্বাসের, পর্বত গড়ে তোলে।
হারানোর ভয় থাকে না!
কাছে আসলে, সময়ের স্রোতে বাঁধ দিতে ইচ্ছে হয়।

সম্পর্ক গুলো অন্য রকম হয়,
ভালোলাগা ভালোবাসার মাঝে বিভেদ থাকে না,
ঝগড়া থাকে, অভিমান থাকে, বিচ্ছেদ থাকে না।
দুঃখ থাকে, কষ্ট থাকে অথচ বিরহ থাকে না। 
সুখের পায়ে বেড়ি পড়িয়ে, কাটে  দিন।

অথচ কোন অভিযোগ থাকে না। 

সম্পর্ক গুলোর মাঝে অধিকার থাকে, 
অধিকার হরণের ক্ষমতা থাকে না। 
শ্রদ্ধা থাকে, স্নেহ থাকে, ভালোবাসা'র-
 কমতি থাকে না। 

সম্পর্ক গুলো অভিমান করেছে,  
সম্পর্কের সাথে মানুষ আজ সম্পর্ক রাখেনা।। 

বিষাদ ভর করেছে,
একাকীত্বের তীরে, নৌকা ডুবুডুবু করে। 
মানুষ সম্পর্কের অভাবে বিষন্নতায় ভোগে।

Thursday, February 13, 2020

কবিতা

কৃষ্ণ পক্ষ  বিলাস 
            ( ১৩/২/২০২০ ) 

        কেউ জ্যোৎস্না বিলাসে মুগ্ধ,
         কেউ বৃষ্টি বিলাসে আপ্লুত, 
         কেউ কেউ তো সুখের তরী
   ভাসিয়ে দিয়েছে অসীম সাগরের বুকে৷ 
    আমাকে
          বরং একটা অমাবস্যা দাও, আর
                কিছু দুঃখ কুড়িয়ে দাও
               এক পাহাড় কষ্টের সাথে 
                   প্রিয় হারা বেদনা'র
                   স্মৃতি এনে দাও। 
   
  আমি নিশ্চয় 
        আর একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছুয়ে দেখতে 
                        চাই'বো না। 
         আর কোন চুলের গন্ধ ব্যাকুল হৃদয়ে 
         আবেগের স্রোত অন্য সাগরে প্রবাহিত 
                   হতে,  চাই'বে না। 
          শ্রবণ ইন্দ্রিয়, সে আবেগ সে শব্দ 
          দ্বিতীয়ত আর কোন আবেগময় 
          গল্প শুনতে বড়'ই বেশি আপত্তি 
                       জানিয়েছে।  
    
           জ্যোৎস্না বিলাস, বৃষ্টি বিলাস
            সমুদ্র বিলাস করো, সুখের নদীতে 
                      ডুব দাও, যত খুশি। 
    
           এক পৃথিবী সম দুঃখ এনে দাও
           বিরহ - বেদনা, কষ্ট ও কান্না 
           সমগ্র প্রেমিকের দ্বীর্ঘ নিঃশ্বাস 
            মিলিয়ে দাও, এক কৃষ্ণ পক্ষ। 

       আমি একটি জনমের বাকিটা  প্রহর 
       কৃষ্ণ পক্ষ বিলাসে'ই কাটিয়ে দিবো৷

Friday, January 31, 2020

স্বাধীনতা চাই 

স্যাটেলাইট দাও কিংবা পদ্মা সেতু
খাল কেটে দাও কিংবা নদী খনন 
যে টাই দাও না কেন? 

আমার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে, 
আমার বাক শক্তি কেড়ে নিয়ে, 
আমার কলম কেড়ে নিয়ে। 

তুমি যদি সূর্য জয়ের গল্প শুনাও 
আমার কোন লাভ হবে না। 
পিঁয়াজের বাজারে আগুন লাগিয়ে 
লেবু বাম্পার ফলনের গল্প শুনে 
আমার কোন লাভ হবে না। 

আমি তো দেখেছি মৃত্যুর মিছিলে 
তোমার জমদূতের ন্যায় রূপ। 
আমি দেখেছি, কৃষকের কান্নার মিছিলে
ধান ক্ষেতে জ্বলে কৃষকের দেওয়া আগুন। 

তুমি আমাকে মেট্রোরেল দিয়েছো 
আকাশে উড়ার সু ব্যবস্থা 
চাঁদে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দিয়েছো। 

কিন্তু,

আমি তো দেখেছি কি ভাবে জুয়ার আসরে 
ব্যাংক কর্মকর্তা কিংবা মন্ত্রী আমলার নগ্ন উন্মাদনা। 
আকাশে বিলুপ্ত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের আর্তনাদ।
 আমি দেখেছি বন্ধুত্বের নামে, 
দেশমাতাকে নগ্ন করেছে যারা 
তাদের সাথে তোমাদের দোস্তি।

আমি দেখেছি আড়তদারির জুলুম, 
আমি দেখেছি প্রশাসনের মিথ্যা বীরত্বপানা
অযোগ্য আর অমানুষের হাতে বন্ঠন হতে দেখেছি 
আমার দেশমাতার দেহ খানা,
যে ভাবে ছিবড়ে খাই শকুন 
মৃত্যু দেহের দেহটা। 

তুমি আমাকে গল্প শুনিয়ে, 
ঘুম পাড়িয়ে রাখতে চাও? 
না না না 
তা হবে না

আমি দেখেছি বিনা শুল্কে 
কিভাবে আমাকে ব্যবহার করছে ইন্ডিয়া। 
আমার সীমান্তে, আমাকেই মেরে
গরু পাচারকারী বলতে শুনেছি, 
ফেলিনী'কে দেখেছি কাটাতারে ঝুলে থাকতে, 
আবরার হত্যাকারীদের দেখেছি 
পুনরায় পরীক্ষা দিতে। 

উন্নয়ন এর গল্প শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত
উন্নয়ন এর গণ জোয়ারে 
আমি আর গা ভাসাতে পারি না। 
আমার চোখে ভেসে ওঠে 
দূর-স্বপ্নের হায়েনারা আমার দেশ কে 

ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে 

মৃত্যু দেহ পেলে, শকুনে যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে। 
আমি কি দিয়ে শুরু করি বলতো 
তোমাদের কু কীর্তি।।

আমি কিছুই বলবো না 
শুধু স্বাধীনতা দাও। 
আমাকে একটু স্বাধীন থাকতে দাও।
আমি শুধু স্বাধীনতা চাই।